বাংলাদেশের স্পিনারদের মানসিকতাই আসল শক্তি: হেরাথ
প্রতিপক্ষ যখন আফগানিস্তান, তখন মিরপুর শেরে বাংলার উইকেটও গেল বদলে। স্পিনে শক্তিশালী দলটির বিপক্ষে 'হোম অব ক্রিকেটে' স্পোর্টিং উইকেট তৈরি করে বাংলাদেশ। কিন্তু সেখানে ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিলেন সেই স্পিনাররাই। দুই বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ও সাকিবের আল হাসানের ঘূর্ণিতেই কাবু আফগানরা।
স্বাভাবিকভাবেই আলোচনায় বাংলাদেশের স্পিন শক্তি নিয়ে। স্পোর্টিং উইকেটেও টাইগারদের এমন সাফল্যের কারণটা জানালেন বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ। সঠিক মানসিকতার কারণেই যে কোনো উইকেটে সাকিব-নাসুমরা জ্বলে উঠতে পারেন বলে মনে করেন এ লঙ্কান।
মূলত সঠিক মানসিকতাকেই এগিয়ে রাখেন এ সাবেক কিংবদন্তি স্পিনার, 'আমি সবসময় মানসিকতা নিয়ে ভাবি। কন্ডিশন আমাদের অনুকূলে হোক বা না হোক, আপনাকে বুঝতে হবে এবং কন্ডিশন সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। সেক্ষেত্রে, এটা টার্নিং উইকেট হোক বা না হোক, আপনাকে বোলারদের ভূমিকাটা বুঝতে হবে। নিজের ভূমিকা সম্পর্কে স্বচ্ছতা থাকতে হবে। এ কারণেই তারা আসলে ভালো করেছে।'
নিজেকে উদাহরণ হিসেবে টেনে বাংলাদেশের স্পিনারদের মানসিকতার বর্ণনা করেন হেরাথ, 'একজন শ্রীলঙ্কান হিসেবে আমি অনেক বছর আমার দেশের হয়ে খেলেছি এবং আমি বিশ্বাস করি যখনই আপনি সেই সুযোগ পাবেন, আপনাকে অবশ্যই দেশকে কিছু দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে, ছেলেরা ভালো করছে এবং আমি নিশ্চিত যে তারা মানসিকভাবে একটি ভালো ফ্রেমে আছে।'
নিজের দায়িত্বটা বুঝতে পারলে যে কোনো উইকেটেই সফল হওয়া যায় বলে মনে করেন এ কোচ, 'আমি সবসময় বিশ্বাস করি আপনি যেখানেই খেলছেন, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যান্ড, আপনার মানসিকতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যখন আপনার দেশের জন্য খেলছেন, তখন এটা একটা দায়িত্ব এবং আপনার ভূমিকা পালন করে সেগুলো বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।'
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অস্ট্রেলিয়ার উইকেটে স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা সংগ্রাম করতে হতে পারে স্পিনারদের। তবে নিজেদের মানিয়ে নিতে এমন উইকেটে আরও কিছু ম্যাচ আয়োজন করতে পারলে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন এ লঙ্কান, 'টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আমাদের কয়েকটি ম্যাচ আছে। একইসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপের আগে যদি আমাদের আরও কিছু প্রস্তুতি থাকে সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে। আমি নিশ্চিত বিসিবি এটা নিয়ে কাজ করবে।'
Comments