সাফারি পার্কে জেব্রার মৃত্যু: ফৌজদারি ও বিভাগীয় মামলার সিদ্ধান্ত
গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ১১টি জেব্রা মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী অভিযুক্তদের সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ফৌজদারি মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
আজ মঙ্গলবার পরিবেশ, বন ও জলবায় পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার দীপংকর বরের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আজ এ বিষয়ে অনুষ্ঠিত তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একইসঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিভাগীয় মামলাও দায়ের করা হবে। এ ছাড়া তদন্ত কমিটির সুপারিশ করা ২৪টি সুপারিশ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া বলা হয়েছে, 'তদন্ত কমিটির মন্তব্য, মতামত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ঘাসে অতিরিক্ত নাইট্রেটের প্রভাব ও মিশ্র ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে জেব্রাগুলোর মৃত্যু ঘটেছে মর্মে তদন্ত কমিটির কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।'
'তবে, প্রথম দিকে ২ ও ৩ জানুয়ারি ৩টি জেব্রার মৃত্যু ধামাচাপা দেওয়া এবং আঘাতজনিত কারণ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ৩টি মৃত জেব্রার পেট ধারালো কিছু দিয়ে কাটা হয়েছে বলে কমিটির কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। কে বা কারা মৃত জেব্রার ৩টি পেট কেটেছে তা উদঘাটনের জন্য নিবিড় তদন্তের প্রয়োজন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।'
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, 'কর্তব্যরত ভেটেরিনারি অফিসারের চাহিদা অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সাফারি পার্ক মেডিকেল বোর্ডের সভা আহবান করবেন বলে বিধান থাকার পরও এতগুলো জেব্রার অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরও জরুরিভিত্তিতে মেডিকেল বোর্ডের সভা আহ্বান করা হয়নি। যা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতার শামিল। কোন প্রাণীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় জিডি করার প্রচলন থাকলেও এক্ষেত্রে থানায় কোন জিডি করা হয়নি, যা রহস্যজনক।'
'পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব গত ২২ জানুয়ারি সাফারি পার্ক পরিদর্শন করেন। ওই তারিখ পর্যন্ত ৮টি জেব্রা মারা গেলেও প্রকল্প পরিচালক, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ভেটেরিনারি কর্মকর্তা বা কর্মরত অন্য কেউ জেব্রার মৃত্যুর ঘটনাটি সচিব মহোদয়কে অবহিত করেননি। এতে প্রতীয়মান হয় প্রথম থেকেই জেব্রা মৃত্যুর ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার অপচেষ্টা করা হয়েছে। বিষয়টি অস্বাভাবিক, অগ্রহণযোগ্য ও সরকারি কর্মচারী আচরণের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, যা দায়িত্ব অবহেলার শামিল। তদন্ত কমিটির এসকল মতামত বিবেচনায় নিয়ে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিতপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ফৌজদারী মামলা ও বিভাগীয় মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে মন্ত্রণালয়।'
এ ছাড়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক গাজীপুরের প্রাণী মৃত্যুরোধ ও ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের জন্য করণীয় বিষয়ে তদন্ত কমিটির সুপারিশকৃত ১১টি স্বল্পমেয়াদী, ৪টি মধ্য-মেয়াদী এবং ৯টি দীর্ঘ মেয়াদি সুপারিশ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে মন্ত্রণালয়।
জেব্রা মৃত্যুর ঘটনার কারণ উদ্ঘাটন, দায়-দায়িত্ব নিরূপণ ও ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সুপারিশ প্রদানের জন্য পরিবেশ, বন পরিবর্তন জলবায়ু মন্ত্রণালয় ২৬ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে ৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে। কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়। ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ৩০ জানুয়ারি ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করেন। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে পরবর্তীতে কমিটিতে আরও দুজন বিশেষজ্ঞ সদস্য এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জেলা প্রশাসক, গাজীপুরের প্রতিনিধি হিসেবে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।'
তাছাড়া পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত তদন্ত কমিটিকে কাজের সহায়তা এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ প্রদানের জন্য ৩ জন কর্মকর্তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। ৮ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি এবং ৩ সদস্য বিশিষ্ট সহায়ক প্রতিনিধিগণের সমন্বয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি ও ১২ ফেব্রুয়ারি সরেজমিন তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
সবশেষ ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য যে, তদন্ত কমিটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের মেয়াদ ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে আরও ৭ কার্যদিবস বৃদ্ধি করা হয়। তদন্তের স্বার্থে কমিটি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) প্যাথলজি বিভাগ ও ফার্মাকোলজি বিভাগ, কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগার (সিডিআইএল), প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনিস্টিউিট (আইইডিসিআর), বাংলাদেশ পুলিশের কেমিক্যাল ল্যাব ও মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটকে রাসায়নিক পরীক্ষা সম্পন্ন করে সার্বিক তদন্ত শেষে ২০ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করে।
সভায় উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব মো. মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মিজানুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ও তদন্ত কমিটির আহবায়ক সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ) কেয়া খান এবং উপসচিব ও তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
জেব্রার মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটির ২৪ সুপারিশ
প্রতিবেদনে তদন্ত কমিটি প্রাণী মৃত্যুরোধ ও ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের জন্য করণীয় বিষয়ে ১১টি স্বল্পমেয়াদী, ৪টি মধ্য-মেয়াদী এবং ৯টি দীর্ঘ মেয়াদি সুপারিশ করেছে।
স্বল্পমেয়াদী ১১টি সুপারিশ হলো-সাফারি পার্কের বিভিন্ন প্রাণী-পাখির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও অধিকতর উন্নয়নে দ্রুত জনবল বাড়ানো, সাফারি পার্কের বন্যপ্রাণীর নিয়মিত 'Disease Surveillance and Monitoring' এবং বর্তমান ও অতীতের বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর মৃত্যুর কারণ, আক্রান্ত রোগ ও অন্যান্য বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য একজন 'Veterinary Epidemiologist' নিয়োগ দেওয়া, নিরাপত্তা কর্মী, অ্যানিমেল স্কাউট-অ্যাটেন্ডেন্টসহ তৃতীয় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী পদায়ন, সাফারি পার্কে স্থায়ীভাবে ব্যবস্থাপনার জন্য রাজস্ব খাতের ১৩৮ পদের বিপরীতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অনুমোদিত প্রস্তাবনা দ্রুত বাস্তবায়ন, প্রাণী খাদ্যের সঠিক মান নিয়ন্ত্রণ, বিতরণ ব্যবস্থা উন্নত ও স্বাস্থ্য সম্মত খাদ্য নিশ্চিত করার স্বার্থে পার্কে প্রাণী খাদ্য গ্রহণ কমিটি গঠন, সাফারি পার্কের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের জন্য ডিজিটাল ডিভাইসে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা, সব কর্মীদের নিয়ে প্রতি মাসে ১ বার সভা করা, সুবিধা-অসুবিধা জানা ও সমাধান করা, অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রধান বন সংরক্ষককে লিখিতভাবে জানানো, সার্বিক ব্যবস্থাপনার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটি গঠন, সাফারি পার্কে ও প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরে কর্মরত অভিজ্ঞ ও জ্যেষ্ঠ ভেটেরিনারিয়ানদের সমন্বয়ে একটি ভেটেরিনারি মেডিকেল বোর্ড পুনর্গঠন করা।
এ ছাড়া, স্বল্পমেয়াদী সুপারিশের মধ্যে প্রাণী ও পাখির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ১০ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো-প্রাণী সেড ও বিশ্রামাগার নির্মাণ, খাবার পানি শোধন, কৃমি মুক্তকরণ, নিয়মিত টিকা দেওয়া, পরিণত ও স্বাস্থ্যসম্মত ঘাস, ঘাস সংগ্রহের পর পানিতে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে চপার মেশিনে কেটে সরবরাহ করা, দানাদার খাদ্য ও সরবরাহকৃত মাংসের গুণগত মান যাচাই করা, জেব্রার জন্য আলাদা বেষ্টনী নিৰ্মাণ, শাকসবজি, ফলমূল ও ঘাস ধোয়ার জন্য চৌবাচ্চা নির্মাণ, নাইটভিশন সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং মুক্ত স্থানে ঘাস চাষ করা
মধ্য-মেয়াদী ৪ সুপারিশ হলো-জরুরি প্রাণী-পাখির স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নে ওয়াইল্ড লাইফ ভেটেরিনারি হাসপাতালের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ ও যন্ত্রপাতির পর্যাপ্ত মজুত, দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রাথমিকভাবে রোগ নির্ণয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ডায়াগনস্টিক কিটস ও অন্যান্য যন্ত্রপাতিসহ মিনি ল্যাবরেটরি স্থাপন, জরুরি প্রয়োজনে দেশের আরও প্রাণী বিশেষজ্ঞ ও বন্যপ্রাণী বিজ্ঞানীদের সম্পৃক্ত করা এবং প্রয়োজনে বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা, সাফারি পার্কের মৃত প্রাণীর যথাযথ অ্যান্টি মর্টেম ও পোস্ট মর্টেম আরও বিজ্ঞানভিত্তিক করতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা।
সাফারি পার্কে প্রাণী মৃত্যুরোধে দীর্ঘমেয়াদী ৯টি সুপারিশ হলো-পার্কের ভেতরে রোগাক্রান্ত পশুকে চিকিৎসার জন্য ভেটেরিনারি হাসপাতালসহ অন্য কোথাও স্থানান্তরের জন্য একটি মোবাইল ভেটেরিনারি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখা, দক্ষতা উন্নয়নের জন্য সব কমকর্তাদের জন্য প্রাণী চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনার বিষয়ে দেশেবিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, প্রাণী স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও ব্যবস্থাপনার বিষয়ে জ্ঞান অর্জনে দেশি-বিদেশি জার্নাল সংগ্রহের মাধ্যমে একটি মিনি লাইব্রেরি করা, প্রাণীর স্বাস্থ্য তদারকি ও ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণের জন্য ভেটেরিনারি মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের ২ মাস পরপর সভা করা, জরুরিভিত্তিতে আকাশমণিসহ অপ্রয়োজনীয় বৃক্ষ অপসারণ করে বন্যপ্রাণী সহায়ক বাগান তৈরি, বন্যপ্রাণীর খাদ্যপযোগী বিভিন্ন প্রজাতির ফল বাগান তৈরি, বেষ্টনী উন্নয়ন করে শিয়ালসহ বহিরাগত প্রাণীর প্রবেশ বন্ধ করা, পার্কের ভেতরে গো-চারণ ও মানুষের যাতায়াত সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা, সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাফারি পার্কের ভেতরে ২৪ ঘণ্টা অবস্থানের জন্য আবাসিক ব্যবস্থা রাখা এবং পার্কের জন্য পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ রাখা।
জেব্রা মৃত্যুর ঘটনার কারণ উদ্ঘাটন, দায়-দায়িত্ব নিরূপণ ও ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সুপারিশ প্রদানের জন্য পরিবেশ, বন পরিবর্তন জলবায়ু মন্ত্রণালয় ২৬ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে ৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে। কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়। ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ৩০ জানুয়ারি ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করেন। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে পরবর্তীতে কমিটিতে আরও দুজন বিশেষজ্ঞ সদস্য এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জেলা প্রশাসক, গাজীপুরের প্রতিনিধি হিসেবে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
Comments