গাজীপুর সাফারি পার্কে প্রাণী মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা

গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে জেব্রা, বাঘ ও সিংহ মারা যাওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

গতকাল রোববার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার শেষদিনে কমিটি এই প্রতিবেদন জমা দেয় বলে আজ জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান বন পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক।

তবে এই কর্মকর্তা প্রতিবেদনে প্রাণী মৃত্যুর কারণ চিহ্নিত করার বিষয়ে কিছু বলেননি। এটি মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কমিটি সম্মিলিতভাবে ১৮ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদন তৈরি করে। এতে নানা পরামর্শ হিসেবে আরও পাতা যুক্ত করা হয়েছে।

গত ২৬ জানুয়ারি পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিককে আহ্বায়ক এবং এবং পরিবেশ-২ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরীকে সদস্য-সচিব করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। পরে আবেদনের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ আরও ১০দিন সময় বাড়ান এবং তদন্ত কমিটিতে ৩ জনকে যুক্ত করা হয়। এছাড়াও সহযোগী বা পরামর্শক হিসেবে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আরও ৩ জনকে যুক্ত করা হয়।

তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুল হাসান খান, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল, বন ভবন, ঢাকা এর বন সংরক্ষক এবং কেন্দ্রীয় পশু হাসপাতালের প্রাক্তন চিফ ভেটেরিনারি অফিসার ডা. এ বি এম শহীদুল্লাহ এবং পরে যুক্ত হন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি অনুষদের অধ্যাপক মো. আবু হাদী নূর আলী খান, কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগারের (সিডিআইএল) প্রধান মো. আজম চৌধুরী ও জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি হিসেবে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক।

গত জানুয়ারি মাসে পার্কে ১১টি জেব্রা, ১টি বাঘ ও ৩ ফেব্রুয়ারি একটি সিংহী মারা যায়। এইসব প্রাণীর মৃত্যু নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন এবং তদন্তের স্বার্থে পার্কের শীর্ষ পর্যায়ের তিন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তদন্ত কমিটিকে জেব্রাগুলোর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটন, সাফারী পার্কে কর্তব্যরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাফিলতি চিহ্নিতকরণ এবং এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশ নিয়ে নির্ধারিত ২০ কার্যদিবসে প্রতিবেদনটি শেষ করা হয়।