শেষ পর্যন্ত টিকা নিতে যাচ্ছেন জোকোভিচ!
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলতে গিয়ে কতো নাটক। প্রায় গলা ধাক্কা খেয়েই ফেরত এসেছেন। টিকা না নিলে খেলতে পারবেন না ফরাসি ওপেনেও। কে জানে হয়তো উইম্বলডন কিংবা ইউএস ওপেনেও বদলে যেতে পারে নিয়ম। ফলে বাধ্য হয়েই টিকা নেওয়ার কথা ভাবছেন সার্বিয়ান তারকা নোভাক জোকোভিচ। এমনটাই জানিয়েছেন তার আত্মজীবনীকার ড্যানিয়েল মুকশ।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে তো খেলার আগেই বিদায় হয়েছেন জোকোভিচ, সঙ্গে জুটেছে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞাও। তাই এমনিতেই ক্যারিয়ারের শেষ সময়ে এসে একটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম কম খেলতে হবে তাকে। তার উপর এই অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতে টেনিসে নতুন ইতিহাসটা গড়েছেন অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাফায়েল নাদাল। রজার ফেদেরার ও তাকে পেছনে ফেলে ছেলেদের এককে সবচেয়ে বেশি ২১টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক এখন এ স্প্যানিশ। সবমিলিয়েই হতো এমন সিদ্ধান্ত।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হিউটকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জোকোভিচের আত্মজীবনী লিখতে শুরু করে লেখক মুকশ বলেছেন, 'আমি তার আশেপাশের লোকদের কাছ থেকে যা শুনেছি তা থেকে, আমি মনে করি তিনি টিকা নিতে যাচ্ছেন। সম্ভবত অস্ট্রেলিয়ার সে সব ঘটনাই এর পেছনে অবদান রেখেছে। আবার হতে পারে যে নাদালের ২১টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম তাকে এটা করতে চালিত করছে।'
টিকা না দেওয়া থাকা সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ান ওপেন কর্তৃপক্ষের বিশেষ ছাড়পত্র পেয়ে মেলবোর্ন উড়ে গিয়েছিলেন জোকোভিচ। কিন্তু দেশটিতে পোঁছানোর পরই ভিসা বাতিল করে অস্ট্রেলিয়া। আবেদনপত্রে ভুল থাকায় বিমানবন্দর থেকে বেরোনোর অনুমতি পাননি। একই সঙ্গে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয় তাকে।
ঘটনা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। এর বিরুদ্ধে আপিল করে ভিসা ফেরত দেওয়ার রায় দেয় আদালত। নানা নাটকের পর ফের তার ভিসা বাতিল করা হয়। যে কারণে রাত কাটাতে হয় ডিটেনশন সেন্টারেও। শেষে বাধ্য হয়েই অস্ট্রেলিয়া ছাড়তে হয় তাকে। পরে তিন বছরের জন্য দেশটিতে নিষিদ্ধও করা হয়ে তাকে।
এদিকে টিকা সংক্রান্ত একটি আইন খুব শীগগিরই পাশ করতে যাচ্ছে ফ্রান্সও। রেস্তরাঁ, ক্যাফে, সিনেমা হল, দূরপাল্লার ট্রেনের মতো জনবহুল জায়গায় প্রবেশের জন্য টিকার সার্টিফিকেট দেখানো আবশ্যক করবে তারা। এমনকি দর্শক থেকে খেলোয়াড় সকলেরই নিয়ম মানা বাধ্যতামূলক করবে দেশটি। সেক্ষেত্রে বড় ঝামেলা অপেক্ষা করছে জোকোভিচের জন্য।
Comments