ইউক্রেন সংকট

রাশিয়াকে যুদ্ধে টানার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র: পুতিন

Putin_25Sep20.jpg
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: রয়টার্স

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার দেশকে ইউক্রেনে যুদ্ধের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। মস্কোতে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সঙ্গে আলোচনার পর পুতিন এ কথা বলেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই সংকট নিয়ে প্রথমবার উল্লেখযোগ্য মন্তব্যে পুতিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য ছিল রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের অজুহাত হিসেবে সংঘাতকে ব্যবহার করা। ইউরোপে ন্যাটো জোট বাহিনী নিয়ে রাশিয়ার উদ্বেগ উপেক্ষা করছে যুক্তরাষ্ট্র।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন সীমান্তের কাছে রুশ সেনা মোতায়েনকে কেন্দ্র করে এই অঞ্চলে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। রাশিয়া সাম্প্রতিক সপ্তাহে ইউক্রেন সীমান্তে ট্যাংক এবং আর্টিলারি থেকে গোলাবারুদে সজ্জিত প্রায় এক লাখ সেনা এনেছে।

পশ্চিমাদের অভিযোগ রাশিয়া ইউক্রেনের দক্ষিণ ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে সংযুক্ত ও পূর্ব ডনবাস অঞ্চলে একটি রক্তাক্ত বিদ্রোহকে সমর্থনের প্রায় আট বছর পর আক্রমণের পরিকল্পনা করছে। তবে, পুতিন প্রশাসন বরাবরই তা অস্বীকার করে আসছে।

মস্কো পাল্টা অভিযোগ করেছে, ইউক্রেন সরকার প্রাচ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক চুক্তি বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে। সেখানে কমপক্ষে ১৪ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন এবং রাশিয়া-সমর্থিতরা অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করছে।

এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি মঙ্গলবার সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, রুশ আগ্রাসন শুধু ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ হবে না। বরং এটি হবে ইউরোপে একটি যুদ্ধ, যা হবে পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধ।

মস্কোতে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সঙ্গে আলোচনার পর পুতিন বলেন, আমার কাছে মনে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নয়। বরং তাদের প্রধান কাজ হচ্ছে রাশিয়ার উন্নয়নকে নিয়ন্ত্রণ করা। সেদিক থেকে তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে ইউক্রেন একটি হাতিয়ার মাত্র।

পুতিন আরও বলেন, আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা গ্যারান্টির জন্য রাশিয়ার দাবির প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর উদ্বেগ উপেক্ষা করেছে। যার মধ্যে পূর্বাঞ্চলে ন্যাটো জোটকে আরও সম্প্রসারণ না করা। ইউক্রেন যদি ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে তাহলে তারা অন্য সদস্যদের রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে টেনে নিয়ে যেতে পারে। কল্পনা করুন ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য এবং (ক্রিমিয়া পুনরুদ্ধারের জন্য) একটি সামরিক অভিযান শুরু হয়। আমরা কি ন্যাটোর সঙ্গে যুদ্ধ করতে যাচ্ছি? কেউ কি এটা নিয়ে ভেবেছে? মনে হচ্ছে তারা এসব নিয়ে ভাবেনি।

Comments

The Daily Star  | English

Election delay anti-democratic, it goes against July-August spirit: Fakhrul

He said those who want to delay the election are certainly not pro-democratic or supporters of the July-August revolution

1h ago