জব্দ ভায়াগ্রার চালান ছেড়ে দিতে কাস্টমস কমিশনারকে হুমকি
বেনাপোল স্থলবন্দরে জব্দ ভায়াগ্রার চালান ছেড়ে দেওয়ার জন্য মাদক চোরাকারবারিরা কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো. আজিজুর রহমানকে অব্যাহতভাবে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কাস্টমস হাউসের একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানতে চাওয়া হলে আজ রোববার দুপুরে মো. আজিজুর রহমান নিজেও দ্য ডেইলি স্টারকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
সূত্র জানায়, মিথ্যা ঘোষণায় দিয়ে ভারত থেকে ৩০১ প্যাকেজের মোটর পার্টসের চালানে ২২ কেজি ভায়াগ্রা আমদানি করেন যশোরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান 'মা মনি এন্টারপ্রাইজ'। এলসি নম্বর-০৮৮৬২১০১০৩৫৬। যার আমদানি মূল্য ১২ হাজার ৭৮০ মার্কিন ডলার। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কাস্টমসের আইআরএম টিম চালানটি শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে ভায়াগ্রা পায়। গত বছরের ২১ জুন চালানটি জব্দ করা হয়। এরপর ভায়াগ্রাগুলো পরীক্ষার জন্য খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে পাঠানো হয়। ওই বছরের পরবর্তীতে ৬ জুলাই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছিল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এর পর থেকেই একটি চক্র আজিজুর রহমানকে চালানটি ছেড়ে দিতে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। সেসব উপেক্ষা তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। অনলাইনেও তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপ্রচার শুরু করে।
ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, চোরাচালান ও শুল্ক ফাঁকি রোধে কমিশনার আজিজুর রহমান জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করায় তাকে নানাভাবে হয়রানি করার জন্য একটি চক্র উঠে পড়ে লেগেছে। ইতোপূর্বে বড় ধরনের বেশ কটি অনিয়ম ও রাজস্ব ফাঁকির ঘটনা উদঘাটন করায় তাকে সমাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
আজিজুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, ভায়াগ্রার চালান আটকের বিষয়টি ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। হুমকি দিয়ে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার দিন শেষ। বেনাপোল কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ একটি ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে বৈধ আমদানি ও সৎ করদাতাদের সার্বিক সহযোগিতা দিতে বদ্ধ পরিকর। বিদ্যমান আইন ও বিধি মোতাবেক যথাযথ পরিমাণ রাজস্ব আদায় ও দ্রুত পণ্যচালান খালাসে সবার সহযোগিতা চাই। করোনাকালেও আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারের রাজস্ব আদায়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
Comments