ফাইনালে নাদাল, পৌঁছে গেলেন ইতিহাস গড়ার দ্বারে
করোনাভাইরাসের টিকা না নেওয়ায় অনেক ঘটনার পর খেলার সুযোগ পাননি নোভাক জোকোভিচ। রজার ফেদেরার অংশ নিতে পারেননি হাঁটুর অস্ত্রোপচার থেকে সেরে ওঠার প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকায়। তাদের অনুপস্থিতিতে এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ইতিহাস গড়ার মোক্ষম সুযোগ রয়েছে রাফায়েল নাদালের সামনে। আর সে লক্ষ্যে দুর্দান্ত ছন্দে এগিয়ে চলেছেন এই স্প্যানিশ টেনিস তারকা। ইতালির মাত্তেও বেরেত্তিনির বিপক্ষে দাপুটে জয়ে তিনি উঠে গেছেন আসরের ফাইনালে।
শুক্রবার মেলবোর্নের রড লেভার অ্যারেনায় অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পুরুষ এককের প্রথম সেমিফাইনালে ৩-১ সেটে জিতেছেন নাদাল। ম্যাচের আগে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিললেও বেরেত্তিনি সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। তাকে কাবু করে ৩৫ বছর বয়সী নাদাল জিতেছেন ৬-৩, ৬-২, ৩-৬ ও ৬-৩ গেমে।
২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম নিয়ে সার্বিয়ার জোকোভিচ ও সুইজারল্যান্ডের ফেদেরারের সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে আছেন আসরের ষষ্ঠ বাছাই নাদাল। ফাইনালে জিততে পারলে তাদেরকে ছাড়িয়ে পুরুষ এককে সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার ইতিহাস গড়বেন তিনি। আগামী রোববার শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে তার প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকবেন গ্রিসের স্তেফনোস সিতসিপাস কিংবা রাশিয়ার দানিল মেদভেদেভ।
গত বছর চোট সমস্যায় ভোগা নাদাল সপ্তম বাছাই বেরেত্তিনিকে হারানোর পর বলেছেন পারফরম্যান্স নিয়ে তৃপ্তি ও সন্তুষ্টির কথা, 'প্রথম দুটি সেট ছিল গত অনেক দিনের মধ্যে খেলা আমার সেরা। আমাকে ভুগতে হয়েছে। আমাকে লড়াই করতে হয়েছে। তবে আবারও ফাইনালে ওঠা আমার জন্য অনেক অর্থবহ।'
ব্যাকহ্যান্ডে বেরেত্তিনির দুর্বলতার বিষয়টি লক্ষ করে শুরু থেকেই তাকে চেপে ধরেন নাদাল। ঝড়ের গতিতে মাত্র এক ঘণ্টা ২৫ মিনিটের মধ্যে প্রথম দুই সেট জিতে যান তিনি। তৃতীয় সেট অবশ্য হাতছাড়া হয় তার। তবে চতুর্থ সেটে ফের দেখা মেলে অপ্রতিরোধ্য নাদালের। ম্যাচ পয়েন্টের জন্য সার্ভিসের শুরুতে ডাবল ফল্ট করলেও বেরেত্তিনির আরেকটি ব্যাকহ্যান্ড জালে বাধা পেলে উল্লাসে মাতেন তিনি।
এই নিয়ে ২৯তম বারের মতো কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে উঠলেন নাদাল। অন্য তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম (ফরাসি ওপেন, উইম্বলডন ও ইউএস ওপেন) অন্তত দুবার করে জিতলেও অস্ট্রেলিয়ান ওপেন তিনি জিতেছেন কেবল একবার। ২০০৯ সালে পাঁচ সেটে গড়ানো ফাইনালে তিনি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ফেদেরারকে হারিয়ে।
Comments