আবারও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। ছবি: রয়টার্স

পারমাণবিক ক্ষমতাধর দেশ উত্তর কোরিয়া তার পূর্ব উপকূলে সমুদ্রে আবারও দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বৃহস্পতিবার বলেছে, চলতি মাসে এটি উত্তর কোরিয়ার ষষ্ঠ দফা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলে হামহুং-এর আশপাশের এলাকা থেকে স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাপান সরকারের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা কিয়োডো জানিয়েছে, সন্দেহজনক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো জাপানের একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে অবতরণ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উত্তর কোরিয়া চলতি মাসে জানিয়েছিল, তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করবে এবং 'সাময়িক-স্থগিত কার্যক্রম' পুনরায় শুরুর বিষয়টি বিবেচনা করবে। যা পারমাণবিক অস্ত্র এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ওপর স্ব-আরোপিত স্থগিতাদেশের একটি আপাত ইঙ্গিত।

গত মঙ্গলবা উত্তর কোরিয়া তার পূর্ব উপকূলে সমুদ্রে ২টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে, ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে দেশটি ধারাবাহিকভাবে অস্ত্র পরীক্ষার করছে।

এ মাসের শুরুর দিকে উত্তর কোরিয়া কৌশলগত গাইডেড মিসাইল, দুটি 'হাইপারসনিক মিসাইল' এবং একটি রেল-বাহিত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা পরীক্ষা করেছিল।

একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের সরকারের পক্ষ থেকে নিন্দা জানানো হয়েছে এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক শুরু হয়েছে। যারা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব লঙ্ঘনের জন্য উত্তর কোরিয়াকে নিষিদ্ধ করেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এ মাসে উত্তর কোরিয়ার বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র কর্মসূচীতে সহায়তা করার অভিযোগে নিষিদ্ধ করেছিল। কিন্তু, চীন ও রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার ৫ নাগরিকের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য মার্কিন প্রচেষ্টা বিলম্বিত করেছিল।

বুধবার জাপান ও কোরিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্ক ল্যাম্বার্ট বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কথা বলার ব্যাপারে ওয়াশিংটনের কোনো আপত্তি নেই। তারা যে কোনো জায়গায় বৈঠক করতে এবং যে কোনো বিষয়ে কথা বলতে ইচ্ছুক।

উত্তর কোরিয়া তার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে আত্মরক্ষার সার্বভৌম অধিকার বলে দাবি করেছে এবং বলেছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রমাণ করেছে ওয়াশিংটন আলোচনার প্রস্তাব দিলেও তারা পিয়ংইয়ংয়ের প্রতি 'প্রতিকূল' নীতি বজায় রেখেছে।

উত্তর কোরিয়া ২০১৭ সাল থেকে দূরপাল্লার আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) উৎক্ষেপণ করেনি বা পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করেনি। তবে ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যর্থ শীর্ষ সম্মেলনের পরে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ আলোচনা স্থগিত হওয়ার পরে বেশ কয়েকটি স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা শুরু করে।

Comments

The Daily Star  | English

‘Shockingly insufficient’

"The proposed decision to allocate USD 250 billion per year for all developing countries is shockingly insufficient," said the adviser

8h ago