টিকা না নিলে ফরাসি ওপেনেও খেলতে পারবেন না জোকোভিচ!
১১ দিনের নানা নাটকের পর অস্ট্রেলিয়া থেকে শেষ পর্যন্ত ফিরে আসতে বাধ্য হন নোভাক জোকোভিচ। তাতে আপাত দৃষ্টিতে ঝামেলা মিটেছে বলে মনে হলেও ছাড় পাচ্ছেন না এ সার্বিয়ান তারকা। নতুন ঝামেলায় পড়তে যাচ্ছেন তিনি। কারণ বাধ্যতামূলক টিকা নেওয়ার ব্যাপারটি চালু হতে যাচ্ছে ফ্রান্সেও। আর এমনটা হলে ফরাসি ওপেনেও অংশ নিতে পারবেন না এ তারকা।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরুতেই অবশ্য জোকোভিচ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, কোনো ধরণের টিকা নেবেন না তিনি। নিজের সিদ্ধান্তেও অটলও থেকেছেন। তার এ সিদ্ধান্তের কারণে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলতে দেশটিতে গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছে তাকে। সে ধারায় এবার ফরাসি ওপেনেও অবাঞ্ছিত থাকতে পারেন এ তারকা।
ফ্রান্সের ক্রীড়া মন্ত্রী রোজানা মারাকিনেনু এক টুইটার বার্তায় লিখেছেন, 'টিকা পাসের ব্যাপারটি মেনে নেওয়া হয়েছে। আইন জারি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফরাসি বা বিদেশি খেলোয়াড়, সমস্ত দর্শক, অনুশীলনকারীদের (স্টেডিয়াম, থিয়েটার বা লাউঞ্জ) পাবলিক ভবনগুলোতে স্বাস্থ্য পাসের সাপেক্ষে প্রবেশ বাধ্যতামূলক করা হবে।'
টিকা সংক্রান্ত আইনটি খুব শীগগিরই পাশ করতে যাচ্ছে ফ্রান্স। রেস্তরাঁ, ক্যাফে, সিনেমা হল, দূরপাল্লার ট্রেনের মতো জনবহুল জায়গায় প্রবেশের জন্য টিকার সার্টিফিকেট দেখানো আবশ্যক করবে তারা। এমনকি দর্শক থেকে খেলোয়াড় সকলেরই নিয়ম মানা বাধ্যতামূলক করবে দেশটি। সেক্ষেত্রে বড় ঝামেলা অপেক্ষা করছে জোকোভিচের জন্য।
টিকা না দেওয়া থাকা সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ান ওপেন কর্তৃপক্ষের বিশেষ ছাড়পত্র পেয়ে মেলবোর্ন উড়ে গিয়েছিলেন জোকোভিচ। কিন্তু দেশটিতে পোঁছানোর পরই ভিসা বাতিল করে অস্ট্রেলিয়া। আবেদনপত্রে ভুল থাকায় বিমানবন্দর থেকে বেরোনোর অনুমতি পাননি। একই সঙ্গে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয় তাকে।
ঘটনা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। এর বিরুদ্ধে আপিল করে ভিসা ফেরত দেওয়ার রায় দেয় আদালত। নানা নাটকের পর ফের তার ভিসা বাতিল করা হয়। যে কারণে রাত কাটাতে হয় ডিটেনশন সেন্টারেও। শেষে বাধ্য হয়েই অস্ট্রেলিয়া ছাড়তে হয় তাকে।
আগামী মে মাসে শুরু হবে ফরাসি ওপেনের আসর। ততদিনে পরিস্থিতি হয়তো বদলাতে পারে। অস্ট্রেলিয়ায় হওয়া ঝামেলা থেকে হয়তো শিক্ষা নিতে পারেন জোকোভিচ।
Comments