গুজব ছড়ানো হচ্ছে যে, আমি বসে পড়ব: তৈমূর

তৈমূর আলম খন্দকার। ছবি: স্টার

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, গুজব ছড়ানো হচ্ছে যে, আমি বসে পড়বো। বসে পড়ার জন্য শত প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলা করে আমি নির্বাচনে নামি নাই। নির্বাচন করার জন্যই আমি নির্বাচনে নেমেছি, নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রয়োজনে।

আজ শুক্রবার সকালে শহরের মিশনপাড়া এলাকায় প্রধান সমন্বয়ক ও প্রধান এজেন্টের কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলে।

ভোটারদের উদ্দেশ্যে তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, 'আপনারা যেকোন পরিস্থিতি মোকাবিলা করে ভোট কেন্দ্রে যাবেন। সঙ্গে স্মার্ট কার্ড নিয়ে যাবেন এবং ভোট আপনারা দিবেন। আপনারা যে রায় দিবেন সেই রায় আমি মাথা পেতে নেব।'

প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আবেদন জানিয়ে তৈমূর বলেন, 'বিএনপি ও আমাদের নেতাকর্মীদের আপনি গণগ্রেপ্তার বন্ধ করুন। যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদেরকে আপনি দয়া করে নির্বাচনের পূর্বেই মুক্তি দিন। অযাচিত গ্রেপ্তার চলছে। বড় বড় নেতারা নারায়ণগঞ্জে এসে নির্বাচনের পরিবেশকে প্রভাবিত করছেন। প্রশাসনের ওপর চাপ দিচ্ছেন। সার্কিট হাউজ, ডাক বাংলো, নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে অবস্থান করে বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি করছেন এগুলো বন্ধ করুন। নির্বাচনের দিন যাতে বহিরাগতরা প্রবেশ করতে না পারে। বিভিন্ন জেলা থেকে যে লোকজন আনা হচ্ছে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য তারা যেন নারায়ণগঞ্জ শহর ছেড়ে চলে যান। এভাবে আপনি একটি নির্দেশনা জারি করুন। সর্বপরি নারায়ণগঞ্জের মানুষকে, নারায়ণগঞ্জের ভোটারদের উৎসবমুখোর পরিবেশে তাদের মতামত ব্যক্ত করার একটা সুযোগ দিন।'

বরাবরের মতো সিটি করপোরেশনের ট্যাক্স বৃদ্ধি, হোল্ডি ট্যাক্স বেশি, গভীর নলকূপ বসাতে দেড় লাখ টাকা চার্জ, জন্ম নিবন্ধনের জটিলতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে জটিলতা বন্ধের দাবিতে নির্বাচনের অংশগ্রহণ করেছেন, বলেন তৈমূর।

বিএনপি বিভিন্ন নির্বাচনে অভিযোগ দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়। আপনিও কি শেষ পর্যন্ত সড়ে দাঁড়াবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তৈমূর বলেন,'যেকোন পরিস্থিতি মোকাবিলা করে আমি নির্বাচন করবো। আমি সরে দাঁড়ানোর লোক না। আমার দল সরে গিয়েছিল। আমি সরে যাইনি। দল আমাকে মুক্তি দিয়েছে যাতে আমি এ নির্বাচন করতে পারি। আমার পাশে যাদের দেখছেন তারা বিএনপির দায়িত্ব প্রাপ্ত লোক।'

নির্বাচন কমিশন ঠু ঠু জগনাথ আপনি বলছেন। তারপরও নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখছেন এমন প্রশ্নের তৈমূর বলেন,'আস্থা রাখতে চাই। তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক এটা চাই। তাদের সচেতন করতেই আজকের সংবাদ সম্মেলন।'

জয় পরাজয় নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তৈমূর আলম খন্দকার ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, 'কেন হারতে যাবো। নারায়ণগঞ্জবাসীর জনতার প্রার্থী কোনদিন হারবে না। বরং সরকারি প্রার্থী সবসময় হারে নারায়ণগঞ্জে। স্বাধীনতার পর থেকে সরকার যাকে মনোনয়ন দিয়েছে তারা হেরেছে। বর্তমানে যার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি ২০১১ সালে সে ছিল বিদ্রোহী প্রার্থী। শামীম ওসমান ছিলেন তখন সরকারি প্রার্থী। সেই সরকারি প্রার্থীকে ফেল করার জন্য মওদুদ সাহেবের কথা আমাকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।'

নির্বাচন নিয়ে সহিংসতার বিষয়ে আশঙ্কার বিষয়ে তিনি বলেন, 'দিন শেষে আমরা সকলেই নারায়ণগঞ্জবাসী। আমি মনে করি সব দাগ শুকিয়ে যায়। নদীও শুকায়। কিন্তু রক্তের দাগ শুকায় না। এমন কোনো পরিস্থিতি নারায়ণগঞ্জে সৃষ্টি হোক আমি চাই না।'

গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশ বলছে আপনি কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি এর জবাবে তৈমূর বলেন,'পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কোনো বিধান নেই। এটা পুলিশের জানা উচিত। আমি অভিযোগ যা দিচ্ছি আপনাদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দিচ্ছি। নির্বাচন বিষয়ে যা অভিযোগ দেওয়ার সেটা নির্বাচন কমিশনের কাছে দিচ্ছি। এসপি বলছেন, অভিযান জোরদার করবেন। তবে এখন পর্যন্ত সরকার দলের কেউ গ্রেপ্তার হননি। তবে সরকারি দলের নেতাদেরও চাপ দেওয়া হচ্ছে যাতে নৌকার পক্ষে নির্বাচন করে।'

কেন্দ্রে এজেন্ট দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, '৩ সেট এজেন্ট প্রস্তুত রেখেছি। তারা কেন্দ্রে যাবে।'

Comments

The Daily Star  | English

US lowers Bangladesh tariff to 35% from 37%

Failure to secure a more favourable bilateral agreement by Aug 1 deadline would be a significant blow to the country's export-oriented economy

6h ago