প্রয়োজনে মামলা হবে: শাকিব খান

শাকিব খান। ছবি: ইনস্ট্রাগ্রাম থেকে নেওয়া

দেশের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান আমেরিকায়। সেখানে বেশ কয়েকটি সিনেমার পরিকল্পনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। কিন্তু, চলচ্চিত্রের বেশ কয়েকজন এই চিত্রনায়কের নামে মিথ্যা কথা ছড়িয়ে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

শাকিব খান। ছবি: ইনস্ট্রাগ্রাম থেকে নেওয়া

এর পাশাপাশি সিনেমা নিয়ে তার নতুন পরিকল্পনা, আমেরিকায় দিনরাত ও নতুন বছরের ভাবনা নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে মুঠোফোনে কথা হয় দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে।

আপনাকে নিয়ে এক জ্যেষ্ঠ পরিচালক নানান কথা বলছেন। তার কারণ কী?

শাকিব খান: গত নভেম্বরে আমি যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর থেকে খেয়াল করছি চলচ্চিত্রের কয়েকজন আমার নামে আজেবাজে কথা ছড়াচ্ছেন। একজন জ্যেষ্ঠ নির্মাতা আমার বিদেশ যাওয়া নিয়ে কটূক্তি করেছেন।

আমার দেশে না থাকার সুযোগে এমন কথা বলা হচ্ছে। অথচ তার সঙ্গে আমার কোনো ব্যক্তিগত ঝামেলা নেই।

এসব নিয়ে কী মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন?

শাকিব খান: শুধু এসব বিষয় নয়, আমার বিরুদ্ধে অন্যায় কিছু হলে আইনজীবী আছেন তিনিই সেসব দেখবেন। বাজে কিছু ঘটলে প্রয়োজনে তিনি মামলার ব্যবস্থা করবেন। এগুলো ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে হচ্ছে।

আপনার বায়োপিক নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন আরেক জ্যেষ্ঠ নির্মাতা?

শাকিব খান: এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমার বায়োপিক কেন নির্মাণ করতে হবে? আমি এখনো বেঁচে আছি। কারো বায়োপিক করতে গেলে অনুমতি নিতে হয়।

চিত্রনাট্য কে লিখবেন তাও আমার জানতে হবে। এটা যে কেউ লিখলে তো আর হবে না। এগুলো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ।

বায়োপিক নির্মাণ যদি করতে হয় তাহলে নায়করাজ রাজ্জাক, আলমগীর, ফারুক, সোহেল রানা, ববিতা, শাবানা ম্যাডামের বায়োপিক আগে করা হোক।

আমেরিকায় কেমন কাটছে?

শাকিব খান: প্রথম কিছুদিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। এখন সিনেমার বেশ কয়েকটি প্রজেক্ট নিয়ে কথা হচ্ছে। সিনেমার বিষয় নিয়ে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও মিটিং করছি।

সকালে ঘুম থেকে উঠে জিম করি। তারপর মিটিং চলতে থাকে। বলতে পারি, ভালো কিছু প্রজেক্ট আসছে। আর ঢাকায় যেমন কাটতো এখানেও ঠিক তেমনই কাটছে।

আমেরিকা আমার কাছে এক টুকরো ঢাকা হয়ে উঠেছে। এখানে অনেক পরিচিত মানুষ আছেন।

হলিউডের সিনেমা সম্পর্কে কী ধারণা পেলেন?

শাকিব খান: হলিউডের সিনেমা বিশাল ব্যাপার। তাদের সবকিছু অত্যাধুনিক। ইচ্ছা করলেই এখানে কিছু করে ফেলবো তা সম্ভব না। বলিউডের কেউই এখন পর্যন্ত হলিউডে তেমনভাবে কিছুই করতে পারেননি। আমাদের বিষয় আরও দূরের ব্যাপার।

আমেরিকায় কি সিনেমা দেখেছেন?

শাকিব খান: বেশ কয়েকটি সিনেমা দেখেছি। এর মধ্যে হলিউড ও বলিউডের সিনেমা আছে। একটা বিষয় খুব ভালোভাবে বুঝতে পারছি যে দর্শকরা এখন এন্টারটেইনিং সিনেমা দেখতে পছন্দ করছেন।

করোনার পর মানুষ এখন যেন কান্নাকাটি, বিষণ্ণতা, মন খারাপের গল্প দেখতে চাচ্ছেন না। সিনেমা দেখে তারা আনন্দিত হতে চাচ্ছেন। এর মানে অন্য সিনেমা দেখছেন না তা বলছি না। যা দেখেছি তাই বলছি।

নতুন বছরে প্রত্যাশা কী?

শাকিব খান: করোনার প্রকোপ একেবারে কমে আসুক। বিশ্ব সুস্থ হোক। মানুষের ভয় কেটে সবকিছু স্বাভাবিক হোক। আগের মতো আনন্দময় হয়ে উঠুক চারদিক। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশে সিনেমা তৈরি হোক এটাই প্রত্যাশা করছি।

Comments

The Daily Star  | English

$14b a year lost to capital flight during AL years

Bangladesh has lost around $14 billion a year on average to capital flight during the Awami League’s 15-year tenure, according to the draft report of the committee preparing a white paper on the economy.

14h ago