বছরে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার বাড়তি স্থায়ী অভিবাসী নেবে অস্ট্রেলিয়া
করোনা মহামারির কারণে বিপর্যস্ত অস্ট্রেলিয়াকে পুনরুদ্ধারে দেশটির দৃষ্টি এখন অভিবাসীদের দিকে। অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল সরকারের কোষাধ্যক্ষ জোশ ফ্রাইডেনবার্গ বলেছেন, দেশের অর্থনীতেকে পুনরুদ্ধার এবং দক্ষতার ঘাটতি পূরণে সহায়তা করতে অস্ট্রেলিয়ার স্থায়ী অভিবাসন বছরে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার পর্যন্ত বাড়ানো হবে।'
তিনি অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, অতিরিক্ত অভিবাসীরা অস্ট্রেলিয়ান অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সাহায্য করবে এবং অস্ট্রেলিয়াকে করোনা মহামারির ধাক্কা সামলে পুনরুদ্ধার সাহায্য করবে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ২০২০-২১ আর্থিকবছরে দেশটির নেট বিদেশি অভিবাসন প্রথমবারের মতো সর্বনিম্ন স্তরে নেমে এসেছে। এই সময়ে অস্ট্রেলিয়া প্রবেশের চেয়ে বেশি অভিবাসী অস্ট্রেলিয়া ত্যাগ করেছে।
অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আগামী কয়েক বছরেও অস্ট্রেলিয়ায় বিদেশী অভিবাসন ইতিবাচক স্তরে ফিরে আসবে না। প্রায় ২ বছর আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধ থাকার কারণে চলতি বছর দেশটির জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার গত ১০০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
কোষাধ্যক্ষ জোশ ফ্রাইডেনবার্গ বলেন, বিশ্বের মধ্যে টিকা দেওয়ার হার সবচেয়ে বেশি হওয়ায়, আমাদের আন্তর্জাতিক সীমানা প্রত্যাশিত সময়ের প্রায় ৬ মাস আগে খুলে দেওয়া হয়েছে। যেটি অভিবাসন প্রবাহে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।
প্রত্যাশিত সময়ের আগে সীমান্ত খোলার কারণে সরকার অতিরিক্ত ১ লাখ ২০ হাজার অভিবাসী অস্ট্রেলিয়াতে যাবেন বলে আশা করছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক সীমান্ত পুনরায় চালুর পরপরই ফেডারেল সরকার বিশ্বজুড়ে দক্ষ অভিবাসীদের আকৃষ্ট করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ ছাড়াও, অস্ট্রেলিয়া উপকূলবর্তী ভিসা আবেদনকারীদের পুনরুদ্ধার করতে অগ্রাধিকার দেবে।
অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিক ডেটার ভিত্তিতে গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় ৭ মিলিয়নেরও বেশি অভিবাসী আছে। দেশটির জনসংখ্যার অনুপাতে বিদেশে জন্মগ্রহণকারীর সংখ্যা ৩০ শতাংশ।
আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
Comments