ঢাবি শিক্ষার্থী মেঘলাকে হত্যা করা হয়েছে, দাবি সহপাঠী ও শিক্ষকদের

বুধবার অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মানববন্ধন করেন নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ইলমা চৌধুরী মেঘলার মৃত্যুর ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড দাবি করে সুষ্ঠু ও দ্রুত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষক ও সহপাঠীরা।

আজ বুধবার অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এক মানববন্ধনে এ দাবি জানান তারা।

মেঘলার শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন, তার স্বামী নির্যাতনের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।

মানববন্ধনে নৃত্যকলা বিভাগের চেয়ারপারসন রেজওয়ানা চৌধুরী বলেন, 'আমাদের শিক্ষার্থী মেঘলার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। যদি এটা স্বাভাবিক হয়, তাহলে তার শরীরে কেন আঘাতের চিহ্ন থাকবে। হাসপাতালে গিয়ে আমি যে দৃশ্য দেখেছি তা বিশ্বাস করতে পারছি না। তার স্বামীকে দেখে অস্বাভাবিক মনে হয়েছে এবং তার কথাবার্তা খুব অসংলগ্ন ছিল।'

তিনি বলেন, 'আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানাচ্ছি।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর একেএম গোলাম রাব্বানী বলেছেন, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। মেঘলার শরীরে আঘাতের চিহ্ন, তাকে মানসিকভাবেও নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু ও দ্রুত তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। ঢাবি প্রশাসন মেঘলার পরিবারের সঙ্গে আছে।

ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভুঁইয়া এ ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি করেছেন।

কলা অনুষদের ডিন আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শামীম বানু এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও এলমার সহপাঠীরা মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।

এলমার সহপাঠী আরিফুল ইসলাম বলেন, মেঘলা খুবই বন্ধুসুলভ ছিল৷ রক্ষণশীল এক প্রবাসী ব্যক্তির সঙ্গে ফেসবুকে পরিচিত হয়ে ঘরোয়াভাবে তার বিয়ে হয়৷ বিয়ের পর আমরা দেখতে পাই সে তার স্বাভাবিক জীবন থেকে দূরে সরে যায়৷ আমাদের সঙ্গে মিশতে তার স্বামী বাঁধা দিত৷ সে ঘর থেকে বের হতে পারত না৷ বের হলেও তার সঙ্গে একজন গার্ড দিয়ে রাখতো এবং সে কোথায় কী করছে সব কিছু তার স্বামী ভিডিও কলের মাধ্যমে সবকিছু তদারকি করতো৷'

পরিবারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নৃত্যকলা বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মেঘলা ৬ মাস আগে কানাডা প্রবাসী ইফতেখার আবেদীনকে বিয়ে করেন এবং তার স্বামীর বনানীর বাসায় থাকতেন।

এর আগে, রাজধানীর বনানীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ইলমা চৌধুরী মেঘলার (২৬) মৃত্যু হয়। পুলিশ ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

মেঘলার পবিরারের সদস্যরা দাবি করেছিলেন, তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন আছে। তাকে হত্যা করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

You have crushed fascism, now strengthen democracy and press freedom

The Daily Star Editor Mahfuz Anam's appeal to the ‘new generation leaders’

9h ago