প্রধানমন্ত্রীর বুস্টার ডোজের আহ্বানের সঙ্গে আমরা একমত

বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা প্রয়োজন
ছবি: সংগৃহীত

পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে করোনাভাইরাস এখানে থেকে যাবে। যদিও এর ধরন পরিবর্তিত হয়েছে এবং এই ভাইরাস যাতে আমাদের বেশি ক্ষতি করতে না পারে সে বিষয়টি মাথায় রেখে এর সঙ্গে আমাদের বাঁচতে শিখতে হবে।

অস্বীকার করার উপায় নেই যে করোনাভাইরাস মানুষের ওপর প্রভাব বিস্তার করার যে ক্ষমতা রাখে সেই বৈশিষ্ট্যগুলো এখনো দেখা যাচ্ছে।

ধারণা করা হচ্ছে, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট পূর্বের ধরনগুলোর চেয়ে আরও সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, এ পর্যন্ত ৬০টি দেশে শনাক্ত হওয়া ওমিক্রন বিশ্বব্যাপী 'খুব উচ্চ' ঝুঁকি তৈরি করেছে। আতঙ্ক সৃষ্টি করা উচিত নয়। তবে আমাদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নিজেদেরকে রক্ষায় এবং এর প্রভাব কমাতে মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতি প্রয়োজন।

অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বলা যায়, টিকা নেওয়া ছাড়া ভাইরাসটির বিরুদ্ধে ভালো প্রতিরক্ষা আর নেই। একটি ইতিবাচক দিক হলো—কোভিড-১৯ টিকা গুরুতর অসুস্থতা প্রতিরোধে কার্যকর বলে জানা গেছে।

প্রাথমিক গবেষণায় আরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে ফাইজার-বায়োএনটেক টিকার বুস্টার ডোজ সুরক্ষা বাড়ায়। ফাইজার দাবি করেছে, ওমিক্রনে আক্রান্ত গুরুতর রোগীদের জন্য ফাইজারের বুস্টার ডোজ সুরক্ষা বাড়ায়।

সহজ সমাধান হলো বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনতে বেশি সংখ্যক মানুষকে সম্পৃক্ত করার বিকল্প নেই। আমরা মনে করি, এটিই পরিকল্পনাকারীদের বিভ্রান্তিতে ফেলেছে।

তবে কারো হতাশ হওয়ার দরকার নেই। কারণ সুপরিকল্পিত উপায়ে টিকাদান কর্মসূচির এগিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জনসংখ্যার ৩০ শতাংশেরও কম মানুষকে সম্পূর্ণ ডোজ ও ৫০ শতাংশকে এক ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। যে হারে টিকা দেওয়া হচ্ছে তাতে ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারির মধ্যে অন্তত ৭০ শতাংশ জনগণকে সম্পূর্ণভাবে টিকা দেওয়া যেতে পারে।

আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানের পুনরাবৃত্তি করছি যে বুস্টার ডোজ দিতে একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হোক এবং এটি অবশ্যই দেশে চলমান করোনা টিকা কর্মসূচির সঙ্গে সমান তালে চলতে হবে।

আমরা যতটা জানি, ইতোমধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী ও ফ্রন্টলাইন কর্মীদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে।

তবে ৬০ বছরের বয়সের নিচে যাদের স্বাস্থ্যগত সমস্যা রয়েছে এবং কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে তা জটিল হতে পারে তাদের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কিছুটা নমনীয়তা দেখানো যেতে পারে।

তা ছাড়া, বুস্টার ডোজের জন্য জনগণকে টাকা পরিশোধ করতে হবে কি না তা নিয়ে কোনো বিতর্ক থাকা উচিত নয়। সরকারের উচিত অবশ্যই এটি বিনামূল্যে দেওয়া।

Comments

The Daily Star  | English

Onion price rises on supply crunch

Onion prices at retail markets in Dhaka rose by Tk 10 to Tk 15 per kilogramme (kg) over the past week, deepening the woes of low and fixed-income people..Wholesale and retail traders across the capital said a supply crunch is causing the volatility in onion prices..Nurul Alam Shikdar

15m ago