দেশে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়া রোধে প্রয়োজন সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। দেশের নারী জাতীয় ক্রিকেট দলের ২ খেলোয়াড়, যারা গত সপ্তাহে কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হয়েছিলেন, তারা ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। তাদেরকে কোয়ারেন্টিনে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে এবং আমরা আশা করি তারা দ্রুত পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন।

তবে, এটি আমাদের সবার জন্য সর্তক বার্তা হওয়া উচিত।

ডিসেম্বরের প্রথম দিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বিশ্বের ২৪টি দেশে ওমিক্রন পাওয়ার সংবাদ জানায়। এক সপ্তাহ পর, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায় যে, ওমিক্রন প্রায় ৪০ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ডব্লিউএইচও এটিও নিশ্চিত করেছে।

সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জানা গেছে, নতুন ভ্যারিয়েন্টটি প্রায় ৬০ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

এ থেকে আমরা বুঝতে পারি এই নতুন ভ্যারিয়েন্টটি কত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

বিজ্ঞানীদের মতে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ওমিক্রন প্রাথমিক পর্যায়ে ৪ দশমিক ২ গুণ বেশি সংক্রামক। এর মানে হলো—এটি অনেক সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং আরও রূপান্তরিত হলে এটি আরও বেশি সংক্রামক হয়ে উঠতে পারে।

করোনা মহামারির শুরুর দিকে দেশ লকডাউনে যেতে বাধ্য হওয়ায় যে ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছিল, তা আমরা এখনো পুষিয়ে উঠতে পারিনি। এর মানে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টটি স্পষ্টভাবেই আমাদের নাগরিকদের স্বাস্থ্যসহ অর্থনীতির জন্য ঝুঁকি তৈরি করেছে।

আমরা যদি আগের মতো পরিস্থিতি অপ্রস্তুতভাবে সামলাতে থাকি তাহলে বাংলাদেশ যে সামনে কঠিন যাত্রার মুখে পড়বে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

আশা করি, কর্তৃপক্ষ আগে যে ভুলগুলো করেছিল তা থেকে শিক্ষা নিয়েছে। আকস্মিক কঠোর ব্যবস্থার পরিবর্তে শুরু থেকেই সরকারকে দেশে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়া রোধে সক্রিয় হতে হবে।

বিমানবন্দরে বা অন্য যেকোনো জায়গায় বা যেসব পয়েন্টে মানুষ বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে সেখানে কঠোর নজরদারি ও স্ক্রিনিং নিশ্চিত করতে হবে। যারা দেশে প্রবেশ করবেন তাদের ন্যূনতম ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ অনুযায়ী, কোভিড-১৯'র প্রতিটি নতুন কেসের জিনোমিক সিকোয়েন্সিং করা উচিত যাতে ওমিক্রনের সংক্রমণ সীমিত করা যায়।

সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে যে হাসপাতালে হঠাৎ করে রোগী বেড়ে গেলে তারা যেন তা মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকে। হাসপাতালে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।

অনুবাদ করেছেন সুচিস্মিতা তিথি

Comments

The Daily Star  | English

Shammo murder: DU students, teachers besiege Shahbagh Police Station demanding justice

The protesters left the area following a meeting with additional deputy commissioner of Ramna Zone

56m ago