গায়ে জোর থাকলে ধীরগতির উইকেটেও কার্যকর হওয়া যায়: আফ্রিদি
উপমহাদেশের উইকেট বরাবরই কিছুটা ধীর গতির হয়ে থাকে। তাই সুবিধাটা পেয়ে থাকেন স্পিনাররা। সে তুলনায় পেসারদের জন্য কাজটা বেশ কঠিনই। তবে শক্তপোক্ত হলে ও গায়ে জোর থাকলে এমন উইকেটেও কার্যকর হওয়া যায় বলে মনে করেন পাকিস্তানের অন্যতম সেরা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি।
মিরপুরে শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামীকাল শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। বরাবরই এ মাঠ সুবিধা দিয়ে আসছে স্পিনারদের। তাই শেষ টেস্টের আগে আলোচনায় এ মাঠের উইকেট। কিন্তু শাহিন শাহ এসব নিয়ে ভাবছেন না। নিজের শক্তিমত্তার উপর যথেষ্ট ভরসা রয়েছে তার।
গায়ে জোর থাকলে এখানেও সাফল্য পাবেন বলে বিশ্বাস করেন শাহিন শাহ, 'এশিয়ার সব উইকেটই আসলে কম-বেশি ধীরগতির। লোকে বলে যে স্পিনারদের সহায়তা বেশি মেলে। তবে শক্তপোক্ত হলে ও গায়ে জোর থাকলে এখানেও কার্যকর হওয়া যায়। জুটি বেধে বল করতে হয়।'
চট্টগ্রামে কিছুটা ব্যাটিং সহায়ক উইকেট ছিল। তবে তাতে সমস্যা হয়নি পাকিস্তানি পেসারদের। দারুণ বোলিং করছেন শাহিন শাহ। দুর্দান্ত বোলিং করেন তার সতীর্থ হাসান আলীও। এ দুই জনের জুটিতে প্রথম ইনিংসে কিছুটা প্রতিরোধ গড়তে পারলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ধসে পড়ে টাইগারদের ব্যাটিং লাইন আপ। প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত জয় পায় পাকিস্তানই।
মিরপুরেও তাই চট্টগ্রামের মতো সাফল্য আশা করছেন শাহিন শাহ, 'হাসানেরও এখানে কৃতিত্ব আছে এবং হাসানের সঙ্গে যখনই আমি বোলিং করি, আমরা নিজেদের মধ্যে ঠিক করে নেই যে, কে কখন আক্রমণ করবে, কে রান আটকে রাখবে। আমার কাছে ব্যাপারটি হলো, ৩ ওভারের স্পেল হোক বা ৫ ওভারের, আগ্রাসী বোলিং করতে চাই। এভাবেই সাফল্য ধরা দিচ্ছে। দ্বিতীয় টেস্টেও আমরা আগের টেস্টের মতো পারফরম্যান্স দিতে চাই।'
আর হাসানের সঙ্গে বোলিং দারুণ উপভোগ করছেন এ পেসার, 'হাসানের সঙ্গে বোলিং দারুণ উপভোগ করি। এবছর ৩৯ উইকেট ওর, আমার ৪৪টি। আমরা জুটি বেধে বোলিং করি এবং নিজেদের মধ্যে পরিকল্পনা করি, কোনো ব্যাটসম্যান ভালো খেলতে থাকলে কিভাবে তাকে আটকে রাখা যায় বা দ্বিধায় ফেলা যায়। হাসানের সঙ্গে বোলিং করতে তাই ভালো লাগে। কারণ সে লড়াকু, লড়াই চালিয়ে যায়।'
Comments