সাকিব ফেরায় নির্ভার মুমিনুল
ইনজুরির কারণে চট্টগ্রাম টেস্টে ছিলেন না সাকিব আল হাসান। তার অনুপস্থিতিটা ভালোভাবেই টের পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে মিরপুর টেস্টেই ফিরছেন এ অলরাউন্ডার। তাতে স্বস্তি মিলেছে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুমিনুল হকের। পাশাপাশি দলের শক্তিও বেড়েছে বলে মনে করেন অধিনায়ক।
নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ দলের সেরা ক্রিকেটার সাকিব। অভিজ্ঞও বটে। সবচেয়ে বড় ১৪টি টেস্টে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তার উপস্থিতি বাড়তি প্রেরণা দেয় বাংলাদেশ দলকে। তেমনি মাঠে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে সঠিক পরামর্শ পেতে পারেন মুমিনুল। প্রতিষ্ঠিত অলরাউন্ডার হওয়ায় দলের ভারসাম্যও ঠিক থাকে।
তাই পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামার আগে বেশ নির্ভার অধিনায়ক, 'উনি দলে থাকলে, ক্যাপ্টেন হিসেবে আমি নির্ভার থাকি। তার ব্যাটিং-বোলিং খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে দলের জন্য। টিম কম্বিনেশনে ভারসাম্য আসে। সবমিলিয়ে সাকিব ভাইয়ের দলে থাকা আমাদের জন্য দারুণ ইতিবাচক।'
সাকিব ফেরায় একাদশ গঠন অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে বাংলাদেশের জন্য। মিরপুরে একজন বাড়তি ব্যাটার খেলাতে পারবে টাইগাররা। চট্টগ্রামে যদিও খেলেছে সাত ব্যাটারই। সঙ্গে ছিল দুই পেসার ও দুই স্পিনার। দুই পেসার ও দুই স্পিনারের সঙ্গে মিরপুরে থাকছেন সাকিব। স্বাভাবিকভাবে দলের শক্তিও বেড়েছে টাইগারদের। মুমিনুলের ভাষায়, 'সাকিব দলে আসলে একটু সহজ হয়। ও আসায় আমরা ৪ বোলার ৭ ব্যাটসম্যান নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছি।'
প্রথম টেস্টের দলে থাকলেও ফিটনেসে ঘাটতি থাকায় খেলেননি সাকিব। তবে নিজেকে ফিরে পেতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে গত শুক্রবার থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করার কাজ করেছেন তিনি। নিজের একাডেমিতে কোচ সালাউদ্দিনের তত্ত্বাবধানে অনুশীলন করেছেন। এরমধ্যে নিজেকে পুরোপুরি প্রস্তুত করে ফেলেছেন বলে মনে করেন মুমিনুল, 'এখন পর্যন্ত তার সবকিছু ঠিকঠাক আছে, ঠিকঠাক দেখেছি।'
আর দলের শক্তি বাড়ায় মিরপুরে ভালো কিছুর প্রত্যাশা করছেন মুমিনুল, 'আমার কাছে টেস্ট ম্যাচে সব সময় প্রথম এক ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি ব্যাট করি, ওরা যদি করে যেই করুক। আমরা যদি একটা ভাল শুরু করি তাহলে ভালো। আর সবাই জানে আমাদের শক্তির জায়গা হলো ব্যাটিং। ব্যাটিং শক্তিতে আমরা যদি ছয় সেশন ব্যাট করতে পারি তাহলে গেমে ফিরতে পারব। অবশ্যই (জয়ের ব্যাপারে) আশা করি।'
Comments