করোনার আরও এক নতুন ভ্যারিয়েন্ট, প্রয়োজন সর্বোচ্চ প্রস্তুতি

ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

করোনাভাইরাসের এক নতুন ও আরও মারাত্মক ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। এটি সত্যিই উদ্বেগজনক। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করতে গিয়ে আমরা খুব কমই স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পেরেছিলাম। এখন আমরা আবারও করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের মুখোমুখি হয়েছি। এটি এখন পর্যন্ত কতজনকে সংক্রমিত করেছে তা এখনও অজানা।

আমরা এই ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে এখন পর্যন্ত যা জানি তা হলো—এটি দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং ডব্লিউএইচও একে করোনাভাইরাস ভ্যারিয়েন্টের সবচেয়ে মারাত্মক বিভাগে তালিকাভুক্ত করেছে, যে তালিকায় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টও আছে।

এখন পর্যন্ত নতুন ভ্যারিয়েন্টটি বতসোয়ানা, বেলজিয়াম, হংকং, যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েলে শনাক্ত হয়েছে।

একটি নতুন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার সংবাদে আমাদের কিছুটা হলেও চিন্তিত হওয়া উচিত। এই পরিস্থিতিতে আমরা ভালো করতে পারবো যদি আমরা এটি মোকাবিলায় ভালোভাবে প্রস্তুত থাকতে পারি। এ প্রসঙ্গে আমরা ডব্লিউএইচও'র স্বাস্থ্য জরুরি কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক মাইকেল রায়ানের কথাই পুনরাবৃত্তি করতে চাই—ভাইরাসগুলো বিবর্তিত হয় এবং আমরা কোনো কোনো ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হই।

তবে এটিই পৃথিবীর শেষ নয়, তাই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে এমনটা ভাবারও কিছু নেই। আমরা বিশ্বাস করি, আতঙ্কিত না হয়ে আমাদের উচিত সময় এলে স্বাস্থ্য ও অন্যান্য নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা জোরপূর্বক প্রয়োগ করা, স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে ভালোভাবে প্রস্তুত করা এবং এর জন্যে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও মানবসম্পদ—উভয় ক্ষেত্রেই পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করা, যাতে ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলেও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এর সামাল দিতে পারে।

জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি বাড়ানো এবং বাড়ির বাইরে ও জমায়েতে মাস্কের ব্যবহার এখন অপরিহার্য। আমাদের উচিত মাস্ক পরাকে অভ্যাসে পরিণত করা। নতুন ভাইরাসটি এখন পর্যন্ত অনুমোদন পাওয়া ভ্যাকসিনগুলোর বিরুদ্ধে কতটা প্রতিরোধী তা কেউ জানেন না।

তা সত্ত্বেও, সরকারের টিকাদান কর্মসূচি আরও বাড়ানো উচিত। কারণ এখন পর্যন্ত, জনসংখ্যার মাত্র ২০ দশমিক ৬৫ শতাংশ ২ ডোজ টিকা পেয়েছেন এবং ৩৩ শতাংশ কেবল প্রথম ডোজ পেয়েছেন।

আমাদের অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। এ বছরের মে মাসে দ্বিতীয়বার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় লকডাউন দিতে হয়েছিল, আগস্টে তা প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু, আফসোসের বিষয় লকডাউনটি শিথিল ছিল, যার কারণে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যা হওয়ার কথা ছিল না।

আমরা বিশ্বাস করি, নতুন ভ্যারিয়েন্টকে নিয়ন্ত্রণ করার একমাত্র উপায় হলো এর ছড়িয়ে পড়া ও বিবর্তন রোধ করা। ভাইরাস মানুষের মধ্যে বেড়ে ওঠে, মানুষই একে বহন করে এবং মানুষের মাধ্যমেই এটি ছড়ায়। তাই সবার আগে আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা হওয়া উচিত নতুন ভ্যারিয়েন্টটি যাতে দেশে প্রবেশ না করতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English

US-China tariff war punishes Bangladesh

Bangladesh is one of those nations that face pressure from Washington to decouple their manufacturing industries from Chinese suppliers, according to officials familiar with trade negotiations.

12h ago