সাকিবের রোলটাই পালন করলেন তাইজুল
নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ দলের সেরা বোলার সাকিব আল হাসান। গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশের বোলারদের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন তিনি। প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে হলে তাকেই বেছে নেন অধিনায়করা। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে নেই এ অলরাউন্ডার। তাই তার কাজটা বর্তেছে আরেক অভিজ্ঞ স্পিনার তাইজুল ইসলামের কাঁধে। সে কাজটা দারুণভাবেই পালন করলেন এ বাঁহাতি স্পিনার।
চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে নেমে বিনা উইকেটে ১৪৫ রান তুলে রীতিমতো চোখ রাঙাচ্ছিল পাকিস্তান। বড় লিডের ইঙ্গিতই দিচ্ছিল দলটি। সেখান থেকে উল্টো লিড পেয়ে যায় বাংলাদেশ। তাও ৪৪ রানের। আর এমন অসাধ্য সাধন হয়েছে তাইজুলের জাদুতেই। দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং এদিনের শুরুতেই পাক শিবিরে জোড়া ধাক্কা দেন। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানকে ২৮৬ রানে গুটিয়ে দেওয়ার মূল কারিগর এ বাঁহাতি স্পিনারই। একাই নেন ৭টি উইকেট।
মূলত সাকিব দলে না থাকলেই বাড়তি দায়িত্বটা কাঁধে তুলে নিতে হয় তাইজুল। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত (পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচসহ) ৩৪ ম্যাচে বল করে ৩২.১৬ গড়ে উইকেট পেয়েছেন ১৪১টি। এরমধ্যে সাকিবকে ছাড়া ১৬ টেস্টে বল করেছেন তাইজুল। সেখানে তার উইকেট সংখ্যা ৭২টি। বাকি ১৮ টেস্টে তার উইকেট সংখ্যা ৬৯টি। আর এই ১৮ টেস্টে সাকিব উইকেট নিয়েছেন ৭৭টি।
পরিসংখ্যানই বলে দেয় সাকিব না থাকলে বাড়তি দায়িত্ব ভালোভাবেই সামলে নেন তাইজুল। সংবাদ সম্মেলনে মিলল তার অকপট স্বীকারোক্তিও, 'সাকিব ভাই ছাড়া... সেতো আজকে না, অনেকগুলো ম্যাচেই সাকিব ভাই ছাড়া আমি খেলছি। সাকিব ভাই থাকলে রোলটা আমার একরকম হয়, সাকিব ভাই না থাকলে আরেক রকম হয়। এটা হওয়াটা স্বাভাবিক। সাকিব ভাই সাকসেসফুল ক্রিকেটার।'
সাকিব না থাকলে তার দায়িত্বটা কি হয় তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তাইজুল, 'যেহেতু সাকিব ভাই নেই। সেহেতু সাকিব ভাইয়ের রোলটা আমাদের পালন করতে হয়েছে। আগে যেটা বললাম। রান চেকেরও একটা চাপ থাকে, উইকেট নেওয়ারও একটা চাপ থাকে আর কি। এই রোলটাই আমাকে পালন করতে হয়। উইকেটও নিতে হবে রানও চেক দিতে হবে। এটাই আর কি।'
Comments