আমার কষ্ট ছিল, পরিশ্রম ছিল প্রচুর: লিটন
ছিলেন নানামুখী তীব্র চাপে। সেই চাপ সরিয়ে নিঃশ্বাস ফেলার জায়গা বের করতে হলে বিশেষ কিছুই করে দেখাতে হতো। পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ সেঞ্চুরিতে লিটন দাস করলেন সেটাই। তবে ফলটা এত সহজে আসেনি। ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্সের পরামর্শ, শৈশবের দুই কোচের সেশন আর নিজের কষ্ট-পরিশ্রমে এসেছে সাফল্য।
টেস্টে প্রথম দিনেই সেঞ্চুরি করেন লিটন। দ্বিতীয় দিনে আর বেশি কিছু করা হয়নি। আগের দিনের সঙ্গে এক রান যোগ করেই ফেরেন ১১৪ রানে। প্রথম দিনের খেলা শেষ করে এসে প্রিন্স জানিয়েছিলেন স্ট্যান্সে কিছু বদল এনেছেন লিটন, অ্যালাইনমেন্টও ঠিক করেছেন। শনিবার দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে কথা বলতে এলে এসব নিয়ে প্রশ্নের জবাবে জানালেন, টেকনিক্যাল কিছু বদল বেশ কাজে দিয়েছে তার।
এসব বদলে বড় ভূমিকা রেখেছেন বিকেএসপির তার শৈশবের দুই কোচ, 'ব্যাটিংয়ের জিনিসগুলো আসলে ছোট ছোট খুবই। অনেক সময় স্টান্সে ছোট্ট একটা বদল আনলে অনেক কিছু হয়। কিংবা ব্যাক লিফট বদল করলেই খেলার ধরন বদলে যায়। এসব নতুন কিছু না। যখন আমি বিকেএসপিতে ছিলাম জাতীয় লিগের ম্যাচে, তখন ফাহিম স্যার (বিকেএসপির ক্রিকেট পরামর্শক নাজমুল আবেদীন) ও মন্টু স্যারের (মন্টু দত্ত) সঙ্গে আলাপ করেছিলাম যে আমার সমস্যা হচ্ছিল।'
কোচদের পরামর্শ শুনে চট্টগ্রামে এসে প্রিন্সের সঙ্গে চালান নিবিড় কাজ। যাতে মিশে ছিল তার একাগ্রতা আর পরিশ্রম, 'সেখান থেকে আসার পর চট্টগ্রামে আমাদের যে দুটো অনুশীলন সেশন করেছি, আমি ওভাবেই চেষ্টা করেছি। তার (প্রিন্স) কাছেও মনে হচ্ছিল যে ছোট্ট একটা জায়গায় সমস্যা হচ্ছে। সেজন্য কোনো একটা জায়গায় বদল এনেছেন। তবে আমি বলব না যে স্টান্স বদল করার কারণেই ভালো খেলেছি। কারণ আমার কষ্ট ছিল, পরিশ্রম ছিল প্রচুর।'
Comments