লিটন-মুশফিকের ঝলকে বাংলাদেশের দারুণ সেশন
দ্বিতীয় সেশনে খাদের কিনার থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় নেমেছিল বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের ঝলকে সেই চেষ্টায় অনেকটাই সাফল্য এসেছে। এই দুজনের ফিফটিতে দ্বিতীয় সেশনে কোন উইকেটই হারয়নি বাংলাদেশ।
শুক্রবার চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন চা-বিরতি পর্যন্ত বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ১৭১। দ্বিতীয় সেশনে টাইগাররা তুলেছে ১০২, হারায়নি কোন উইকেট।
৬২ রানে অপরাজিত আছেন লিটন, ৫৫ রান নিয়ে খেলছেন মুশফিক। পঞ্চম উইকেটে তাদের জুটিতে এসে গেছে ১২২ রান।
অথচ সেশনে পরিস্থিতি ছিল একেবারে ভিন্ন। নড়েচড়ে বসার আগেই ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দল পড়েছিল ভীষণ বিপদে। উইকেট ব্যাট করার জন্য ভালো হলেও দলের পরিস্থিতি ছিল প্রচণ্ড চাপের।
মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে জুটি বেধে সেই চাপ সরাতে থাকেন লিটন দাস। গত কদিন ধরে টি-টোয়েন্টি ব্যর্থতায় তার উপর চেপে বসা সমালোচনার চাপও সরানোয় দায় ছিল।
একই সমান্তরালে ছিল মুশফিকুর রহিম। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ব্যর্থতায় যাকে বাধ্যতামূলক বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। দুজনে মিলে দারুণভাবে সামলান পরিস্থিতি।
পঞ্চম উইকেটে আসে শতরানের জুটি। লাঞ্চের পর নেমে তাদের আলগা করতে টানা চেষ্টা চালিয়েছেন শাহীন আফ্রিদি। পাকিস্তানের সেরা বোলারকে হতাশ করতে থাকেন মুশফিক-লিটন। ভালো বল ছেড়ে দিয়ে জোনের বল সীমানা ছাড়া করতে ভুল হয়নি তাদের।
স্পিনারদের খেলেছেন একদম অনায়াসে। লিটন ক্যারিয়ারের দশম ফিফটি স্পর্শ করেন ৯৫ বলে। সর্বশেষ ১১ ইনিংসে এটি তার ৬ষ্ঠ ফিফটি। ফিফটি করতে ছয়টি চার ও সাজিদ খানকে বেরিয়ে এসে একটি ছক্কাও মারেন লিটন।
আগের দিন অধিনায়ক মুমিনুল হক বলেছিলেন টি-টোয়েন্টির বাজে প্রভাব লিটনের টেস্ট পারফরম্যান্সে পড়বে না। সেটিই দেখা গেল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
(চা-বিরতি পর্যন্ত)
বাংলাদেশ: ৫৯ ওভারে ১৭১/৪ ( সাদমান ১৪, সাইফ ১৪, শান্ত ১৪, মুমিনুল ৬, মুশফিক ৫৫* , লিটন ৬২* ; শাহীন ০/২৯ , হাসান ১/৩৭, ফাহিম ১/২৩, সাজিদ ১/৩৮ , নোমান ০/৩৮)
Comments