ব্যাটিং বিপর্যয়ে বিপাকে বাংলাদেশ

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

টস জিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় অধিনায়ক মুমিনুল হক বলেছিলেন, উইকেট দেখে ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো মনে হচ্ছে তার। তবে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারল না বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের টপ অর্ডারের চার ব্যাটারকে সাজঘরে ফিরিয়ে প্রথম সেশন নিজেদের করে নিল সফরকারী পাকিস্তান।

শুক্রবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম দিনে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। এই প্রতিবেদন লেখার সময়, প্রথম ইনিংসে ২৮ ওভারে তাদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৬৯ রান। উইকেটে আছেন মুশফিকুর রহিম ৪০ বলে ৫ ও লিটন দাস ৩২ বলে ১১ রানে।

দিনের প্রথম ওভার থেকেই দারুণ বল করেন পাকিস্তানের পেসাররা। উইকেট থেকে সুইং ও বাউন্স আদায় করে নেন তারা। শাহিন শাহ আফ্রিদি বাংলাদেশের ইনিংসে প্রথম ধাক্কা দেওয়ার পর উইকেটের দেখা পান হাসান আলি আর ফাহিম আশরাফ। স্পিনাররাও পাচ্ছেন সহায়তা। সাজিদ খানের ঝুলিতে গেছে এক উইকেট।

কাকতালীয়ভাবে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারই আউট হন ১৪ রানে। বিদায়ের শুরুটা সাইফ হাসানকে দিয়ে। বাঁহাতি পেসার শাহিনের লাফিয়ে ওঠা বলে শর্ট লেগে আবিদ আলির তালুবন্দি হন তিনি। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ও টেকনিক নিয়ে সমালোচনার মধ্যে থাকা এই ডানহাতির ১২ বলে ১৪ রানের ইনিংসে চার ৩টি।

পঞ্চম ওভারে সাইফ মাঠ ছাড়ার পর দুবার বেঁচে যাওয়া সাদমান ইসলাম ১৪ রানে আউট হন অষ্টম ওভারে। ২৮ বল খেলে ৩ চার মারেন তিনি। হাসানের ভেতরে ঢোকা বলে এলবিডাব্লিউ হন তিনি। রিভিউ নিলেও লাভ হয়নি। উল্টো তা খোয়ায় বাংলাদেশ।

বাঁহাতি সাদমান অবশ্য ফিরতে পারতেন ইনিংসের প্রথম ওভারেই। শাহিনের ডেলিভারি তার ব্যাট ছুঁয়ে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের গ্লাভসে জমা পড়লেও আবেদন করেনি পাকিস্তান। তখনও বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে ওঠেনি কোনো রান। এরপর চতুর্থ ওভারে ফের ভাগ্য সহায় হয় সাদমানের। হাসানের ভেতরে ঢোকা বলে জোরালো এলবিডাব্লিউয়ের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার শরফুদৌল্লাহ। পাকিস্তানও নেয়নি রিভিউ। পরে টেলিভিশন রিপ্লেতে দেখা যায়, লাইনে থাকা ডেলিভারিটি আঘাত করত স্টাম্পে। কিন্তু সাদমান কাজে লাগাতে পারেননি সুযোগ।

৩৩ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ভালো একটি জুটির দরকার ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু প্রথম ঘণ্টা শেষে পানি পানের বিরতির পর দ্বিতীয় ওভারেই আবার বিপদ ঘটে। রিভিউ নিয়ে মুমিনুলের উইকেট তুলে নেয় পাকিস্তান। অফ স্পিনার সাজিদের বলে রিজওয়ানের হাতে ধরা পড়েন তিনি। চট্টগ্রামের মাঠে অনেক বড় ইনিংস খেলা এই বাঁহাতি ৬ রান করেন ১৯ বলে।

পরের ওভারেই বিপদ বাড়িয়ে ফেরেন দেখেশুনে খেলতে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত। মিডিয়াম পেসার ফাহিমকে কাট করতে গিয়ে সাজিদের দুর্দান্ত ক্যাচের শিকার হন তিনি। বেশ কয়েকবার রিপ্লে দেখে আউটের সিদ্ধান্ত দেন টিভি আম্পায়ার। এতে থামে ২ চারের সাহায্যে তার ৩৭ বলে ১৪ রানের ইনিংস।

৪৯ রানে ৪ উইকেটের পতনের পর সেশনের শেষ ১০ ওভার কাটিয়ে দেন মুশফিক ও লিটন। অভিজ্ঞ মুশফিক আছেন মাটি কামড়ে। দারুণ প্রতিভাবান লিটন খেলছেন স্বাচ্ছন্দ্যে।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus urges calm, condemns lawyer's murder

He has ordered an investigation into the killing and appropriate legal course, read a Facebook post of his Press Secretary Shafiqul Alam

53m ago