দুবার বেঁচেও পারলেন না সাদমান, সাইফ সেই একই পথের পথিক
শাহিন শাহ আফ্রিদির ইনিংসের প্রথম বলই সামান্য বেরিয়ে কাঁপিয়ে দিল সাদমান ইসলামকে। পঞ্চম বলে ব্যাটে বল লাগিয়েও বেঁচে গেলেন তিনি, পরে আরও একবার বেঁচে গিয়েও কাজ হয়নি। সাইফ হাসান আরও একটি সুযোগ হাতছাড়া করেন দৃষ্টিকটু আউটে। আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হলো না বাংলাদেশের।
শুক্রবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং নিয়ে প্রথম ১০ ওভারে ২ উইকেটে ৩৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
শাহীনের একদম পঞ্চম বলেই আউট ছিলেন সাদমান। তার সামান্য বেরিয়ে যাওয়া বলে সাদমানের ব্যাট স্পর্শ করে কিপারের গ্লাভসে জমা পড়েছিল। কিন্তু বোলার-ফিল্ডার কেউই আবেদন না করায় বেঁচে যান সাদমান।
চতুর্থ ওভারে আবারও ভাগ্য সহায় হয় সাদমানের। এবার বোলার ছিলেন হাসান আলি। তার ভেতরে ঢোকা বল লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে ব্যাটে নিতে পারেননি ৫ রানে থাকা সাদমান। পাকিস্তান জোরালো আবেদন করলেও আম্পায়ার শরফুদৌল্লাহ সৈকত সাড়া দেননি, নিজেদের মধ্যে আলাপ করেও রিভিউ নেয়নি পাকিস্তান। কিন্তু পরে রিপ্লেতে দেখা যায় বল ছিল ইন লাইন, উইকেটেও হিট করছিল।
ঠিক পরের ওভারেই সাফল্য পায় পাকিস্তান। পারফরম্যান্সের কারণে প্রশ্নবিদ্ধ থাকলেও সাইফ হাসান পেয়েছিলেন আরেকটি সুযোগ। কিন্তু শাহীনকে সামলাতে পারলেন না আরেকবার। এদিন অবশ্য শুরুতে কিছুটা সাবলীল লাগছিল তাকে। তিন চারে শুরুটা শেষ হয়েছে টেল এন্ডারদের মতো বিদায়ে। শাহীনকে মোকাবেলা করেছিলেন ৪ বল। তাতেই কাত। শাহীনের বাউন্সার লাফিয়ে ব্যাট লাগিয়ে ক্যাচ দেন ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে।
হাসান রিভিউ না নেওয়ায় একবার বেঁচে গেলেও পরে ঠিক একই ধরণের ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউতেই বিদায় তার। ২৮ বলে তিন চারে সাদমানও থামেন ১৪ রানে।
Comments