চট্টগ্রাম টেস্টে কোন এগারো জন?
সবশেষ খেলা টেস্টের দল থেকে তিনজন এই স্কোয়াডেই নেই। তিনটি বদল তাই নিশ্চিতই। বোলিং আক্রমণে আসবে একাধিক বদল, ব্যাটিং অর্ডারে কিছুটা অদল বদল অবধারিত।
জুলাই মাসে জিম্বাবুয়েতে খেলা সবশেষ টেস্টে চোটের কারণে ছিলেন না তামিম ইকবাল। ভিন্ন আরেকটি চোট তাকে সরিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান সিরিজ থেকেও। তামিমের অনুপস্থিতিতে সাদমান ইসলামের সঙ্গে সাইফ হাসানের নামার কথাই ছিল। কিন্তু এই তরুণের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ও নতুন দলে আসা মাহমুদুল হাসান জয়ের সপ্রতিভ উপস্থিতি বদলে দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের চিন্তা।
বয়সভিত্তিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটে কখনই ওপেন করেননি জয়, খেলেন তিন নম্বরে। যেহেতু তিন নম্বরে খেলেন কাজেই তাকে ওপেনার হিসেবেই বিবেচনা করে দলে নেওয়ার কথা জানান অধিনায়ক মুমিনুল হক। বুধ ও বৃহস্পতিবার অনুশীলনে জয়ের ভূমিকাও দেখা যায় সেভাবেই। প্রথমেই সাদমানের সঙ্গে পাশাপাশি নেটে প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি। ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স তার সঙ্গে কাজ করেছেন আলাদাভাবে। তার অভিষেকের আভাস তাই মিলছে।
সাদমানের সঙ্গী হিসেবে জয়কে দেখার সম্ভাবনাই জোরালো। ব্যাটিং অর্ডারে তিন, চার ও পাঁচ নম্বর পজিশন নিয়ে কোন সংশয় নেই। একে একে নামবেন নাজমুল হোসেন শান্ত, অধিনায়ক মুমিনুল ও মুশফিকুর রহিম।
টেস্টে ছয় নম্বরে নামেন সাকিব আল হাসান। বোলিংয়েও বাংলাদেশের মূল অস্ত্র তিনি। সাকিব না থাকায় দলের ভারসাম্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই জায়গায় একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান নাকি বাড়তি বোলার খেলানো উচিত তা নিয়ে আগের দিন পর্যন্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি দল। মুমিনুল জানান, সকালে মাঠে গিয়ে আরেক দফা উইকেট দেখেই হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে বাংলাদেশের প্রত্যাশার মাপকাঠি জানান দিচ্ছে, হয়ত বাড়তি ব্যাটসম্যানের অপশনের দিকেই যাবে দল। সেক্ষেত্রে দুই বছরের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন সংস্করণে জাতীয় দলের স্কোয়াডে থাকা ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বির অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। ইয়াসিরের অভিষেক হলেও তিনি ছয়ে না খেলে সাতে নামতে পারেন। সেক্ষেত্রে টেস্টে ছন্দে থাকা কিপার ব্যাটসম্যান লিটন দাসকে দেখা যাবে এক ধাপ উপরে উঠে খেলতে।
আট ও নয় নম্বরে দুই স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলামই পছন্দ। বোলিংয়ের পাশাপাশি মিরাজের ব্যাটিংও পেতে চাইবে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়েতে আট নম্বরে খেলেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তিনি অবসরে গিয়েছেন। সেই টেস্টেও বাংলাদেশ খেলেছিল চার বোলার নিয়ে। এবার সে পথে হাঁটার সম্ভাবনাই প্রবল।
শেষ দুটি জায়গা বরাদ্দ দুই পেসারের জন্য। তাসকিন আহমেদ না থাকায় এখানেও আসছে বদল। তাসকিনের অনুপস্থিতিতে দলের মূল পেসার এখন আবু জায়েদ রাহি। স্কোয়াডে আছেন সব মিলিয়ে পাঁচ পেসার। রাহির সঙ্গী হওয়ার দৌড়ে ইবাদত হোসেন থাকলেও আগের দিন সন্ধ্যায় স্কোয়াডে যুক্ত হওয়া খালেদ আহমেদের নামও এখন সম্ভাব্য তালিকায়। খালেদকে খেলতে নামতে দেখলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের লাল বলের দ্বৈরথ শুরু হবে সকাল ১০টায়।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বি, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ রাহি, সৈয়দ খালেদ আহমেদ/ইবাদত হোসেন।
Comments