ইয়াসিরের অপেক্ষা এবার ফুরাবে তো?
পুরনো বলে স্পিনারদের বিপক্ষে লম্বা ব্যাটিং সেশন করার পর থ্রো ডাউনে পেস বল মোকাবেলা করার প্রস্তুতি সারেন ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বি। দুই দিনই ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স এই তরুণের সঙ্গে কাজ করেন নিবিড়ভাবে। অনুশীলনে যথেষ্ট গুরুত্ব পেলেও তাকে একাদশে রাখা হবে কিনা তা নিয়ে নির্ভর করছে দলের কৌশলের উপর।
চট্টগ্রাম টেস্টে সাকিব আল হাসান ছিটকে যাওয়ায় ছয় নম্বরে একটি জায়গা ফাঁকা আছে। অলরাউন্ডার হওয়ায় সাকিব ব্যাটসম্যান-বোলার দুইভাবেই দলে গুরুত্বপূর্ণ ভারসাম্য এনে দেন।
সাকিব না থাকায় সেখানে একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান নাকি বাড়তি বোলার খেলানো হবে এই নিয়ে দোলাচল আছে। সেই দোলাচলের সমাধানের উপর নির্ভর করছে ইয়াসিরের খেলা না খেলা।
বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মুমিনুল হক জানান, সকালে এসে উইকেটের চূড়ান্ত অবস্থা বুঝে তারা ঠিক করবেন করণীয়, 'কাল উইকেট আরেকবার দেখে সিদ্ধান্ত হবে কয়টা বোলার খেলবে, কয়টা ব্যাটসম্যান খেলবে।'
বাড়তি ব্যাটসম্যান খেলানো হলে ইয়াসিরের সুযোগ ঘটবে নিশ্চিত। সেক্ষেত্রে অবসান হবে তার দীর্ঘ আক্ষেপের। এমনিতে দিনের পর দিন স্কোয়াডে থেকেও ম্যাচ না পাওয়া ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন ইয়াসির। ২০১৯ সালে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে তিনি প্রথম ডাক পান জাতীয় দলের স্কোয়াডে। তার পরে দলে এসে টেস্ট অভিষেক হয়েছে তিনজনের, ওয়ানডে অভিষেক হয়েছে ছয়জনের। টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছে দশজনের। কিন্তু এতদিন ধরে তিন সংস্করণের বিভিন্ন স্কোয়াডে থেকেও এতগুলো ম্যাচের একটিতেও সুযোগ মেলেনি ইয়াসিরের।
এবার ব্যতিক্রম হওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ইয়াসিরকে খেলানোর জন্য প্রস্তুত রাখার আভাস মিলেছে স্পষ্ট। এমনিতে বাংলাদেশ দলের ধরন অনুযায়ী বাড়তি ব্যাটসম্যান একাদশে নেওয়ার রক্ষণশীল পথে হাঁটা বিচিত্র নয়। সেক্ষেত্রে ৪ বোলার ও কিপারসহ ৭ ব্যাটসম্যান নিয়ে নামবেন মুমিনুলরা।
Comments