৩ ম্যাচ সিরিজে অর্ধেক জার্সিও বিক্রি হলো না
মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের খেলা হলেই মোহাম্মদ সোহেল (৩২) ও তার ৫ বন্ধু চলে আসেন জার্সি বিক্রি করতে। এবারও প্রায় ৩ লাখ টাকার জার্সি নিয়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজ উপলক্ষে। কিন্তু অর্ধেক জার্সিও বিক্রি করতে পারেননি তারা।
সোমবার সন্ধ্যায় সিরিজের ৩য় ম্যাচের পর সোহেল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এবার ৩ লাখ টাকার জার্সি নিয়ে শুরু করেছিলাম। প্রথম ২ ম্যাচে ১ লাখ টাকার মতো বিক্রি হয়। আজ মাত্র ২০ হাজার টাকার জার্সি বিক্রি হয়েছে।'
সোহেল জানান, ৩ বছর ধরে তারা মিরপুর স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের খেলা থাকলেই স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় বাংলাদেশের জার্সি বিক্রি করছেন। ম্যাচের দিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তারা একটি পিকআপ ভ্যানে করে জার্সি বিক্রি করেন।
সোহেল বলেন, 'করোনার আগে ৪-৫ লাখ টাকার জার্সি কিনে বিক্রি করে প্রতিবারই ১ থেকে দেড় লাখ টাকা লাভ হয়েছে।'
তিনি জানালেন, সিরিজের ধরন দেখে তারা বিনিয়োগ করেন। সব বয়সীদের জন্য জার্সি সংগ্রহ করেন। প্রতিটি জার্সি কিনতে খরচ হয় ২০০-২৫০ টাকা। আর জার্সি বিক্রি করা যায় ৩০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত।
তবে অন্যান্য সময় ভালো লাভ পেলেও, এবারের মতো লোকসান কখনোই হয়নি বলে জানান তিনি।
সোহেল বলেন, 'এই সিরিজে মাত্র ২০-৫০ টাকা লাভেও জার্সি বিক্রি করেছি। তাও ক্রেতা পেলাম না। জার্সিগুলো রেখে দিতে হবে। পরের কোনো সিরিজে আবার নিয়ে আসব বিক্রির জন্য।'
৩ ম্যাচ সিরিজে প্রথম ২ ম্যাচ হারের পর সোমবার তৃতীয় ম্যাচেও বাংলাদেশ হেরে যায় ৫ উইকেটে।
'বাংলাদেশ দলের ভালো পারফরম্যান্সে জার্সি বিক্রি বেড়ে যায়' উল্লেখ করে সোহেল বলেন, 'বাংলাদেশ যখন জেতে, তখন খেলা শেষেও মানুষ জার্সি কেনে। একজন ৪-৫টা পর্যন্ত জার্সি কেনে মনের খুশিতে।'
'আর বাংলাদেশ হারলে, নিজের জন্যও জার্সি কিনতে চায় না,' বলেন তিনি।
জার্সি বিক্রির শুরু সম্পর্কে তিনি বলেন, 'আমরা ৬ বন্ধুই আগে গার্মেন্টসের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। পাশাপাশি ব্যবসা করারও চেষ্টা করছি। সে হিসেবেই এ ব্যবসায় আসা। মনে হয়েছে যে এটাতে আমরা ভালো করব। সে হিসেবেই শুরু করেছি এবং ব্যবসা ভালোই চলেছে।'
Comments