সেই ডেলিভারি অবৈধ নাকি বৈধ ছিল?

বল গিয়ে পিচড হচ্ছে, তখনো প্রস্তুত মোহাম্মদ নাওয়াজ। ছবি: টিভি থেকে

শেষ বলে পাকিস্তানের দরকার ছিল ২ রান। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর বল সামলাতে পুরোপুরি তৈরি ছিলেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। মাহমুদউল্লাহ বল ছাড়ার সময়ও তিনি ছিলেন প্রস্তুত। বল ছাড়ার পরও তাকে অপ্রস্তুত দেখায়নি। কিন্তু বল পিচড হওয়ার পর একদম শেষ মুহূর্তে আচমকা সরে যান তিনি।

ভেতরে ঢোকা বল গিয়ে আঘাত হানে নাওয়াজের স্টাম্পে। এরপর আম্পায়ার তানবীর আহমেদ ডেড বল দিলে কারণ জানতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক। এ সময় প্রতিপক্ষ ব্যাটার ও আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় মাহমুদউল্লাহকে। পরে ডেড বল মেনে নেন তিনি।

পরে একবার ভঙ্গি করেও বল ডেলিভারি করেননি তিনি। এরপরের চেষ্টায় তার হাত থেকে ২ রানের প্রয়োজন এক্সট্রা কাভার দিয়ে বাউন্ডারি পাঠিয়ে মিটিয়ে নেন নাওয়াজ।

প্রশ্ন উঠেছে, নাওয়াজ সময়মত না খেলার আপত্তি জানিয়েছিলেন কিনা। বলটি বৈধ হলেই তো ম্যাচের ফল হয় ভিন্ন। একটু পেছন থেকে বলটি করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। লেন্থ পড়তে হয়ত একটু গড়বড় হয় নাওয়াজের। বলটি তার জোনেও ছিল না। বাজে বল হলে তিনি কি এভাবে সরে যেতেন, এই প্রশ্নও উঠছে।  ম্যাচ শেষে মাহমুদউল্লাহ জানিয়েছেন, এটি নিয়ে তাদের আপত্তি থাকলেও আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন তারা,  'একদম শেষ মুহূর্তে সে সরে গেছে। তো আম্পায়ারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম বলটা বৈধ কিনা। (আম্পায়ার ডেড বল দেন)'

'আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আমরা আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে সম্মান করি।'

সাধারণত বল ডেলিভারির আগে সমস্যা হলে না খেলার আপত্তি জানাতে পারেন কোন ব্যাটার। বোলার তখন বল ছুঁড়লেও ব্যাটারের অবস্থা দেখে আম্পায়ার ডেড বল কল করতে পারেন। কিন্তু বল ডেলিভারি করার পর পিচডও হয়ে গিয়েছিল, তখন প্রস্তুত অবস্থা থেকে কোন ব্যাটারের হঠাৎ অপ্রস্তুত হওয়ার ঘটনা একদমই বিরল।

এই ব্যাপারে জানতে চাইলে চতুর্থ আম্পায়ার শরফুদৌল্লাহ ইবনে শহিদ সৈকত বলেন, এসব পরিস্থিতিতে কি হবে তা আম্পায়ারের এখতিয়ার। মাঠের আম্পায়ার চাইলে ডেড বল দিতে পারেন, ' 'টিভিতে হয়তো দেখা গেছে একটু লেট তবে ডেড বল ডাকার অধিকার আচে আম্পায়ারের। কোনও কারণে, ধরেন নো এ্যাজ বা সামনে দিয়ে পাখি যেতে পারে... হয়তো টিভিতে অন্য রকম দেখা গেছে। কিন্তু আম্পায়ার ডেড বল ডেকেছে।'

'ব্যাটসম্যানের চোখের সামনে যদি হঠাৎ পাখি উড়ে যেতো, মাছি ঢুকে যেতো তাহলে কি করত? অতএব আম্পায়ারের একটা ডিসকাশন আসলে থাকে।'

কিন্তু পাখি বা মাছি উড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেনি। সেক্ষেত্র কত পরে সরলে হলে ডেড বল ডাকা যায় কিংবা বল বৈধ করা যায়। এ ব্যাপারে সৈকতের মত বাংলাদেশ অধিনায়ক ক্রীড়াসুলভ দৃষ্টিতে বিষয়টি নিয়েছেন,  'ওটা মাপতে গেলে আসলে কঠিন। এটা রাইটলি স্পোটিংলি একসেপ্ট হয়েছে, দ্যাট ইজ ফাইন।'

ওই বলটি বাংলাদেশের পক্ষে না আসায় আরেকটি হতাশার ম্যাচ পার হয়েছে। মঙ্গলবার  পাকিস্তানের কাছে শেষ বলে গিয়ে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের করা ১২৪ রান টপকে ৫ উইকেটে জিতে সফরকারীরা। তিন ম্যাচের সবগুলোতেই হেরে বিশ্বকাপ বিপর্যয়ের পর আরেকটি হতাশা যুক্ত হয় বাংলাদেশের।

Comments

The Daily Star  | English
Yunus condemns lawyer’s murder in Chattogram

Keep calm, refrain from violence

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday condemned the murder of a lawyer in the port city of Chattogram.

6h ago