ফের ব্যর্থ ব্যাটাররা, সাদামাটা পুঁজি বাংলাদেশের
শুরুর ধাক্কা সামলে বাংলাদেশের আশা জাগিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও আফিফ হোসেন। কিন্তু যখনই বিপাক থেকে ঘুরে সুবাস পাচ্ছিল টাইগাররা, তখনই আউট আফিফ। চেষ্টা চালিয়েছিলেন শান্তও। কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে ব্যর্থ হন তিনি। সে ধারায় ব্যর্থ বাকি ব্যাটাররাও। সবমিলিয়ে সেই ব্যর্থতার চিত্র। সাদামাটা পুঁজি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় বাংলাদেশকে।
শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানকে ১০৯ রানের লক্ষ্য দিয়েছে টাইগাররা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১০৮ রান করে স্বাগতিক দলটি। সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান ১২৮ রানের লক্ষ্য দিয়ে ৪ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ।
আগের ম্যাচে লোয়ার মিডল অর্ডারে নেমে দলের রানটা কিছুটা সম্মানজনক পর্যায়ে এনেছিলেন শেখ মেহেদী হাসান। ভালো সহায়তা পেয়েছিলেন নুরুল হাসান সোহানের কাছ থেকে। কিন্তু তারা কেউই দায়িত্ব নিতে পারেননি। ফলে কোনো মতে একশ পার করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় স্বাগতিকদের।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে এদিন ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। শাহিনের বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন সাইফ হাসান। যদিও আম্পায়ার শাহিনের আবেদনে অনড় ছিলেন। তবে সফল রিভিউতে সাইফকে ফেরায় পাকিস্তান।
আর নাঈম শেখ আউট হন ঠিক আগের ম্যাচের চিত্র ফিরিয়ে এনে। জায়গায় দাঁড়িয়ে অফস্টাম্পের বাইরে বলে খোঁচা দিয়ে আউট হন তিনি। আজও একই ভাবে বিদায় নেন। পার্থক্য কেবল আগের দিন ক্যাচটা ধরেন উইকেটরক্ষক রিজওয়ান। আজ ক্যাচ দিয়েছেন স্লিপে দাঁড়ানো ফখর জামানের হাতে।
দলীয় ৫ রানে দুই উইকেট খুইয়ে বিপদে পড়ার বাংলাদেশের হাল আফিফকে নিয়ে ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রতিরোধ গড়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন তারা। নিয়মিত বাউন্ডারি মেরে রানের চাকাও সচল রাখেন। কিন্তু ভালো কিছুর আভাস দিয়ে হতাশ করেন আফিফ।
লেগ স্পিনার শাদাব খানকে প্যাডল সুইপ করতে চেয়ে বিপদ ডেকে আনেন আফিফ। ব্যাটের কানায় লেগে বল উঠে যায় উপরে। অনায়াসে আফিফের ক্যাচ লুফে নেন উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ান। ভাঙে ৪৬ রানের জুটি। ২১ বলে ১টি করে চার ছক্কায় ২০ রান করেন আফিফ।
অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ফিরতে পারতেন নিজের প্রথম বলেই। তার বিপক্ষে এলবিডাব্লিউয়ের সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান তিনি। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বলের ইম্প্যাক্ট ছিল অফ স্ট্যাম্পের বাইরে। তবে খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি অধিনায়ক। হারিস রউফের বলে খোঁচা মেরে ক্যাচ তুলে দেন উইকেটরক্ষকের হাতে।
বড় ধাক্কাটা বাংলাদেশ খায় শান্তর বিদায়ে। এদিন বেশ সাবলীল ব্যাটিং করছিলেন তিনি। উইকেটে দারুণ সেট হয়ে ৪০ রানের ইনিংসও খেলেছিলেন। কিন্তু শাদাবের বলে তার হাতে ক্যাচ তুলে ফিরেন যান এ ব্যাটার। তাতে ফের কিছুটা চাপে পড়ে দলটি। ৩৫ বলে ৫টি চারে নিজের ইনিংস সাজান শান্ত।
এরপর শেষ দিকে আর কোনো ব্যাটার দায়িত্ব নিতে না পারলে সাদামাটা পুঁজিতেই শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। পাকিস্তানের পক্ষে ২টি করে উইকেট পেয়েছেন শাহিন শাহ ও শাদাব খান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১০৮/৭ (নাঈম ২, সাইফ ০, শান্ত ৪০, আফিফ ২০, মাহমুদউল্লাহ ১২, সোহান ১১, মেহেদী ৩, বিপ্লব ৮*, তাসকিন ২*; শাহিন ২/১৫, ওয়াসিম ১/৯, মালিক ০/১৬ , হারিস ১/১৩, শাদাব ২/২২, নাওয়াজ ১/২৫)
Comments