শান্তর ব্যাটে লড়ছে বাংলাদেশ
পাকিস্তানের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ৩ ওভারের মধ্যে সাজঘরে ফিরেছিলেন দুই ওপেনার। এদিন তারা আউট হয়ে মাঠ ছাড়লেন আরও আগে। দ্বিতীয় ওভারের মধ্যে সাইফ হাসান ও নাঈম শেখ বিদায় নেওয়ার পর বাংলাদেশের ইনিংসের হাল ধরলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও আফিফ হোসেন। বাজে শটে আফিফ ফিরলেও আশার আলো হয়ে জ্বলছেন শান্ত। তার ব্যাটে চড়ে ভালো পুঁজি পাওয়ার জন্য লড়ছে স্বাগতিকরা।
শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ব্যাট করছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এই প্রতিবেদন লেখার সময়, ১০ ওভারে তাদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৬৪ রান। শান্ত ২৫ বলে ৩৪ ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ৫ বলে ২ রানে খেলছেন।
একাদশে ফিরে ম্যাচের প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে ধাক্কা দেন পাকিস্তানের বাঁহাতি তারকা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। তার ভেতরে ঢোকা বলে সময়মতো ব্যাট না নামিয়ে গোল্ডেন ডাকে এলবিডাব্লিউ হয়ে যান ডানহাতি সাইফ। শুরুতে মাঠের আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত দেননি। পরে রিভিউ নিয়ে সফলতা পান সফরকারী দলনেতা বাবর আজম।
ডানহাতি পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র পরের ওভারে বিদায় করেন নাঈমকে। পা না নাড়িয়ে জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলে ক্যাচ দেন তিনি। স্লিপে ফখর জামানের হাতে ধরা পড়ার আগে তিনি করেন ৮ বলে ২ রান। প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও একই কায়দায় আউট হয়েছিলেন বাঁহাতি নাঈম।
৫ রানে ২ উইকেট খুইয়ে বিপদে পড়ার পর জুটি বাঁধেন শান্ত ও আফিফ। প্রতিরোধ গড়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন তারা। বিশেষ করে, শান্ত নিয়মিত বাউন্ডারি মেরে সচল রাখেন রানের চাকা। কিন্তু বাংলাদেশ যখন বিপাক থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর সুবাস পাচ্ছে, তখনই আফিফ করেন হতাশ। লেগ স্পিনার শাদাব খানকে প্যাডল সুইপ করতে চেয়ে বিপদ ডেকে আনেন তিনি। ব্যাটের কানায় লেগে বল উঠে যায় উপরে। অনায়াসে আফিফের ক্যাচ লুফে নেন উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ান।
আফিফের বিদায়ে ভাঙে ৩৭ বলে ৪৬ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি। শাহিনকে ছক্কা মেরে ইনিংস শুরু করা বাঁহাতি ব্যাটার করেন ২১ বলে ২০ রান। এক বলের ব্যবধানে সাজঘরে ফিরতে পারতেন মাহমুদউল্লাহও। তার বিপক্ষে এলবিডাব্লিউয়ের সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান তিনি। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বলের ইম্প্যাক্ট ছিল অফ স্ট্যাম্পের বাইরে।
উল্লেখ্য, একই ভেন্যুতে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে বাংলাদেশকে ৪ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে পাকিস্তান। ফলে স্বাগতিকদের জন্য এটি বাঁচা-মরার লড়াই।
Comments