মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র: হুমকিতে পরিবেশ

ক্ষতিকর প্রভাব থাকার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দিচ্ছে। ঠিক একই সময়ে উপকূলীয় অঞ্চল এবং এর আশেপাশে সম্ভাব্য বিরুপ প্রভাব থাকা সত্ত্বেও কক্সবাজারের মহেশখালীতে ৮টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার।

মহেশখালির মাতারবাড়িতে নির্মাণাধীন প্রথম বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা (ইআইএ) ত্রুটিপূর্ণ হিসেবে দেশী ও বিদেশী সংস্থা চিহ্নিত করলেও সেটির কাজ ইতোমধ্যে অর্ধেক শেষ সম্পন্ন করেছে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল)। 

সিপিজিসিবিএল এই ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন প্ল্যান্ট নির্মাণ করছে। সংস্থাটি ইআইএ এর একটি অংশ ত্রুটিপূর্ণ বলে দ্য ডেইলি স্টারের কাছে স্বীকার করেছে।

ফিনল্যান্ডের বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ারের (সিআরইএ) তথ্য মতে, এই ৮টি প্ল্যান্ট ১০ বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত। যা বিশ্বের যে কোনো জায়গার কয়লা-চালিত পাওয়ার প্ল্যান্টের ক্লাস্টারগুলোর মধ্যে বৃহত্তম।

প্ল্যান্টগুলো সমুদ্র সৈকত, জাতীয় উদ্যান ও বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্যের জন্য দূষণের ঝুঁকি তৈরি করবে বলে সিআরইএ'র গবেষণায় উঠে এসেছে।

প্ল্যান্টগুলোর সম্মিলিত প্রভাবের ওপর সমন্বিত ইআইএ নেই।

জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে মাতারবাড়ীতে প্রথম ধাপের প্ল্যান্টটি করা হচ্ছে। প্ল্যান্টটিতে প্রায় ৩৫ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ের মধ্যে জাপান ২৮ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা দেবে। বাকি খরচ বাংলাদেশ সরকার বহন করবে।

সূত্র মতে, অন্য ৭টি প্ল্যান্টের জন্য তহবিলের বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ৮টির প্ল্যান্টের জন্য ৫ হাজার ৫০০ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়েছে।

সিআরইএর তথ্য মতে, ৮টি প্ল্যান্ট চালু হলে প্রতি বছর ১ হাজার ৬০০ কেজি পারদ এবং ৬ হাজার টন ছাঁই নির্গত হবে।

সিআরইএর ২০১৯ সালের ডিসেম্বেরে প্রকাশিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, এই নির্গমনের ৪০ শতাংশ জমি এবং স্বাদুপানির বাস্তুতন্ত্রে এবং ৩৫ শতাংশ চট্টগ্রামের বনভূমিতে জমা হতে পারে।

ছাঁইয়ের মধ্যে বিষাক্ত এবং তেজস্ক্রিয় ভারি পদার্থ আছে, যা মানুষের স্বাস্থ্য, জমি এবং বাস্তুতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। পারদও একটি বিষাক্ত ভারি ধাতু যা বায়ুমণ্ডল, পানি ও মাটির মধ্য দিয়ে বিভিন্নভাবে চক্রাকারে চলে।

ত্রুটিপূর্ণ ইআইএ

সিআরইএর বিশ্লেষণ অনুসারে, মাতারবাড়ি প্ল্যান্টের ইআইএ পারদের দূষণ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।

বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বায়ুর গুণগত মান নিরীক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি অনুসরণ না করে ইআইএ সম্পন্ন করা হয়েছে। ইআইএতে কক্সবাজার এলাকার বায়ুর গুণগত মানের তথ্যও নেই।

সিআরইএর প্রধান বিশ্লেষক লরি মিলিভার্তা বলেছেন, 'ইআইএ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বর্ষা ও শুষ্ক মৌসুমের মোট ২ দিন বায়ুর গুণমান পর্যবেক্ষণ করেছেন, যা একটি এলাকার বায়ুর মান নির্ধারনে পর্যাপ্ত না।'

তার গবেষণায় দেখা গেছে, ইআইএ মানব স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক বলে বিবেচিত ২ দশমিক ৫ পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম) নিরীক্ষণ করেনি। তিনি স্টেট অফ গ্লোবাল এয়ার রিপোর্টের (২০১৯) কথা উল্লেখ করেছেন। যেখানে স্যাটেলাইট ডেটা ব্যবহার করে কক্সবাজার এবং এর আশেপাশে গড়ে প্রতি ঘনমিটার ২ দশমিক ৫ এরমধ্যে ৬৩ মাইক্রোগ্রাম পিএম পাওয়া গেছে। বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে ২ দশমিক ৫ এর মধ্যে পিএম এর অনুমোদিত মাত্রা হল ১৫ মাইক্রোগ্রাম।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল সম্প্রতি বলেছেন, মাতারবাড়ি প্ল্যান্টটি বিশ্বের 'সবচেয়ে আধুনিক' প্ল্যান্ট বলে জনসাধারণকে বুঝানো হয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, এ প্ল্যান্ট থেকে কী পরিমাণ পারদ আর পিএম ২.৫  নির্গত হবে সেটি যাচাই করা হয়নি।

জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) গবেষণা দলের তত্ত্বাবধানে টিইপিএসসিও (টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার সার্ভিস কোম্পানি লিমিটেড) এই ইআইএ পরিচালনা করেছে।

গত বৃহস্পতিবার একটি ইমেইলে জাইকা মাতারবাড়ি প্রকল্পে অর্থায়নের কথা স্বীকার করেছে এবং বলেছে, ২ সরকারের মধ্যে চুক্তির ভিত্তিতে এটি করা হয়েছে।

ত্রুটিপূর্ণ ইআইএ সম্পর্কে জানতে চাইলে জাইকা জানায়, 'ইআইএটি বাংলাদেশের প্রবিধান, জাইকার পরিবেশগত নির্দেশিকা এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে তৈরি করা হয়েছিল এবং মূল্যায়নটি তখন পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছিল।'

সংস্থাটি জানিয়েছে, এরই মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

সিপিজিসির ওয়েবসাইট অনুসারে, প্রধম ধাপের প্লান্টের নির্মাণ কাজ ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয়েছে এবং ২০২৪ সালে এটি উৎপাদনে যাবে। প্ল্যানটি ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে।

প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী জাপান নিজেই কয়লা চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দিচ্ছে। তবে এখনো কিছু আছে।

শরীফ জামিল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জাপান বিশ্বে কোনো কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে অর্থায়ন না করার প্রতিশ্রুতি দিলেও আমাদের দেশে তারা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে অর্থায়ন করছে। আমাদের দেশের উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে তাদের এই দ্বিমুখী আচরণ বন্ধ করতে হবে।'

সিপিজিপির প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ ইআইএ মডেলিংয়ের একটি অংশের ত্রুটির বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

তিনি জানান, তারা মাতারবাড়িতে দ্বিতীয় ধাপের জন্য একটি ইআইএ পরিচালনা করছেন। সেখানে পারদ এবং পিএম ২ দশমিক ৫ দূষণ মডেলিংয়ের সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে এবং প্রথম ধাপের প্ল্যান্টের কারণে যে দূষণ হবে তা কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, 'আমরা ঢাকা এবং মাতারবাড়িতে ২টি স্টেকহোল্ডার মিটিং করেছি। আমরা কিছু সুপারিশ পেয়েছি। দ্বিতীয় ধাপের প্রভাবের মূল্যায়ন প্রথম ধাপের ক্ষেত্রেও অনুসরণ করা হবে। সুপারিশগুলো যোগ করে আমরা শিগগির দ্বিতীয় ধাপের প্রভাব সম্পর্কিত মূল্যায়ন জমা দেবো।'

পরিবেশ অধিদপ্তরে নির্ধারিত শর্ত অনুসারে, দূষণ মডেলিংয়ে ইআইএর মূল তথ্যের অভাব প্রত্যাহার করা হবে।

প্রথম ধাপের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ শুরুর ঠিক আগে ২০১৩ সালে পরিবেশ অধিদপ্তর ইআইএ অনুমোদন করেছিল।

পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিবেশগত ছাড়পত্র) মাসুদ ইকবাল মো. শামীম জানান, তাদের নির্দেশিকা অনুসারে থাকায় তারা ইআইএর অনুমোদন দিয়েছেন।

তিনি দাবি করেছেন, সিআরইএর অনুসন্ধানের কোনো ভিত্তি নেই এবং ইআইএর সবকিছু 'ঠিক' ছিল।

তিনি দ্বিতীয় ধাপের ইআইএতে দূষণ মডেলিং সংশোধন করার জন্য কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির অবস্থান সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, দূষণ মডেলিংয়ের প্রাথমিক তথ্য না থাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ইআইএ প্রত্যাহার করা উচিত ছিল।

তিনি বলেন, 'পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়নে কক্সবাজারের বায়ু দূষণের বছরব্যাপী বায়ুর মানের তথ্য এবং ঋতুভিত্তিক মূল্যায়ন ছিল না। পরিবেশ অধিদপ্তর কীভাবে এই প্রভাব মূল্যায়ন অনুমোদন করল, তা একটি বড় প্রশ্ন। তাদের অবিলম্বে এটি প্রত্যাহার করা উচিত অথবা কর্তৃপক্ষকে সংশোধন করতে বলা উচিত।'

পরিবেশ অধিদপ্তরের নিজস্ব নীতিমালায় বলা হয়েছে, ইআইএ এমনভাবে প্রস্তুত করতে হবে যাতে প্রস্তাবে বর্ণিত পরিবেশগত নকশার উন্নয়ন হয়। এ ছাড়া, সব ধরনের সম্পদের সুষ্ঠু ও উপযোগী ব্যবহার এবং প্রস্তাবের বাস্তবায়নের পর সম্ভাব্য সব ধরনের নেতিবাচক প্রভাবকে প্রশমিত করার জন্য উপযুক্ত উদ্যোগও নিশ্চিত করতে হবে। সর্বোপরি, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সব ধরনের তথ্য ও উপাত্তকে আমলে নিতে হবে, যার মধ্যে পরিবেশগত মানদণ্ড ও প্রকল্পের বাস্তবায়নের শর্তাবলী নির্ধারণ অন্তর্ভুক্ত।

এর লক্ষ্য হলো মানুষের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা রক্ষা, পরিবেশের বিরূপ পরিবর্তন ও গুরুতর ক্ষতি পরিহার, মূল্যবান সম্পদ, প্রাকৃতিক এলাকা এবং বাস্তুতন্ত্রের উপাদানগুলোকে রক্ষা করা।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সরকার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সমালোচনা নিয়ে চিন্তিত নয়।

পটুয়াখালীর পায়রা কয়লাভিত্তিক প্ল্যান্টের কথা উল্লেখ করে প্রশ্ন করেন, 'উৎপাদন শুরু করার পর থেকে কত মানুষ মারা গেছেন? কে কী বলল তা নিয়ে আমরা চিন্তা করি না। আমরা প্রভাব মূল্যায়ন করেছি। জাপানিরা এটি দেখভাল করছেন।'

এ মাসের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই বলেছিলেন যে, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল করেছে।

কনফারেন্স অফ দ্য পার্টিসের (কপ-২৬) ২৬তম অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি বলেছিলেন, প্ল্যান্টগুলোর সঙ্গে ১২ বিলিয়ন ডলার বিদেশি বিনিয়োগ জড়িত।

দূষণ পরিস্থিতি নিয়ে সিআরইএ এর অনুমান

৮টি প্ল্যান্ট ৮ হাজার ৭২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে।

সিআরইএর সমীক্ষা অনুসারে, প্ল্যান্টগুলো বছরে ১ হাজার ৬০০ কেজি পারদ এবং ৬ হাজার টন ছাঁই উৎপন্ন করবে। ৮টি প্ল্যান্ট প্রতি বছর ২ লাখ ২৭ হাজার ৭৮৮ কেজি সালফার ডাই অক্সাইড, ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৬৭ কেজি নাইট্রোজেন অক্সাইড, ৯ হাজার ২৮৩ কেজি পিএম-১০ এবং ৪ হাজার ১৭৪ কেজি পিএম ২ দশমিক ৫ প্রতি বছর নির্গত করবে।

সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১ বছরে হেক্টর প্রতি ১২৫ মিলিগ্রামের কম পারদ মাছের জন্য অনিরাপদ পরিবেশ তৈরি করবে।

সমীক্ষায় অনুমান করা হয়েছে, এই পারদ ৩ হাজার ৩০০ বর্গমাইল এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়বে, যা দক্ষিণে বান্দরবান এবং উত্তরে চট্টগ্রামের কিছু অঞ্চলকে দূষিত করবে।

নির্গত হওয়া ছাঁই এবং সালফার ডাই অক্সাইড শিশুদের মধ্যে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলবে।

প্ল্যান্টগুলো ৩০ বছর সচল থাকলে, দীর্ঘস্থায়ী অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজ, লোয়ার রেসপিরেটরি ইনফেকশন, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং স্ট্রোকসহ বিভিন্ন রোগের কারণে অনেক মানুষ মারা যেতে পারেন।

ঝুঁকিতে বন, বন্যপ্রাণী ও অভয়ারণ্য

এই প্ল্যান্টগুলোর ফলে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৫টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এবং ৬টি বন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে ধারণা করা হয়েছে।

বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের মধ্যে আছে হাজারিখিল বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, ফাসিয়াখালী অভয়ারণ্য, দুধপুহকুরিয়া-ধোপাছড়ি অভয়ারণ্য এবং সাঙ্গু বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য।

বনগুলো হলো কক্সবাজারের হিমছড়ি, ইনানী, মেধাকচ্ছপিয়া, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক এবং চট্টগ্রামের বারোইডালা ও কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান।

সমীক্ষায় মূল্যায়ন করা হয়েছে যে, প্রতি বছর মোট ৩২ দশমিক ৬ কেজি পারদ এবং ১৮৪ কেজি ছাঁই ১১টি বন এবং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে জমা হবে এবং সবুজ প্রকৃতি ও এর বন্যপ্রাণীকে বিপন্ন করবে। যা ইতিমধ্যেই উন্নয়ন প্রকল্প, গাছপালা, দখল এবং বন ধ্বংসের প্রভাব মোকাবিলা করছে।

এ ছাড়াও, ৮টি প্ল্যান্ট থেকে উৎপাদিত আনুমানিক ৬৯০ কেজি পারদ সরাসরি পানিতে জমা হবে। মাছের বংশবিস্তার এবং জেলেদের জীবিকাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এটি।

প্রতিবেদনটি অনুবাদ করেছেন সুমন আলী

 

Comments