কাস্টমস হাউসের নিলাম: বিএমডব্লিউ দেড় লাখ, মার্সিডিজ বেঞ্জ ৩ লাখ
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের নিলামে একটি মিতুসুবিশি গাড়ির সর্বোচ্চ দাম উঠেছে ৫০ হাজার ১০ টাকা। গাড়িটির রিজার্ভ ভ্যালু (আমদানি মূল্য ও ট্যাক্স) ছিল ১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। একই নিলামে বিএমডব্লিউ ব্র্যান্ডের গাড়ির দাম উঠেছে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৫০ হাজার ১০ টাকা ও মার্সিডিজ বেঞ্জের দাম ৩ লাখ ১০ টাকা।
এই ৩টি গাড়ির সর্বোচ্চ দরদাতা কেপিএল কনস্ট্রাকশন এন্ড ডেভেলপারস লিমিটেড।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস সম্প্রতি ১১২টি গাড়ি নিলামে তোলে। এর মধ্যে ১১০টি গাড়ির বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন ক্রেতারা।
এ সব গাড়ির বেশিরভাগই ১৫ থেকে ২৬ বছরের পুরনো। এর আগে একাধিকবার নিলাম তুলেও বিক্রি করতে না পেরে গত ৩ থেকে ৪ নভেম্বর ২ দিনব্যাপী অনলাইনে ও দেশের ৫টি নির্ধারিত স্থানে এই নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার ৫৫১ জন ক্রেতার মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা ১১০ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
সূত্র জানায়, নিলামে গাড়িগুলোর কম দাম ওঠার পেছনে অন্যতম কারণ ১ যুগেরও বেশি সময় এ সব গাড়ির চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা। এতে গাড়ির অনেক যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে গেছে, অনেক গাড়ির চাবি পর্যন্ত নেই। তাই প্রত্যাশা অনুযায়ী দাম পায়নি কাস্টমস।
সর্বোচ্চ দর পাওয়া গেছে একটি বিএমডব্লিউ ব্র্যান্ডের ২০০৭ মডেলের গাড়ির। ২৯৯৩ সিসির এ গাড়িটির জন্য সর্বোচ্চ ৫৩ লাখ টাকা দর দিয়েছে চট্টগ্রামের ফারজানা ট্রেডিং। যদিও এ গাড়িটির রিজার্ভ ভ্যালু ছিল ২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
এ ছাড়াও, এ নিলামে ল্যান্ড ক্রুজার, ল্যান্ড রোভার, জাগুয়ার, লেক্সাস ভক্সওয়াগনের মতো বিশ্ব বিখ্যাত বেশ কিছু ব্র্যান্ডের গাড়িও ছিল।
তবে এ সব গাড়ি পেতে দর দাতাদের নিলাম কমিটির পরবর্তী সিদ্ধান্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ আল আমিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নিলাম সম্পন্ন করেছি এটা ঠিক। তবে নিলাম কমিটির অনুমতি সাপেক্ষে গাড়ি হস্তান্তর করা হবে।'
গাড়ির দাম কম পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'যে সব গাড়ির দাম প্রত্যাশার চেয়ে কম উঠেছে, সেগুলো দর দাতাদের হস্তান্তর করা হবে কি না, সে বিষয়ে নিলাম কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।'
Comments