নির্বাচন কমিশনের ওপর মানুষের আস্থা এখন শূন্যের কোঠায়: জি এম কাদের

নির্বাচন কমিশনের ওপর মানুষের আস্থা এখন শূন্যের কোঠায় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। ছবি: ফাইল ফটো

নির্বাচন কমিশনের ওপর মানুষের আস্থা এখন শূন্যের কোঠায় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

আজ রোববার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। 

তিনি বলেছেন, 'নির্বাচন কমিশনের ওপর মানুষের আস্থা এখন শূন্যের কোঠায়। যারাই রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল, তারাই নির্বাচন কমিশনকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করেছে।' 

'বর্তমান সরকার ব্যবস্থাকে কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক বলা যায় না' উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'দেশে বিরাজনীতিকরণ চলছে, তাই দেশের রাজনীতিতে দলগুলো টিকতে পারছে না। এভাবে চলতে থাকলে দেশের মানুষ রাজনীতিতে আসবে না, ভোট কেন্দ্রে মানুষ ভোট দিতে যাবে না। সরকারের ফরমায়েশ মোতাবেক নামে মাত্র দল থাকবে, নেতা থাকবে।'

তিনি আরও বলেন, 'সাংবিধানিকভাবেই দেশে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে, তাই কাউকেই দোষারোপ করা যায় না। সংবিধান অনুযায়ী দেশের নির্বাহী বিভাগ, আইন সভা ও বিচার বিভাগের প্রায় নব্বই ভাগই রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে এক ব্যক্তির হাতে। তাই বর্তমান সরকার ব্যবস্থাকে কোনভাবেই গণতান্ত্রিক বলা যায় না।'

জাতীয় পার্টি খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব ও প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, '১৯৯১ সালের পর যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে, তারা দেশের মানুষকে যে স্বপ্ন দেখিয়েছিল তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। বরং প্রায় ক্ষেত্রে অবস্থার অবনতি হয়েছে ও ক্রমান্বয়ে অবনতির মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই, দেশের মানুষ আবারো জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টির দিকে একবুক প্রত্যাশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন।'

Comments

The Daily Star  | English

‘Vested groups behind violence in the hills’

Three advisers, who visited Rangamati and Khagrachhari yesterday, have pointed out that vested groups are trying to destabilise the situation in the hills with a view to putting the interim government in an awkward position.

2h ago