বুড়িমারী স্থলবন্দরে বহিরাগতদের অবাধ বিচরণ, হুমকিতে নিরাপত্তা
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরের কাস্টম ইয়ার্ডে বহিরাগতদের অবাধ বিচরণ বেড়েছে। ফলে, স্থলবন্দরটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা হুমকিতে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিরাপত্তার কাজে ২৩ জন নিরাপত্তাকর্মী থাকলেও সেখানে নিরাপত্তা তদারকির তেমন তৎপরতা নেই বললেই চলে।
বুড়িমারী স্থলবন্দরে কাস্টমসের সহকারী কমিশনার (এসি কাস্টমস) মো. কেফায়েত উল্ল্যাহ মজুমদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বুড়িমারী স্থলবন্দরকে দ্বিতীয় শ্রেণির কেপিআই (কী পয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার) ঘোষণা করা হয়েছে, তাই এর নিরাপত্তা জোরদার করা দরকার। অপরিচিত ও বহিরাগতরা কাস্টমস ইয়ার্ডে অবাধে বিচরণ করছেন। এমনকি মোটরসাইকেলে চড়ে তারা কাস্টমস ইয়ার্ডে চলাফেরা করছেন, এতে বন্দরের নিরাপত্তা হুমকিতে পড়তে পারে।'
তিনি আরও বলেন, 'আমি বিষয়টি বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। নিরাপত্তার কাজে জড়িত সদস্যদের কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি করতে হবে।'
বগুড়া থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দরে আসা নবির হোসেন জানান, তিনি ব্যবসার কাজে বুড়িমারী স্থলবন্দরে এসেছেন। কাস্টমস ইয়ার্ড ঘুরেছেন, কিন্তু কোনো নিরাপত্তা কর্মী তাকে কিছুই জিজ্ঞাসা করেননি।
তিনি বলেন, 'অপরিচিত ও বহিরাগত কেউ কাস্টমস ইয়ার্ডে ঘোরাফেরা করলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা নিরাপত্তাকর্মীর দায়িত্ব।'
কাস্টমস ইয়ার্ডে থাকা মোটরসাইকেল আরোহী সাইদুল ইসলাম জানান, তিনি একজন আমদানি ও রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীর প্রতিনিধি। পণ্য খালাসের ব্যাপারে প্রায়ই কাস্টম ইয়ার্ডে আসতে হয়। মোটরসাইকেলে নিয়ে এখানে চলাচল করলেও কেউ তাকে বাঁধা দেননি।
বুড়িমারী স্থলবন্দরে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত সদস্যদের ইনচার্জ (সিকিউরিটি ইনচার্জ) মজিবুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কাস্টমস ইয়ার্ডে সবসময় শত শত মানুষ ঘোরাফেরা করেন। তাদের কেউ ট্রাকচালক ও শ্রমিক, কেউ পণ্য লোড-আনলোডের কাজে নিয়োজিত শ্রমিক, কেউ ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি এবং অনেকে আমদানি-রপ্তানিকারক।
তিনি বলেন, 'আমরা মূলত আমদানি পণ্য নিয়ে আসা ভারতীয় ট্রাক ও ট্রাকচালকদের নজরদারি করে থাকি। কিন্তু, প্রতিদিন অসংখ্য অপরিচিত ও বহিরাগত মানুষ এই বন্দরে আসেন। তাদের কেউ কেউ কাস্টমস ইয়ার্ডেও ঢুকে পড়েন। কাস্টমস ইয়ার্ডে যেন বহিরাগতরা প্রবেশ করতে না পরে সে বিষয়ে আমরা তৎপর আছি।'
বুড়িমারী স্থলবন্দরে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক রুহুল আমিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তাকর্মীদের নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপরিচিত বহিরাগত কেউ যেন কাস্টমস ইয়ার্ডে অবাধে বিচরণ করতে না পারে, সেদিকে কঠোর নজরদারি রাখা হচ্ছে।'
Comments