বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মতিগতি পড়ে ফেলেছিলেন এজাজ

 Ajaz Patel
১৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা এজাজ প্যাটেল। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বাংলাদেশে আসার আগে তার অভিজ্ঞতার ঝুলিতে ছিল মাত্র দুটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। দলের বাকি দুই স্পিনার অভিষেকের অপেক্ষায় থাকায় এই দুই ম্যাচ নিয়েই এই দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ছিলেন এজাজ প্যাটেল। আদর্শ কন্ডিশন পেয়ে এই সংস্করণে কম খেলার অভিজ্ঞতা তুড়ি মেরে উড়ালেন এই বাঁহাতি স্পিনার। রোববার ১৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে হারানোর নায়ক জানালেন, ব্যাটসম্যানদের হাবভাব বুঝে ফেলেছিলেন তিনি।

রোববার মিরপুরের চিরায়ত মন্থর উইকেটে আগে ব্যাট করে ১২৮ রান জড়ো করে কিউইরা। রান তাড়ায় প্রায় ২০ ওভার খেলেও মাত্র ৭৬ রান করে মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস।

বাংলাদেশের ইনিংসের মিডল অর্ডার পুরো ধসিয়ে দেন এজাজ। ৪ ওভার বল করে ১৬ রানে নেন ক্যারিয়ার সেরা ৪ উইকেট। আন্তর্জাতিক ম্যাচ তো বটেই ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতেও এটা তার সেরা বোলিং।

স্বাভাবিকভাবে ম্যাচ সেরা পারফর্ম করে খুশি তিনি। ম্যাচ শেষে সেই সঙ্গে জানালেন যেভাবে ছক এঁকে ফাঁদে ফেলেছেন স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের,  'নিজের পারফরম্যান্সে খুশি। উইকেটে স্পিনারদের অনেক সহায়তা ছিল। লাইন-লেন্থ ঠিক রাখা ও গতি বৈচিত্র্য এখানে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি ব্যাটসম্যানদের পড়ে ফেলার চেষ্টা করেছি।'

শেখ মেহেদীকে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ বানিয়ে শুরু। পরে সাকিব আল হাসান তার বলে উড়াতে গিয়ে ধরা দেন লং অনে। মাহমুদউল্লাহর সহজ ক্যাচ যায় এক্সট্রা কাভারে। আফিফ হোসেন উইকেটে টেনে হন বোল্ড।

এসব ব্যাটসম্যান ক্রিজে আসার পরই তাদের চিন্তার জায়গা বুঝে নিয়েছিলেন এজাজ,  'আমি জানতাম মেহেদী (শেখ মেহেদী হাসান) আমাকে মারার চেষ্টা করবে, আমি তাই চেষ্টা ছিল আঁটসাঁট থাকা এবং বলের গতি সামান্য বাড়িয়ে তাকে চাপে ফেলা। অবশ্য সাকিব খুব বিপদজনক আমাদের জন্য আমি চেষ্টা করেছি তার বেলায় গতিটা একটু কমিয়ে দেয়া। আমি কিছুটা ভাগ্যবান কারণ সে টামিং করতে পারেনি। আফিফের বেলাতেও তাই (মিসটাইমিং) হয়েছে।

প্রথম ম্যাচে ৪ ওভারে দিয়েছিলেন মাত্র ৭ রান, পেয়েছিলেন ১ উইকেট। পরের ম্যাচে তার ঝুলিতে পড়ে ২০ রানে ১টি। দল হারায় সেসব পারফরম্যান্স নিয়ে আলাপ করার অবস্থা ছিল না। এবার সেরা বোলিংয়ে দল জেতানোর পর নিজের সামর্থ্যের প্রমাণও হয়েছে বলে মনে করেন এজাজ,  'উইকেটের চরিত্র দেখে বুঝে নিয়েছি এখানে বিপদজনক বল কোনটা। স্টাম্পে বল রেখেছি। একইসঙ্গে গতির বদল, লাইনের অদল-বদল ছিল। বৈচিত্র্যও ক্রিজ ব্যবহার করেছি। এসব করেই সাফল্য এসেছে।'

'অভিজ্ঞতার ঘাটতি নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। আমি দেখিয়েছি এই কন্ডিশনে খেলার সামর্থ্য আমাদের আছে। দ্রুত মানিয়ে নিয়েছি।'

Comments

The Daily Star  | English

7 colleges to continue operating under UGC until new university formed

Prof AKM Elias, principal of Dhaka College, to be appointed as the administrator

4h ago