ক্যাপ্টেন নওশাদের দক্ষতায় যেভাবে বেঁচে গিয়েছিলেন বিমানের ১৪৯ যাত্রী

ক্যাপটেন নওশাদ কাইয়ুম। ছবি: সংগৃহীত

ওমান থেকে দেশে ফেরার পথে ফ্লাইটে হার্ট অ্যাটাকের পর জরুরি অবতরণে ১২২ যাত্রীকে নিরাপদে ল্যান্ড করান ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম। তবে নিজের আর ফেরা হয়নি স্বজনদের কাছে। চার দিন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থেকে পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে। ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার সকালে তিনি মারা যান। তবে গত ২৭ আগস্টে তার দক্ষতায় যাত্রীদের জীবন বাঁচানোই কেবল নয়, দক্ষ এই পাইলট ২০১৬ সালেও বাঁচিয়েছেন ১৪৯ যাত্রী ও ৭ ক্রুর জীবন।

২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজটি নিয়ে ওমান থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন নওশাদ। মাস্কাট বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা শুরুর পরপরই বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ টাওয়ার ক্যাপ্টেন নওশাদকে বিমানের চাকা ফেটে যাওয়ার কথা জানায়।

নিজের সাহসিকতা ও দক্ষতার সঙ্গে উড়োজাহাজটিকে ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করান। পরে, জরুরিভাবে ফ্লাইটের ১৫৬ আরোহীকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়।

বিমানের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম মোসাদ্দেক আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সেদিন ল্যান্ডিং গিয়ারের একটি চাকা দিয়ে ল্যান্ড করতে হয়েছিল। উড়োজাহাজটি রানওয়েতে পুরোপুরি থামার কিছুক্ষণ আগে ওই চাকাটি ধাক্কাও খেয়েছিল।'

বোয়িং-৭৩৭ এর তিনটি ল্যান্ডিং গিয়ার আছে যার প্রতিটিতে দুটি করে টায়ার আছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ঘটনার পর ক্যাপ্টেন নওশাদ বলেছিলেন তিনি ল্যান্ডিংয়ের সুবিধার জন্য আগে আকাশে কিছুক্ষণ উড়োজাহাজটি চালিয়ে জ্বালানি পুড়িয়েছেন এবং ওজন কমিয়েছেন।

সেদিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ফ্লাইটের নিরাপদ ল্যান্ডিংয়ের জন্য রানওয়ে দুই ঘণ্টার বেশি বন্ধ রাখে। আন্তর্জাতিক ও তিনটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট কলকাতা, মিয়ানমারের মান্দালয়, চট্টগ্রাম ও যশোরের দিকে ডাইভার্ট করে।

২২ ডিসেম্বর সকাল ১০টা ৭ মিনিটে উড়োজাহাজটি সফলভাবে শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

Comments

The Daily Star  | English

Unpacking the proposed reforms to our revenue system

The primary logic behind the separation of revenue tasks at issue is to inject an element of operational independence into the proposed bodies.

8h ago