মুক্তিযুদ্ধ

‘তোমার তো ছয় ছেলে, একজনকে না হয় দেশের জন্য দিয়েই দিলে’

শহীদ বদিউল আলম, বীর বিক্রম

ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের ৭ম ব্যাচের দুর্দান্ত মেধাবী ছাত্র বদিউল আলম বদি। ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় স্টার মার্কস পেয়ে উত্তীর্ণ হন। ১৯৬৭ সালের কোনো একদিন পত্রিকায় পাকিস্তান বিমানবাহিনীর পাইলট হিসেবে নিয়োগ পরীক্ষার জন্য বিজ্ঞপ্তি এলো।

পরীক্ষা দেয়ার জন্য যেতে হতো পশ্চিম পাকিস্তানের করাচিতে। বদি বললেন, 'আম্মা আমি বিমানবাহিনীতে নিয়োগ পরীক্ষা দেবো। প্রথমে তার মা রওশন আরা বেগমের তীব্র আপত্তি, 'না এই পরীক্ষা দিতে পারবে না। তোমাকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না। আর ওখানে যাওয়া মানে মৃত্যুকে কাঁধে তুলে নেয়া। আমি তোমাকে ছাড়তে পারবো না। কিন্তু তার বাবা বললেন, 'ছেলেটা এতো করে চাইছে যখন দিক না। দুই পাকিস্তান মিলে যেখানে পরীক্ষা, টেকা তো আর মামুলি হাতের কাণ্ড নয়।' তিনি ভাবলেন ছেলে তো টিকবে না। যেখানে গোটা পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পদের সংখ্যা খুবই স্বল্প। কিন্তু যে বদি প্রতিটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, সে কীভাবে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে না। ফলাফল কিছুদিনের মধ্যে তাদের বাসায় বিমানবাহিনীর নিয়োগপত্র এলো। কিন্তু এবার তার মায়ের ফের জেদ। তুমি কিছুতেই ওখানে ঢুকতে পারবে না।

মায়ের জেদ দেখে বদির জেদ ঠিক আছে তাহলে আমাকে একটা মোটরসাইকেল কিনে দিতে হবে। বদির জেদে তার বাবা তাকে কিনে দিলেন সুজুকি ৮০ নামের একটি মোটরসাইকেল। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন বদি।

তার ছোট ভাই সাইফুল আলম কাঁকন দ্য ডেইলি স্টারকে বলছিলেন, 'বড় ভাই প্রতিদিন আব্বার থেকে টাকা নিয়ে যেতেন বই কেনার জন্য। একবার বড় ভাই ছুটিতে ক্যাডেট কলেজ থেকে এসেছেন। পাশের বাসায় এক ভদ্রলোক থাকতেন ইউনুস সাহেব নামে। ইউনুস সাহেবের বাসায় গিয়ে বদি দেখলো তেমন একটা বই নেই, যেগুলো ছিল সেগুলো বেশিরভাগই পড়া। বদি একটা বই হাতে নিতেই ইউনুস সাহেব বললেন, 'এগুলো তো ডক্টরেটের বই। এগুলো কী পড়বা!' বদি বললেন, 'আরে দেন একটা, দিয়ে দেবো পরে।' পরের দিন পড়া শেষে বড় ভাই বইটা নিয়ে এসে বললেন, "বর্তমানে এই এই জায়গায় বইতে ভুল আছে।" ইউনুস সাহেব প্রচণ্ড আশ্চর্য হয়েছিলেন।'

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকেও বদি উত্তীর্ণ হয়েছিলেন প্রথম বিভাগে। এরপর ভর্তি হয়েছিলেন করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে। মার্চ মাসের শুরুতে করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষে ঢাকায় ফিরে এসেছিলেন তিনি।

বদি ছিলেন ভীষণ রাজনৈতিক সচেতন। ২৫ মার্চ রাতের ভয়াবহতার আগেই তিনি স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে ছিলেন। আর কালরাতের নির্মমতা দেখে পাকিস্তানের প্রতি তার ভয়াবহ বিদ্বেষ জন্মালো। ২৬ মার্চ রাতে বদি তার বন্ধু শহীদুল খান বাদলের কাছে গেলেন বন্ধু সালেক এবং স্বপনকে নিয়ে। বদিকে দেখে বাদল খানিকটা আতংকিত হলেন। কারণ বদি এনএসএফ করতেন সুতরাং হানাদারদের পক্ষে থাকাই স্বাভাবিক। অন্যদিকে শহীদুল খান বাদল করতেন ছাত্রলীগ। বাদলকে দেখে বদি দোর্দণ্ড গলায় বললেন, 'কমিউনিস্ট তোমরা সবাই তো সশস্ত্র বিপ্লবের কথা বলো, কিন্তু এখন কোথায় তোমাদের বিপ্লব? চলো যাই। যুদ্ধ করি।' অবাক হয়ে গেলেন বাদল। তবুও বাদল যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না বদি এমন। এই বদি না এনএসএফ করতো! ঠিক এমন সময় বাদলের অবাক হওয়া দেখে বদি পকেট থেকে ব্লেড নিয়ে একটু আঁচড় দিয়ে রক্ত বের করে টেনে বাদলকে বললেন, আজ থেকে আমরা রক্তের ভাই। চলো যাই, যুদ্ধ করি।'

মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে শহীদুল্লাহ খান বাদল, মাসুদ ওমর ও আসফাকুস সামাদ চলে গেলেন ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বদির নানার বাড়িতে। সময়টা মার্চের ২৮ তারিখ। তখন গফরগাঁও ছিল ভয়ংকর এলাকা। পরিচিত ছিল ডাকাতদের অভয়াশ্রম হিসেবে। বদির ইচ্ছে ছিল তিনি সেই ডাকাতদের সংগঠিত করে দেশের পক্ষে যুদ্ধে শামিল করাবেন। বদি মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করার কারণে তার দাদার বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এরপর সেখানে তেমন একটা না থেকে তারা চলে গেলেন বদির মায়ের নানার বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইলের জাওয়ার গ্রামে। এখানেই মূলত বদি মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করেছিলেন সবচেয়ে বেশি। এখানে স্থানীয় রাজাকারদের দাপট ছিল বেশি। তেজি ও দুঃসাহসী মুক্তিযোদ্ধা বদি এবং তার বন্ধু হেলাল একে একে একটি ছোট দল গঠন করেন। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা এতে বল ফিরে পান। এখানে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনের মধ্যে একটি ছিল তাড়াইল থানা লুট। কিশোরগঞ্জে বেশ কয়েকটি অপারেশন করেছিলেন বদি। এই গ্রামটাই ছিলো বদিদের প্রধান আশ্রয়স্থল। তার মা তখন থাকতেন কিশোরগঞ্জ শহরে নীলগঞ্জের মোড়ে তার খালার বাসায়।

একবার বদি কিশোরগঞ্জ শহরে তার খালার বাসায় এসে তার মা ও বাবাকে বলেছিলেন, 'তোমার তো ছয় ছেলে, একজনকে না হয় দেশের জন্য দিয়েই দিলে।'

একথার পর তার মা আর আপত্তি করেননি।

একদিন অপারেশন শেষে খালার বাসায় ফেরার পর তার মা রওশন আরা বদি ও তার বন্ধু হেলালকে বলেছিলেন 'তোরা এভাবে চার জন পাঁচ জন মিলে অপারশন করে তো বেশিদিন পাত্তা পাবি না, ধরা পড়বি। তোরা ইন্ডিয়া যা। ট্রেনিং নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে এসে অপারেশন কর। বদি তুই যদি মারাও যাস তাতেও আমি গর্ববোধ করবো শহীদের মা হিসেবে।'

বদি ও হেলাল একসময় কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থেকে ময়মনসিংহের গফরগাঁও গিয়ে পৌঁছে শুনলেন ২য় ইস্ট-বেঙ্গল রেজিমেন্ট গাজীপুরের জয়দেবপুর সেনানিবাস বিদ্রোহ করে কিশোরগঞ্জ অবস্থান করছে। এ খবর পেয়ে তারা ফের কিশোরগঞ্জ চলে যান। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া, ভৈরব বাজারসহ কিশোরগঞ্জের নানা জায়গায় বেশ কয়েকটি অপারেশন করেছিলেন বদি। এরপর বেশ কয়েকটি অস্ত্র সংগ্রহ করে চলে যান আবু মঈন মহাম্মদ আশফাকুস সামাদের বাসায়। সেখানে প্রথমে উঠলেও তারা অস্ত্র রাখেন আরেক বন্ধুর বাসায়। সেখানে বাড়ির পাশে গর্ত খুঁড়ে চটের বস্তায় অস্ত্রগুলো রাখা হয়েছিল।

জুলাই মাসে হেলাল যখন বাড়ির সবাইকে ভারত নেয়ার ব্যাপারে উদগ্রীব ঠিক তখন বদিই বললেন, 'ভারত গিয়ে কী হবে। তারচেয়ে দেশেই তো আমরা বড় কিছু করতে পারি। ভারত গেলে অনেকটা সময় চলে যাবে।'

জুলাই মাসের শেষ দিকে হেলাল চলে গেলেন ভারতে। এরই মধ্যে ঢাকায় ক্র্যাক প্লাটুনের দুর্ধর্ষ সব অপারেশন শুরু হয়ে গেছে। একের পর এক অপারেশনে পর্যদুস্থ পাকিস্তানি হানাদারেরা। এসময় বদি ক্র্যাক প্লাটুনের সঙ্গে যোগ দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। প্রথমে অনেকে আপত্তি জানিয়েছিল কারণ তার প্রশিক্ষণ নেই। কিন্তু বদি ক্যাডেট কলেজের ছাত্র ছিলেন জানার পর আর আপত্তি ছিল না।

বদি ক্র্যাক প্লাটুনের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন জুলাই মাসের শেষের দিকে। অপারেশন ফার্মগেটের মাধ্যমেই মূলত আলোচিত হয়ে উঠেন বদি। এরই মধ্যে একদিন তিনি তার খালার বাসায় গেলে সেখানে তার বাবা তাকে বলেছিলেন, 'তুই কখনো পাকিস্তানি হানাদারদের হাতে ধরা দিবি না। তুই তোর সঙ্গে একটা গ্রেনেড রাখবি ধরা পড়লে গ্রেনেড চার্জ করে নিজেও আত্মাহুতি দিবি আশেপাশেরগুলোকেও মারবি। তোকে ধরলে ওরা টর্চার করবে।'

ঢাকায় বদি এসেছিলেন বড় ধরনের অপারেশনের লক্ষ্য নিয়ে। অপারেশন ফার্মগেট ছিল তার অকল্পনীয় দলিল। ফার্মগেট চেকপোস্ট হলো পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সবচেয়ে নিরাপদ চেকপোস্টগুলোর একটি। কারণ এই চেকপোস্ট পার হলে সোজা ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের গেট। অন্যদিকে আনন্দ সিনেমা হলের উপরে তাক করে সেনাবাহিনীর ভারী মেশিনগান। সেখানে গেরিলা আক্রমণ। ফার্মগেট অপারেশনটি ছিল বদির নেতৃত্বেই। বদিই মূলত এই অপারেশনের নায়ক। ফার্মগেটের পাশেই মনিপুরীপাড়ায় বদিদের বাড়ি বলে এটি ছিল বদির হাতের তালুর মতো চেনা। অপারেশন ফার্মগেট ছিলো প্রচণ্ড ঝুঁকিপূর্ণ এবং ধরা পড়ার ভয় সবচেয়ে বেশি। মাত্র দেড় মিনিটের এই দুর্দান্ত অপারেশনে অংশ নিয়েছিলেন বদি ছাড়াও ক্র্যাক প্লাটুনের মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল আলম, কামরুল হক স্বপন, আবদুল হালিম জুয়েল, পুলু ও আবদুস সামাদ। এই অপারেশনের পর বিদ্যুৎ চমকের মতো অপারেশনের খবর পৌঁছে গিয়েছিল ঢাকাজুড়ে। ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের এতো কাছে হানাদারদের এভাবে গেরিলাদের গুলিতে নিহত হওয়ার খবর বিশ্বাস করতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর জেনারেলদেরও কষ্ট হয়েছিল। অপারেশন ফার্মগেটের পর গেরিলাদের পাশাপাশি পুরো ঢাকা শহরের মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছিল নতুন এক উদ্দীপনা।

১৪ আগস্ট ঢাকা শহরের আকাশে গ্যাস বেলুনের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন, ১৯ আগস্ট সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন হামলা—ক্র্যাক প্লাটুনের সফলতম প্রায় সব বড় অপারেশনে বদি ছিলেন অনবদ্য অংশ।

বদির আরেকটি অপারশনের কথা বলতেই হয়। অপারেশন আননোন ডেসটিনেশন। যা ধানমণ্ডি অপারেশন নামেই সবার কাছে পরিচিত। ধানমণ্ডি ১৮ ও ২০ নম্বর সড়কে চালানো এই সংক্ষিপ্ত সময়ের অপারেশনে নিহত হয়েছিল বেশ কয়েকজন হানাদার। অপারেশন ডেসটিনেশন আননোন কাঁপন ধরিয়েছিল হানাদারদের মনোজগতে। এই অপারেশনের মাধ্যমে ক্র্যাক প্লাটুন জানান দিয়েছিল তাদের দোর্দণ্ড প্রতাপের। ২৬ আগস্ট এই অপারেশনের খবর ফলাও করে ছাপা হয়েছিল সংবাদপত্রের পাতায়। ধানমণ্ডিতে অপারেশনের পরই গেরিলাদের ধরতে চিরুনি অভিযানে নামে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী। একই সঙ্গে চলে গোয়েন্দাদের তৎপরতা।

ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ জালাল উদ্দিনের ছেলে ফরিদ ছিল বদির বন্ধু। ফরিদও ছিলেন এনএসএফ কর্মী।

২৯ আগস্ট সকালবেলা অন্যান্য দিনের মতো ফরিদের বাসায় তাস খেলছিলেন বদি, জাফর ও পারভেজ হাসান। বদি ঘুণাক্ষরেও টের পাননি কী ঘটতে চলেছে। কিন্তু তাস খেলার মাঝে ফরিদ উঁকি ঝুঁকি দিলে বদির খানিকটা সন্দেহ হয়। কিন্তু ফের তাস খেলায় মনোযোগ দিয়েছিলেন। তাস খেলার এক পর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একটি দল ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষের বাড়িটি ঘেরাও করে। মূলত এনএসএফ কর্মী ফরিদই বদিকে ধরতে তথ্য পৌঁছে দিয়েছিল হানাদার বাহিনীর কাছে। এসময় বদি দেখতে পেয়ে জানালা দিয়ে টপকে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তা আর কাজে আসেনি। কেবল বদিকেই সেখান ধরে নিয়ে যায় পাকিস্তানি বাহিনী। ক্র্যাক প্লাটুনের প্রথম গেরিলা হিসেবে ধরা পড়েন বদিউল আলম বদি।

এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নাখালপাড়ার ড্রাম ফ্যাক্টরির পাশে এমপি হোস্টেলের মিলিটারি টর্চার সেলে। সেখানে তার উপর নির্যাতন শুরু হলেও তিনি ছিলেন নির্বিকার। নানা পর্যায়ে অত্যাচার করতে করতে জিজ্ঞেস করছিল তার সহযোদ্ধাদের নাম। তিনি প্রথমে বলেছিলেন তোমরা যা ইচ্ছে তা করতে পারো। কিন্তু আমি বলবো না আমার সহযোদ্ধাদের নাম। নির্মম অত্যাচারে বদির একটি চোখ বেরিয়ে এসেছিলো। তার দুহাত ও পায়ে রড দিয়ে চূড়ান্ত পাশবিক কায়দায় পিটিয়ে হাড় ভেঙে দেয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে বদিকে ইলেকট্রিক শক দেয়া হয়েছিল যেন নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সঙ্গীদের নাম প্রকাশ করেন। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করার পরিকল্পনা করেছিলেন বদি। প্রথমে তিনি তার দিয়ে আত্মহত্যা করতে গেলেও পারলেন না। এরপর তিনি ওই অবস্থাতেই এক হানাদার সদস্যকে ধরে মারতে লাগলেন। উদ্দেশ্য তাকে যেন গুলি করে মেরে ফেলা হয়। এরপর ৩ সেপ্টেম্বরের দিকে তাকে আলাদা আরেকটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। ধারণা করা হয় পৈশাচিক নির্যাতনের পর ৪ সেপ্টেম্বরে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

সূত্র:

শহীদ বদি ও আমার স্মৃতিতে একাত্তর/ রওশন আরা খানম

আহমাদ ইশতিয়াক ahmadistiak1952@gmail.com

Comments

The Daily Star  | English

Enforced disappearances: Eight secret detention centres discovered

The commission raised concerns about "attempts to destroy evidence" linked to these secret cells

2h ago