ভারতের সঙ্গে ফ্লাইট বিষয়ক বিভ্রান্তি দূর করুন

প্রতীকী ছবি

ভারত থেকে বাংলাদেশে ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফ্লাইটে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিমানের বক্তব্যে নতুন করে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন।

গত ১৭ আগস্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আগস্টের ২০ তারিখ থেকে আবার বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফ্লাইট চালু হবে। পরবর্তীতে তিনি জানান, তিনি বোঝাতে চেয়েছেন দুদেশের মধ্যে ফ্লাইট যেকোনো সময় চালু হতে পারে।

তার আগের বক্তব্যের সূত্র ধরে বিমান সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, ঢাকা থেকে দিল্লী ও কলকাতার ফ্লাইটগুলো ২২ আগস্ট থেকে আবারও চালু হবে।

এসব বক্তব্য ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পরেও দুদেশের মধ্যে ফ্লাইট এখনও চালু হয়নি। দ্য ডেইলি স্টারে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ (সিএএবি) গত ৪ আগস্ট ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশনকে একটি চিঠি পাঠিয়ে এয়ার বাবল চুক্তির আওতায় ফ্লাইট চালুর অনুমোদন চাইলেও এখনও তার কোনো উত্তর পায়নি। এর অর্থ, এর আগে যেসব বক্তব্য দেওয়া হয়েছে তা সিএএবির অনুমোদন ছাড়াই।

বিমানের ঘোষণার পর অনেক যাত্রী ভারতে যাওয়ার জন্য এবং ভারত থেকে ফেরার জন্য টিকেট কেটেছেন। এই যাত্রীরা এখন রয়েছেন অনিশ্চয়তার মধ্যে।

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ফ্লাইটগুলো আদৌ চালু হচ্ছে কি না এবং চালু হলেও কবে থেকে হচ্ছে তা যাচাই না করেই বিমানের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা খুবই অপেশাদার একটি কাজ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমে একটি বক্তব্য দেওয়ার অর্থ এই না যে, বিমান সিএএবির সঙ্গে আলোচনা না করে এবং তাদের অনুমোদন না নিয়েই ফ্লাইটের শিডিউল প্রকাশ করার বৈধতা পেয়ে গেল। মাত্র দুসপ্তাহের ব্যবধানে আবারও বিমান তাদের যাত্রীদের একটি ঝামেলাপূর্ণ পরিস্থিতিতে ফেলেছে। এর আগে, গত ১০ আগস্টে বিমান ও তাদের অনলাইন টিকেট বিক্রি অংশীদারের মধ্যে ঝামেলা দেখা দেওয়ায় বিমানের সব ধরণের অনলাইন টিকেট বিক্রি স্থগিত হয়ে যায়। এতে জনসাধারণকে অবর্ণনীয় দুর্দশার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। তাদেরকে প্রত্যক্ষভাবে উপস্থিত হয়ে টিকেট সংগ্রহ করতে বাধ্য হতে হয়। যা এই মহামারির সময়ে তাদের জন্য ঝুঁকির সৃষ্টি করেছে।

জাতীয় পতাকাবাহী উড়োজাহাজ পরিচালনার সংস্থাটির কাছে আমাদের প্রত্যাশা আরও অনেক বেশি। বিমান কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এ ধরণের অব্যবস্থাপনা অবমাননাকর একটি বিষয় ছাড়া আর কিছুই নয়। বিমানের উচিৎ শিগগির তাদের যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চাওয়া। এরচেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, যাত্রীরা যে সমস্যায় পড়েছেন তা থেকে উত্তরণে সহায়তা করা।

কর্তৃপক্ষের জন্য আবশ্যক কাজ হচ্ছে, বিষয়টি নিয়ে সবধরনের বিভ্রান্তি দূর করা এবং আবারও ফ্লাইট চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার দিকে মনোযোগ দেওয়া।

Comments

The Daily Star  | English

Bid to remove president: BNP at odds with student movement

The interim government’s decision on whether to remove President Mohammed Shahabuddin from office is still awaiting a “political consensus”, because the BNP believes removing him would unnecessarily stir things up in post-Hasina Bangladesh.

9h ago