আগামী বছর আসবে দক্ষিণ কোরিয়ার নিজস্ব ভ্যাকসিন

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন। ছবি: সংগৃহীত

আগামী বছরের মধ্যে নিজস্ব ভ্যাকসিন আনার কথা জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। ভ্যাকসিনের উন্নয়ন ও উৎপাদনে আগামী পাঁচ বছরে ২.২ ট্রিলিয়ন কোরিয়ান ওয়ান (১.৯২ বিলিয়ন ডলার) বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছে কোরিয়া সরকার।

আজ বৃহস্পতিবার ভ্যাকসিন হাব ভিশনে নতুন সরকারি-বেসরকারি কমিটির উদ্বোধনী কৌশল সভায় সভাপতিত্ব করার আগে প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন এসব কথা বলেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম কোরিয়া হেরাল্ডের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন জানান, ২০২২ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে দেশের প্রথম স্থানীয়ভাবে বিকশিত ভ্যাকসিন উৎপাদন করা হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে কোরিয়াকে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি ভ্যাকসিন উৎপাদক দেশের একটি করে তোলার লক্ষ্যে এ বছরের শেষের দিকে পরিকল্পিত বিনিয়োগ চালু করা হবে।

তিনি বলেন, ধনী ও দরিদ্র দেশের মধ্যে ভ্যাকসিনের বৈষম্য দূর করার একমাত্র উপায় হল ভ্যাকসিনের সরবরাহ বাড়ানো। ভ্যাকসিন হাব কৌশলের সঙ্গে, দক্ষিণ কোরিয়া ভ্যাকসিনের ঘাটতি মোকাবেলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

আমাদের কোম্পানিগুলো নতুন চ্যালেঞ্জ শুরু করতে প্রস্তুত এবং সরকার তাদের সমর্থন করবে, বলেন তিনি।

ভ্যাকসিনের উন্নয়ন, উৎপাদন এবং বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব- এই তিনটি ক্ষেত্রে কৌশল নির্ধারণের জন্য স্থানীয় ওষুধ কোম্পানি, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং বিশেষজ্ঞ এবং স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১১টি মন্ত্রণালয় কমিটিতে যোগ দিচ্ছে।

মুন বিশেষ করে দেশের প্রথম স্থানীয়ভাবে বিকশিত ভ্যাকসিন নিয়ে উচ্চ প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। বর্তমানে, সাতজন ডেভেলপার ক্লিনিকাল ট্রায়াল করছেন এবং সরকার এই বছর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।

তিনি বলেন, ভ্যাকসিনের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত করতে আমাদের নিজস্ব ভ্যাকসিন থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার প্রথম কোরিয়ান ভ্যাকসিন চালুতে গতি আনতে আর্থিক ও নিয়ন্ত্রণ উভয়ভাবে সহায়তা করবে।
 

Comments

The Daily Star  | English

Power, Energy Sector: Arrears, subsidies weighing down govt

The interim government is struggling to pay the power bill arrears that were caused largely by “unfair” contracts signed between the previous administration and power producers, and rising international fuel prices.

10h ago