ক্যারিয়ার সেরা টাইমিংয়েও বিদায় আরিফুল-জুনাইনার

নিজের সামর্থ্যের সবটুকুই ঢেলে দিলেন পুলে। করলেন ক্যারিয়ার সেরা টাইমিং। কিন্তু তারপরও টোকিও অলিম্পিক থেকে বিদায় নিতে হয়েছে বাংলাদেশের সাঁতারু আরিফুল ইসলামকে। তার মতো সেরা টাইমিং করে বিদায় নিয়েছেন লন্ডন প্রবাসি সাঁতারু জুনাইনা আহমেদও।

৫০ মিটার ফ্রিস্টাইলে আরিফের সেরা টাইমিং ছিল ২৪.৯২ সেকেন্ড। যা করেছিলেন ২০১৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় ফিনা ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন্সশিপসে। টোকিও অ্যাকুয়াটিক সেন্টারে এদিন রেস শেষ করেছেন ২৪.৮১ সেকেন্ডে। অন্যদিকে ২০১৯ সালের দক্ষিণ কোরিয়ার ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন্সশিপসে ৩০.৯৬ সেকেন্ড সময় ছিল জুনাইনার সেরা টাইমিং। এদিন নিজেকে ছাড়িয়ে ২৯.৭৮ সেকেন্ড সময় নিয়েছেন তিনি।

অলিম্পিকে সাঁতারে কোনো বাংলাদেশির পদক আশা করে যেন অলীক স্বপ্নের মতো। তবে এবার ‌‌আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির বৃত্তিতে শেষ দুই বছর প্যারিসে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন আরিফুল। আর কঠোর অনুশীলন করে জুনাইনা নিজেকে প্রস্তুত করেন ব্রিটেনে। তাতে প্রত্যাশা ছিল পদক না পেলেও ভালো করবেন তারা। আরিফ তার কিছুটা পারলেও পারেননি জুনাইনা।

এদিন ৫০ মিটার ফ্রি স্টাইলে পুরুষদের বিভাগে হিট-৪ এ রুয়ান্ডা, নাইজার, জাম্বিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট, কম্বোডিয়া, বেনিন ও বুরকিনাফাসোর সাত সাঁতারুর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন আরিফ। কিন্তু তাদের মধ্যে হয়েছেন তৃতীয়। তবে সবমিলিয়ে ৭৩ জন প্রতিযোগীর মধ্যে ৫১তম হওয়ায় বিদায় নিতে হয় তাকে।

একই সেন্টারে মহিলাদের বিভাগে জুনাইনার প্রতিপক্ষরা ছিলেন সোয়াতিনি, কুয়েত, তাজিকিস্তান, বেনিন, কম্বোডিয়া, ফিলিপাইন ও লাওসের সাঁতারুরা।এ প্রতিযোগীদের মধ্যে হয়েছেন চতুর্থ। আর সবমিলিয়ে ৮১ জন প্রতিযোগীর মধ্যে হয়েছেন ৬৪তম। তাই বাছাই পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয় এ সাঁতারুকে।

অলিম্পিকে এবার বাংলাদেশের সব আশা ছিল আর্চারিকে ঘিরে। তবে সে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। যদিও লড়াই করেই হেরেছেন দুই আর্চার রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দিকী। এর আগে শুটিংয়ে আব্দুল্লাহ হেল বাকিও করেছেন হতাশ। সে ধারায় এবার সাঁতার ইভেন্ট থেকে বিদায় নিলেন আরিফুল ও জুনাইনাও।

আগামীকাল অ্যাথলেটিকসে ৪০০ মিটার স্প্রিন্টের হিটে দৌড়বেন জহির রায়হান।

Comments

The Daily Star  | English
India visa restrictions for Bangladeshi patients

A wake-up call for Bangladesh to reform its healthcare

India’s visa restrictions on Bangladeshi nationals, while initially perceived as a barrier, could serve as a wake-up call for Bangladesh to strengthen its healthcare system and regain the confidence of its patients.

13h ago