স্বর্ণ জিতেই সব ট্রলের জবাব দিলেন সেই ডাচ তরুণী
হ্যাঁ, এবার আর কোনো ভুল হয়নি। এবার সত্যি সত্যিই স্বর্ণ জিতেছেন আনেমেইক ভ্যান ভ্লিউটেন। নারীদের সাইক্লিংয়ের একক টাইম ট্রায়ালে স্বর্ণ জিতেই সব ট্রলের জবাব দিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের এ সাইক্লিস্ট।
মাউন্ট ফিজি স্পিডওয়েতে বুধবার একক টাইম ট্রায়ালে প্রথম হয়েছেন ভ্লিউটেন। তার সঙ্গে দারুণ লড়াই করেছিলেন সুইজারল্যান্ডের মারলেন রিউসার। তবে ৫৬.৪৭ সেকেন্ড সময় নেওয়ার রৌপ্য নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় এ সুইস তরুণীকে। ভ্লিউটেনের স্বদেশী আনা ভ্যান ডার ব্রেগান পেয়েছেন ব্রোঞ্জ পদক।
তবে রেসে এদিন শুরু থেকেই দাপট ছিল ভ্লিউটেনের। রিউসারের সঙ্গে লড়াইটা জমজমাট হলেও প্রতিটি চেকপোস্টেই এগিয়ে ছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩০ মিনিট ১৩.৪৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে ২২.১ কিলোমিটার পারি দিয়েছেন এ ডাচ তরুণী।
এর আগে অলিম্পিকের দ্বিতীয় দিনে বেশ লজ্জায় পড়েছিলেন ভ্লিউটেন। রোড সাইক্লিংয়ের সে ইভেন্টে রেস করার পর ভেবেছিলেন প্রথম হয়েছেন তিনি। তাই শেষ সীমানার কাছে আসতেই সাইকেলের হেন্ডেলবার ছেড়ে দুই দিকে দুই হাত প্রশস্ত করে উদযাপন করেছেন। কিন্তু পরে জানতে পারেন তার ৭৫ সেকেন্ড আগেই রেস শেষ করেছেন অস্ট্রিয়ার কিসেনহোফার।
এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বেশ ট্রলও হয়েছিল। গণমাধ্যমেও জায়গায় করে নেয় বিষয়টি। সেদিনই হয়তো পণ করেছিলেন ভ্লিউটেন। স্বর্ণ জিতেই দেখাবেন। আর করেও দেখালেন।
রোড রেসে অবশ্য ফেভারিটই ছিলেন ভ্লিউটেন। কিন্তু সেদিন নিজ দল ও পরিচালকদের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থায় ত্রুটির কারণে ভুল হয়েছিল তার। রেডিওতে ঠিকঠাকভাবে সংযোগ পাননি তিনি। কে এগিয়ে আছেন তা জানাতে পারেননি। এদিন কোনো ভুল হয়নি তার।
সেদিন বেশ উল্লাস করেছিলেন ভ্লিউটেন। আনন্দে কোচকেও জড়িয়ে ধরেছিলেন। তবে এদিন তার কিছুই করেননি। রেস শেষ করার শেষ মুহূর্তে মাথা নিচু করেছিলেন তিনি। হয়তো আগের দিনের বিব্রতকর সেই মুহূর্তের কথা মনে হয় তার। তবে পোডিয়ামে স্বর্ণ নেওয়ার সময় বেশ উচ্ছ্বসিত দেখা যায় তাকে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এবার স্টেডিয়ামে দর্শক ঢোকা নিষিদ্ধ করা হয়েছে টোকিও অলিম্পিকে। তারপরও কিছু ইভেন্ট সরাসরি দেখতে পারছেন সমর্থকরা। সাইক্লিং তার একটি। সেই দর্শকদের সামনেই বড় ভুলটা করেছিলেন এ সাইক্লিস্ট। এবার তাদের সামনেই নিজের সামর্থ্য দেখালেন এ তরুণী।
Comments