নির্ধারিত দামে এলপিজি বিক্রি নিশ্চিত করতে হবে বিইআরসিকে
দ্য ডেইলি স্টারে গতকাল প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) নিস্ক্রিয়তার কারণে খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে ১২ কেজির একটি এলপিজি সিলিন্ডার কিনতে গ্রাহকদের ২০০ টাকা বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে। গত ৩০ জুন বিইআরসি খুচরা পর্যায়ে ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৮৯১ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু আমদানিকারক, পরিবেশক ও খুচরা বিক্রেতারা এখন পর্যন্ত সেই নির্দেশনা মানছেন না।
গত এক দশকে এলপিজির চাহিদা বেড়েছে। ২০০৯ সালে ৪৭ হাজার টন এলপিজি ব্যবহারের বিপরীতে বর্তমানে এর ব্যবহারের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ টনে। এই মুহূর্তে চার লাখের বেশি গ্রাহক বাজার থেকে এলপিজি কিনে ব্যবহার করেন এবং আজ অবধি বাজারসংশ্লিষ্টরাই তাদের খেয়াল-খুশি মতো দামে আমদানিনির্ভর এই জ্বালানি গ্যাস বিক্রি করে আসছেন। গ্রাহকরা বলছেন, বেঁধে দেওয়া দামে বাজারে এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রির বিষয়টি বাস্তবায়নে বিইআরসি ব্যর্থ হয়েছে। এ জন্য তাদের অতিরিক্ত পয়সা গুনতে হচ্ছে। কারণ আমদানিকারক, পরিবেশক ও খুচরা বিক্রেতারা বিইআরসির নির্দেশনা মানছেন না। এ ক্ষেত্রে তারা বিইআরসির নিস্ক্রিয়তার সুযোগ নিয়ে কোভিড পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি ও বিইআরসির সাবেক চেয়ারম্যানের মতে, নির্ধারিত দামে এলপিজি বিক্রির জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা বিইআরসির আছে। সেই সঙ্গে নির্দেশ অমান্যকারী কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধেও তারা ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু এর কিছুই ঘটছে না। বিপরীতে এ জন্য বিইআরসি এখন সরকারের অন্য সংস্থাগুলোর সহযোগিতা চাইছে।
বিইআরসিকে অবশ্যই তার ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। এলপিজি সিলিন্ডারের জন্য একটি যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করে দিতে হবে। যাতে তা আমদানিকারক, পরিবেশক, খুচরা বিক্রেতা ও গ্রাহক- সবার কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়। দাম নির্ধারণের পর বিক্রেতা যাতে সেই দামে এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রি করেন সেটা নিশ্চিত করতে হবে। বাড়তি দামে বিক্রির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নিতে হবে। এটা প্রমাণ করতে হবে যে, জ্বালানির দাম নিয়ন্ত্রণে বিইআরসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
ইংরেজি থেকে অনুবাদ করেছেন মামুনুর রশীদ
Comments