সুন্দরবন বাঁচাতে ইউনেস্কোর শর্ত পূরণে আরও ১ বছর সময় পাচ্ছে বাংলাদেশ
সুন্দরবন বাঁচাতে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি (ডাব্লিউএইচসি) দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়নে যেসব শর্ত দিয়েছে তা পূরণে আরও এক বছর সময় পাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
চীনের সভাপতিত্বে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির বৈঠকে প্রতিনিধিরা শুক্রবার বিকেলে সুন্দরবন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন।
আজকের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী বছরের জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সুন্দরবনকে বিপন্ন বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানে তালিকাভুক্ত করা হবে কিনা।
এর আগে, সরকারকে এসইএ এবং অন্যান্য বিষয়ে অগ্রগতির প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির বৈঠক চলছে চীনের ফুঝৌ শহরে। গত ১৬ জুলাই বৈঠকি শুরু হয়েছে এবং চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের পাওয়ার সেল বিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বিষয়টি নিয়ে ইউনেস্কোর সঙ্গে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, 'বৈঠকে আমাদের আবেদনটি ভালোভাবে গৃহীত হয়েছে। সবকিছু ঠিক হয়ে গেছে।'
দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলের এসইএ প্রস্তুতের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মহামারি পরিস্থিতির কারণে এটি বিলম্বিত হচ্ছে।
ডাব্লিএইচসি'র নথি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ডাব্লিএইচসি'র প্রতিনিধিরা বিশ্ব ঐতিহ্য সম্পত্তির আশেপাশে বা তার আশেপাশে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর পূর্বশর্ত হিসবে পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন এবং কৌশলগত মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে সরকারকে অনুরোধ করেছিল।
১৯৯৭ সালে সুন্দরবনকে প্রাকৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টার বনের কিনারায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ার পর থেকে এটি নিয়ে আপত্তি তুলেছে।
যদিও সরকার সবসময় দাবি করে এসেছে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সুন্দরবনের জন্য হুমকি হবে না। তবে, সরকারের এমন দাবির সঙ্গে ইউনেস্কো এবং পরিবেশবাদী গোষ্ঠীগুলো কখনোই একমত ছিল না।
Comments