দুর্দশাগ্রস্ত সিনেমা হল কর্মীদের বাঁচাতে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে

ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের মার্চে করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেওয়ার পর থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের সব সিনেমা হল বন্ধ আছে। তখন থেকেই হলগুলোর কর্মীরা প্রচণ্ড আর্থিক সংকটের ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন। হল বন্ধ থাকায় বেতন বন্ধ। তাদের অনেকে এখন রিকশা চালিয়ে কিংবা দিনমজুরি করে দিন চালাচ্ছেন। দ্য ডেইলি স্টারে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমন কিছু কর্মীর কথা উঠে এসেছে, যারা আর্থিক সঙ্কটের কারণে প্রিয়জনের চিকিৎসার খরচ মেটাতে না পেরে নিজেদের কিডনি বিক্রির চিন্তা পর্যন্ত করেছেন।

সঙ্কটকালীন পরিস্থিতিতে গত বছর সরকার কিছু সিনেমা হল কর্মীদের আড়াই হাজার টাকা করে নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছিল। কিন্তু এবার তেমন কোনো সহায়তা মেলেনি। কেবল শো চললেই অর্থ আসে। কিন্তু লকডাউনে হলগুলো দর্শক শূন্য। ঈদের সময় সাধারণত হলগুলো দর্শকে ভরা থাকে। তবে লকডাউনের কারণে এবারও হল খুলছে না। ফলে এ দফাতেও উপার্জনের কোনো সুযোগ থাকবে না তাদের। বিষয়টা তাদের জীবনকে আরও বেশি কঠিন করে তুলবে। বিশেষ করে তাদের জন্য যাদের এখনই জরুরি সাহায্য দরকার।

চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের ভাষ্য, সিনেমা হলগুলো মরতে বসেছে। কারণ দুবছর ধরে চালানোর মতো কোনো ভালো ছবি নেই। তার মানে, নতুন কোনো শো নেই, হল মালিক বা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোনো উপার্জনও নেই।

সমিতির হিসাবে, দেশের ১৪০টির মতো সিনেমা হলে কর্মরতদের সংখ্যা দেড় হাজারের মতো। এখন সবার অবস্থা প্রায় একই রকম। যখন প্রদর্শক সমিতির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, তারা এখন পর্যন্ত কারো কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পায়নি, তখন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলছেন, তারা সহযোগিতা করতে তৈরি আছেন। তবে এর জন্য আগে প্রদর্শক সমিতিকে তাদের কাছে সাহায্য চাইতে হবে। দুটি সংগঠনের মধ্যে সমন্বয় ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার এই অভাবের কারণে সিনেমা হল কর্মীদের জীবন আরও বেশি বিপন্ন হয়ে উঠেছে।

এই কর্মীদের বাঁচাতে পারস্পরিক সমন্বয়ের ভিত্তিতে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। একই সঙ্গে লকডাউন তুলে নেওয়া ও সংক্রমণ কমে আসার আগ পর্যন্ত সরকারকে অবশ্যই এই কর্মীদের জরুরি খাদ্য ও অর্থ সহায়তা দিতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English

CA asks advisers to speed up construction of museum at Gono Bhaban

Museum should preserve memories of Hasina’s misrule, he says

1h ago