অলিম্পিকে খেলবেন জোকোভিচ, সামনে ক্যালেন্ডার গোল্ডেন স্ল্যামের হাতছানি
চলতি বছর যে তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম কোর্টে গড়িয়েছে, সবকটি জিতেছেন নোভাক জোকোভিচ। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ এই খেলোয়াড় এবার অংশ নিতে যাচ্ছেন আসন্ন টোকিও অলিম্পিকে। ফলে তার সামনে থাকছে ক্যালেন্ডার গোল্ডেন স্ল্যাম পূর্ণ করে ইতিহাস গড়ার সুযোগ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে জোকোভিচ লিখেছে, ‘আমিও টোকিওর উদ্দেশে টিকিট বুকিং করেছি এবং অলিম্পিকে গর্বের সঙ্গে সার্বিয়া দলে যোগ দেব।’
কয়েকদিন আগে উইম্বল্ডনের শিরোপা জেতা জোকোভিচ যোগ করেছেন, ‘সার্বিয়ার হয়ে খেলা সবসময়ই আমার জন্য ভীষণ আনন্দের ও অনুপ্রেরণার। আমাদের সবাইকে খুশি করতে আমি আমার সবটুকু উজাড় করে দেব।’
একই বছরে চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম (অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ফরাসি ওপেন, উইম্বলডন ও ইউএস ওপেন) শিরোপার পাশাপাশি অলিম্পিকেও স্বর্ণ জিতলে সেটাকে বলা হয় ক্যালেন্ডার গোল্ডেন স্ল্যাম। কোনো পুরুষ খেলোয়াড় এখনও এই কীর্তি গড়তে পারেননি।
প্রথম ও একমাত্র নারী টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে ক্যালেন্ডার গোল্ডেন স্ল্যাম জিতেছেন স্টেফি গ্রাফ। জার্মানির কিংবদন্তি সাবেক এই তারকা ১৯৮৮ সালের সউল অলিম্পিকে স্বর্ণ পদক গলায় ঝোলানোর সঙ্গে সঙ্গে ওই বছরের সবকটি গ্র্যান্ড স্ল্যামে বিজয়ী হয়েছিলেন।
এ বছর ক্যালেন্ডার গোল্ডেন স্ল্যাম পূর্ণ করতে ৩৪ বছর বয়সী জোকোভিচকে দুটি বড় বাধা পাড়ি দিতে হবে। অলিম্পিকের স্বর্ণ জেতার পর ইউএস ওপেনেও চ্যাম্পিয়ন হতে হবে তাকে।
লক্ষ্য পূরণের প্রথম ধাপটা জোকোভিচের জন্য কিছুটা হলেও সুবিধাজনক হবে। কারণ, তার সঙ্গে যৌথভাবে রেকর্ড ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা রজার ফেদেরার ও রাফায়েল নাদাল অংশ নিচ্ছেন না অলিম্পিকে। এই মহা ক্রীড়াযজ্ঞে থাকছেন না ইউএস ওপেনের শিরোপাধারী দমিনিক থিমও।
তবে অলিম্পিকে জোকার খ্যাত তারকার অতীত পারফরম্যান্স আশানুরূপ নয়। ২০০৮ সালের বেইজিং ও ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকে তিনি পৌঁছাতে পেরেছিলেন সেমিফাইনাল পর্যন্ত। আর সবশেষ ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকে প্রথম রাউন্ডের বাধাও অতিক্রম করতে পারেননি তিনি।
Comments