মানিকগঞ্জ

ঘিওর ডিঙি নৌকার হাটে নৌকা আছে, ক্রেতা নেই 

নৌকার হাটে নানা আকারের নৌকা থাকলেও নেই ক্রেতাদের ভিড়। ছবি: জাহাঙ্গীর শাহ/স্টার

মানিকগঞ্জের ঘিওরে নৌকার হাটে নানা আকারের নৌকা থাকলেও নেই ক্রেতাদের ভিড়। এবার পানি না বাড়ায় নৌকার চাহিদা বাড়েনি বলে জানিয়েছেন নৌকার কারিগরেরা।

বর্ষা মৌসুমে প্রতি বুধবার ঘিওর সরকারি কলেজ সংলগ্ন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে বসে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এই নৌকার হাট। সকাল থেকে শুরু করে নৌকা বেচা-কেনা চলে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত। এছাড়া, সেখানে প্রতিদিনই নৌকা বেচা-কেনা হয়।

মানিকগঞ্জ জেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইলের নাগরপুর, ঢাকা জেলার সাভার ও সিরাজগঞ্জ জেলার মানুষ নৌকা বেচা-কেনা করতে আসেন এই হাটে।

আজ বুধবার সরেজমিনে হাটে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতাই বেশি। বেচা-কেনা কম হলেও সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাটে ছিল ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতি।

বর্ষা মৌসুমে প্রতি বুধবার ঘিওর সরকারি কলেজ সংলগ্ন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে বসে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী ডিঙি নৌকার হাট। ছবি: জাহাঙ্গীর শাহ/স্টার

ঘিওরের নৌকার কারিগর নিপেন সূত্রধর বলেন, ‘এ হাটে মূলত ডিঙি নৌকা বেচা-কেনা হয়। আকারভেদে তিন হাজার থেকে ছয় হাজার টাকা পর্যন্ত একেকটি ডিঙি নৌকা বিক্রি হয়। সাধারণত মেহগনি, কড়ই, আম, চাম্বল, রেন্ট্রি কড়ই গাছের কাঠ দিয়ে নৌকা তৈরি করা হয়।’

একই এলাকার মহাদেব সূত্রধর বলেন, ‘আমাদের বাপ-দাদারা নৌকা তৈরি করে এই হাটে বিক্রি করত, আমরাও তাই করছি। কয়েকদিন আগে নদীতে পানি বাড়ায় তখন নৌকার চাহিদা বেড়েছিল। কিন্তু হঠাৎ পানি কমে যাওয়ায় চাহিদা কমে গেছে। দামও কমে গেছে। এমনিতেই করোনা, তার ওপরে নৌকার দাম কম। আমরা খুব কষ্টে আছি।’

নৌকা কিনতে আসা আব্দুল হক বলেন, ‘আজ নৌকার দাম একটু কম। গত হাটে যে নৌকা চার হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, আজ সেই আকারের নৌকা বিক্রি হয়েছে তিন হাজার টাকায়। একটু কম দামেই কিনলাম।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘এ হাটে খাজনা বেশি। শতকরা পাঁচ টাকা। একটি নৌকা পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে কিনলে খাজনা দিতে হয় ২৫০ টাকা। এটা কমানো দরকার।’

তবে, ঘিওর হাটের ইজারাদারের প্রতিনিধি মাকসুদুর রহমান মাসুম বলেন, ‘জেলার অন্য হাটের তুলনায় এই হাটে খাজনা কম। এমনিতেই নৌকার বিক্রি অনেক কমে গেছে, তাই খাজনা কমানো সম্ভব নয়।’

Comments

The Daily Star  | English

Cops gathering info on polls candidates

Based on the findings, law enforcers will assess security needs in each constituency and identify candidates who may pose risks.

13h ago