স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘আকুল আবেদন’ ও কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও দুর্নীতির। অভিযোগ সক্ষমতার ঘাটতির, বরাদ্দকৃত অর্থ খরচ করতে না পারার। গণমাধ্যমে প্রতিনিয়ত এমন সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রস্তুতের সময় অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের মন্তব্য পাওয়া যায় না। তারা ফোন ধরেন না, ক্ষুদে বার্তার উত্তর দেন না। পাহাড়সম অভিযোগের সংবাদ প্রকাশিত হয় গণমাধ্যমে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পত্রিকায় ‘আকুল আবেদন’ জানিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে সেসব অভিযোগের জবাব দিয়েছে। আট হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার দাবি করেছে।

করোনা মোকাবিলায় তারা কত ভালো কাজ করছেন, তা তুলে ধরেছেন। বিজ্ঞাপনে তাদের উল্লেখ করা তথ্য নিয়ে দেখা দিয়েছে বহুবিধ প্রশ্ন ও গুরুতর কিছু অভিযোগ। আমরা শুধু প্রশ্ন বা অভিযোগগুলো উপস্থাপন করছি এবং প্রত্যাশা করছি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রশ্নের উত্তর বা অভিযোগের ব্যাখ্যা দিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার করবে। আমাদের প্রশ্ন বা অভিযোগে কোনো অসঙ্গতি বা ভুল থাকলে ধরিয়ে দেবে। আমরা সত্যটা জেনে ভুল সংশোধন করে নেব।

প্রথমে আসি আরটি-পিসিআর মেশিন প্রসঙ্গে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করেছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তারা ৯৭টি আরটি পিসিআর ল্যাব তৈরি করেছে। মানে ৯৭টি আরটি-পিসিআর মেশিন কিনেছে। এক একটি মেশিন কিনেছে ৫০ লাখ টাকারও বেশি দামে। কোন দেশ থেকে কোন ব্রান্ডের আরটি পিসিআর মেশিন কিনেছে বিজ্ঞাপনে তা উল্লেখ করেনি। পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানের আরটি পিসিআর মেশিন হিসেবে পরিচিত আমেরিকান বায়োরাড (BIORAD)। যা এফডিএ অনুমোদিত। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এই মেশিন কিনেছে। করোনাকালে এলসি খুলে আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে স্থাপন করা পর্যন্ত মোট খরচ হয়েছে ২২ লাখ টাকা। এই খরচ একটি মেশিন কেনার। যদি এক সঙ্গে ১০-২০টি মেশিন কেনা হয়, দাম প্রতিটিতে কমপক্ষে দুই লাখ টাকা কম হতে পারে।

তাহলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোন দেশ থেকে, কোন ব্রান্ডের আরটি পিসিআর মেশিন কিনল যার দাম ৫০ লাখ টাকারও বেশি?

বিজ্ঞাপনে দাবি করা হয়েছে প্রতিটি আরটি-পিসিআর পরীক্ষার জন্যে তাদের খরচ হয়েছে তিন হাজার টাকা। মোট পরীক্ষা করেছে ৬৫ লাখ ছয় হাজার ৭৮১ জনের। মোট খরচ হয়েছে এক হাজার ৯৫২ কোটি টাকা।

সরকারিভাবে আরটি পিসিআর পরীক্ষায় ব্যবহার করা হয় দক্ষিণ কোরিয়ার সানসিয়র কিট। বেসরকারি দুটি হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সানসিয়র কিট ব্যবহার করে একজনের পরীক্ষায় খরচ হয় সর্বোচ্চ ১৭০০ টাকা। আর যদি একবারে ৯০টি স্যাম্পল পরীক্ষা করা হয়, তবে খরচ নেমে আসবে ১২০০ টাকায়। ফলে প্রতিজনের পরীক্ষায় তিন হাজার হিসাবে এক হাজার ৯৫২ কোটি টাকা ব্যয়ের হিসাব নিয়ে সন্দেহ পোষণ করার যথেষ্ট যৌক্তিক কারণ আছে।

এর চেয়েও বড় প্রশ্ন মোট পরীক্ষার সংখ্যা নিয়ে। ৯ জুলাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞাপন পত্রিকায়  প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞাপন প্রস্তুত করা হয়েছে ৮ জুলাই। অর্থাৎ ৮ জুলাই পর্যন্ত তথ্যই বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করার কথা। ৮ জুলাই পর্যন্ত সরকারিভাবে মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৫০ লাখ ২১ হাজার ২২১টি।

বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করা সংখ্যার চেয়ে যা ১৪ লাখ ৮৫ হাজার ৬৫০টি কম। এই সংখ্যক পরীক্ষা কমলে টাকার অংক ৪৫০ কোটি কমবে। হিসাবের এই গড়মিলের ব্যাখ্যা কী? খরচ না করেই খরচ দেখানো হয়েছে?

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিদিনের করোনা পরীক্ষার বুলেটিন পর্যালোচনা করে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন বাংলা ট্রিবিউনের সাংবাদিক এমরান হোসাইন শেখ।

আসি ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করেছে, তারা এখন পর্যন্ত মোট ভ্যাকসিন কিনেছে এক কোটি এক লাখ ৫০ হাজার ডোজ। প্রতি ডোজের মূল্য তিন হাজার টাকা।

বাংলাদেশ কত টিকা কিনেছে, কত দামে কিনেছে তার প্রায়  সবই প্রকাশিত তথ্য। দেশের সকল গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত কোভিশিল্ড কিনেছে ৭০ লাখ ডোজ। ভারতের থেকে উপহার পেয়েছে মোট ৩৩ লাখ ডোজ।

কোভ্যাক্স থেকে মডার্নার টিকা কিনেছে ২৫ লাখ এবং ফাইজারের এক লাখ ছয় হাজার ডোজ।

চীনের সিনোফার্মের টিকা কিনেছে ২০ লাখ ডোজ। উপহার পেয়েছে ১১ লাখ ডোজ।

অর্থাৎ মোট উপহার পেয়েছে ৩৩ লাখ + ১১ লাখ = ৪৪ লাখ ডোজ।

 মোট টিকা কিনেছে ৭০ লাখ + ২৫ লাখ+ ১ লাখ ৬ হাজার+ ২০ লাখ= এক কোটি ১৬ লাখ ছয় হাজার ডোজ।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করেছে এক কোটি এক লাখ ৫০ হাজার ডোজ। প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী যা কিনেছে তারচেয়ে ১৫ লাখ ৪৬ হাজার ডোজ কম উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞাপনে। এর কারণ কী? কত টিকা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কিনেছে, তার সঠিক হিসেব তাদের কাছে নেই? কোন ডাক্তার মারা গেছেন, কোন ডাক্তার অবসরে গেছেন সেই হিসেব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে নেই। তা তো মৃত ও অবসরপ্রাপ্ত ডাক্তারদের পদায়ন বা বদলির ঘটনার মধ্য দিয়েই বোঝা গেল। টিকার হিসেবের বিষয়টিও কি তেমন?

এবার আসি মূল্য প্রসঙ্গে।

বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করেছে তিন হাজার ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এক কোটি এক লাখ ৫০ হাজার ডোজ টিকা কিনেছে।

কোভিশিল্ডের প্রতি ডোজ টিকার দাম পাঁচ ডলার। ভারত থেকে বাংলাদেশে আনা ও সরকারের ডিপো পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার খরচসহ প্রতি ডোজের মূল্য পাঁচ ডলার। এক ডলার সমান ৮৫ টাকা ধরলে, পাঁচ ডলার সমান ৪২৫ টাকা।

চীনের সিনোফার্মের টিকা কিনেছে প্রতি ডোজ ১০ ডলার মানে ৮৫০ টাকা দামে। প্রথমাবস্থায় সরকারি সূত্র থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছিল। পরবর্তীতে এর চেয়ে বেশি বা কম দামে টিকা কেনা হয়েছে কি না, সেই তথ্য জানানো হয়নি। ধরে নিচ্ছি প্রতি ডোজ ১০ ডলার দামেই কেনা হয়েছে।

বাংলাদেশ নিজে উড়োজাহাজ পাঠিয়ে চীন থেকে টিকা এনেছে। ১০ ডলারের সঙ্গে পরিবহন খরচ যোগ হবে।

উন্নত দেশগুলোর কনসোর্টিয়াম কোভ্যাক্স থেকে বাংলাদেশ টিকা ভর্তুকি মূল্যে কিনেছে, না বিনামূল্যে পেয়েছে তাও পরিষ্কার নয়।

গত ৩ জুলাই কোভ্যাক্স থেকে ২৫ লাখ ডোজ মডার্নার টিকা বিমানবন্দরে আসার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, এই টিকা পাওয়া গেছে বিনামূল্যে। এখন সরকারের কোনো কোনো সূত্র বলছে, এই টিকা কেনা হয়েছে এবং দুই ডলার প্রতি ডোজের দাম। ধরে নিলাম, কোভ্যাক্স থেকে বাংলাদেশ টিকা কিনেছে।

তবে ক্যোভ্যাক্স থেকে কেনা মডার্না ও ফাইজারের টিকার মূল্য পরিবহন খরচসহ কোভিশিল্ডের চেয়েও কম হওয়ার কথা।

কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করেছে প্রতি ডোজ টিকা তারা কিনেছে ৩ হাজার টাকা মানে প্রায় ৩৫-৩৬ ডলার দামে।

কোভ্যাক্স থেকে টিকা কেনা হলেও, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবির সঙ্গে টাকার অংকের বিশাল পার্থক্য। আর যদি বিনামূল্যে পেয়ে থাকে তাহলে টাকার অংকের গড়মিল যেমন বিপুল, পরিমাণের হিসাবেও বিশাল পার্থক্য। প্রশ্ন হলো, আসলে কী ঘটছে টিকা কেনা নিয়ে? একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের হিসাব নিয়ে এত বড় গড়মিলের প্রশ্ন বা অভিযোগ উঠছে কেন? যা বিশাল দুর্নীতির ইঙ্গিত বহন করছে।

এত দাম দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কবে, কখন, কোন টিকা কিনল?

প্রতি ডোজে ২৫-৩০ ডলারের পার্থক্য বিধায় অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টি পরিষ্কার না করলে, তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আরও জোরালো হবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে তারা এক লাখ করোনা রোগীর চিকিৎসা দিয়েছে। গড়ে একেকজন করোনা রোগীকে ১০ দিন হাসপাতালে থাকতে হয়েছে। প্রতিদিন একেকজনের পেছনে ২০ হাজার টাকা করে খরচ হয়েছে। এখাতে খরচ হয়েছে মোট দুই হাজার কোটি টাকা। ১০ দিন হাসপাতালে থাকার গড় হিসাব নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও, ধরে নেওয়া যাক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যই সঠিক। তারপরও প্রশ্ন হলো, ঢাকাসহ দেশের সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যয় বিবেচনায় আইসিইউ সাপোর্ট না লাগলে একেকজন রোগীর পেছনে প্রতিদিন ২০ হাজার টাকা ব্যয়ের হিসাব বিশ্বাসযোগ্য নয়। আবার ৬৪ জেলার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৩৫ জেলায়  আইসিইউ সুবিধা নেই। তাহলে দুই হাজার কোটি টাকা কীভাবে ব্যয় হলো? এই অভিযোগটিও কম গুরুতর নয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করেছে, দেশে অক্সিজেনের কোনো সংকট নেই। অথচ জেলা শহরের অক্সিজেন সংকট এবং রোগী মৃত্যুর সংবাদ গণমাধ্যমে প্রতিনিয়ত প্রকাশিত হচ্ছে।

মাকে নিয়ে ঢাকার পাঁচটি হাসপাতাল ঘুরেছেন, কোনো হাসপাতাল অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে পারেনি। মুগদা হাসপাতালের সামনে অ্যাম্বুলেন্সে মায়ের মৃত্যু হয়েছে। ছবিসহ সেই সংবাদ ডেইলি স্টারসহ অন্যান্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ঢাকা শহরে এমন ঘটনা একটিই নয়, আরও ঘটেছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে আসা দুর্নীতির অভিযোগকে বিজ্ঞাপনে তারা বলেছেন এগুলো ‘পুরনো অভিযোগ’। কিন্তু বাস্তবে করোনা মহামারিকালেও বহুবিধ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সাহেদ, সাবরিনা, গাড়ি বা সড়ক বানানো ঠিকাদারকে মেডিকেল সরঞ্জাম কেনার দায়িত্ব দেওয়া, চীন থেকে রেইন কোট এনে পিপিই বলা, এন৯৫ মাস্কের পরিবর্তে নিম্নমানের দেশীয় মাস্ক কেনা… এসব অভিযোগের কোনোটিই পুরনো নয়, করোনা মহামারিকালের। তাছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠানের একজনের পর আরেকজন দায়িত্ব পালন করেন। আগে পরের সবাই সরকারি কর্মচারী। ‘আমি তখন ছিলাম না’ বা ‘দায়িত্বে নতুন এসেছি’ এটা কোনো কথা হতে পারে না। পূর্বের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্তরা ব্যবস্থা না নিলে দায়ও বহন করতে হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানর দায়িত্ব আসে ধারাবাহিকভাবে। সুতরাং ‘পুরনো’ বলে দায় এড়ানোর সুযোগ থাকা উচিত না।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অর্থ খরচ করতে পারে না, এই অভিযোগ খণ্ডন করার মানসিকতা নিয়েই তারা বিজ্ঞাপনে ‘আট হাজার কোটি টাকার’ সেবা দেওয়ার তথ্য সামনে এনেছে। আমাদের কারোরই একথা ভুলে গেলে চলবে না যে, এই আট হাজার কোটি ও পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার কোটি টাকার সবই এদেশের জনগণের টাকা, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নয়। গণমাধ্যম প্রশ্ন এড়িয়ে বা গণমাধ্যমের সামনে এসে কথা না বলে, জনগণের অর্থ খরচ করে সরকারি কর্মকর্তারা এভাবে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে পারেন? এত অসঙ্গতি, তথ্য ও ভাষার এতটা গড়মিল থাকবে সেই বিজ্ঞাপনে?

লকডাউন চলছে অথচ গরিব মানুষের খাদ্যের যোগান দেওয়ার বিষয়টি অনুপস্থিত। বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু বা অপ্রতুল চিকিৎসা।

বাংলাদেশের একজন অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন চিকিৎসক বিএসএমএমইউ’র সাবেক উপাচার্যের ও সরকারের কোভিড পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলামের একটি বক্তব্য দিয়ে লেখা শেষ করি।

দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ এত অবহেলা ডিজার্ভ করে না।’

s.mortoza@gmail.com

Comments

The Daily Star  | English

Grim discovery: Five bodies found on vessel in Meghna

The incident had occurred on the Meghna river under Chandpur Sadar upazila in an area adjacent to Shariatpur

1h ago