বরিশাল বিভাগে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ১৭, সর্বোচ্চ শনাক্ত ৪৩৬
বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে। এই বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪৩৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৪৫.৭৫ শতাংশ।
একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। এর মধ্যে বিভিন্ন জেলায় ছয় জন এবং শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের।
আজ সোমবার বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের অফিস থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক জানান, বর্তমানে কোভিড বেড দুইশ হলেও সোমবার দুপুর পর্যন্ত রোগী ভর্তি আছেন ২২৪ জন। এখানে বরিশালের সব জেলা ও উপজেলা থেকে রোগী পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে, রোগীর চাপ অত্যধিক। একইসঙ্গে চিকিৎসকের সংখ্যা কমে অর্ধেক হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগী অভিযোগ করেছেন, ভিতরে পরিচ্ছন্নতা নেই বললেই চলে। এছাড়া, কিছু সেবা নিতে হচ্ছে পয়সা খরচ করে। যে যেভাবে পারছে অক্সিজেনের বোতল নিয়ে মজুত করছে।
করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডের ইনচার্জ ডা. মনিরুজ্জামান শাহীন বলেন, ‘আমি বলব, প্রভাবশালী রোগীর স্বজনরা জোর করে সিলিন্ডার নিয়ে বেডে মজুত করছে। ফলে, অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংকট তৈরি হচ্ছে। এছাড়া, যাদের প্রয়োজন নেই এমন অনেক রোগী হাসপাতাল ছাড়তে চাইছে না। ফলে, সমস্যা আরও প্রকট হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা আইসোলেসন ইউনিটে বারো লিটারের অন্তত তিনশ অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত আছে। কিন্তু, রোগীর স্বজনরা একাধিক অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত করায় প্রত্যাশা মতো অক্সিজেন সরবরাহ করতে বিলম্ব হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে।
বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. জসিমউদ্দিন জানান, আমরা অভিযোগ পেয়েছি অনেক রোগীর স্বজন প্রয়োজন না হলেও একাধিক অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত করছে। আমরা এটা আর হতে দেব না। আমরা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটকে তিনশ শয্যায় উন্নীত করার পরিকল্পনা করছি।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম জানান, বর্তমানে এই শয্যা নিয়ে চিকিৎসা দিতে সমস্যা হচ্ছে। তাই শয্যা বাড়ানো হলে দরকার অন্যান্য সুবিধা। বিশেষ করে চিকিৎসক ও অন্যান্য ম্যানপাওয়ার বাড়াতে হবে। বর্তমানে যা বরাদ্দের অর্ধেকও নেই।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে এই হাসপাতালের ৮২টি শয্যায় সেন্ট্রাল অক্সিজেন আছে। একইসঙ্গে তিনশ সিলিন্ডার আছে। এছাড়া, ১৮টি হাইফ্লো ন্যাজেল ক্যানুলা এবং ২২টি আইসিইউ বেড। বর্তমানে নয় হাজার লিটারের অক্সিজেন ট্যাংক আছে। রোগীর সংখ্যা বাড়লে সংকটও বাড়বে।
Comments