ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ইব্রাহিম রাইসি

ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ভোটের প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী ৬২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন ইব্রাহিম রাইসি। ছবি: সংগৃহীত

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছেন কট্টরপন্থী নেতা ইব্রাহিম রাইসি। শুক্রবার ভোট গ্রহণের পর এখন পর্যন্ত ৯০ শতাংশ ভোট গণনা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ভোটের প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী, এর মধ্যে ৬২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন রাইসি।

আজ শনিবার বিবিসি জানায়, ৬২ শতাংশ ভোট নিশ্চিত হওয়ার পর সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইব্রাহিম রাইসি। আগস্টের শুরুর দিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন তিনি।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির পর প্রেসিডেন্ট দেশটির দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ ছিল এ পর্যন্ত সবচেয়ে কম, মাত্র ৪৮ দশমিক ৮ শতাংশ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, অতি-রক্ষণশীল ইব্রাহিম রাইসি ইরানের ঘরোয়া নীতি ও পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন আনতে পারেন। তবে বরাবরের মতো এখনও ইরানের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির মতামতই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

৬০ বছর বয়সী ইব্রাহিম রাইসি তার কর্মজীবনের বেশিরভাগ সময়ই প্রসিকিউটর হিসেবে কাজ করেছেন। গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হাসান রুহানির কাছে পরাজিত হওয়ার দুই বছর পর ২০১৯ সালে তাকে দেশটির বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ পর্যন্ত ইব্রাহিম রাইসি ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এ বছর নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি নিজেকে ইরানে দুর্নীতি মোকাবিলা ও অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানে সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি বলে দাবি করেন।

১৯৮০'র দশকে দেশটিতে রাজনৈতিক বন্দীদের মৃত্যুদণ্ডের পর ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন ইব্রাহিম রাইসি। যদিও ইরান কখনও এই গণ-মৃত্যুদণ্ডের কথা স্বীকার করেনি। এতে রাইসির ভূমিকা নিয়ে যেসব অভিযোগ তোলা হয়, সে বিষয়েও তিনি কখনও কোনো মন্তব্য করেননি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, রাইসির অধীনে কট্টরপন্থীরা ইসলামি অনুশাসন মেনে সরকার পরিচালনার ব্যাপারে আরও কঠোর হবেন। এর ফলে, সামাজিক কার্যক্রমের ওপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ, নারীদের কর্মসংস্থান ও স্বাধীনতা কমে যাওয়া এবং সংবাদমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ আরোপ হতে পারে।

কট্টরপন্থীরা পশ্চিমাদের ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করলেও রাইসি ও ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি উভয়ই পরমাণু কর্মসূচির বিষয়ে আন্তর্জাতিক চুক্তিতে ফিরে যেতে আগ্রহী বলে মনে করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Consensus commission: Fresh caretaker models on the table now

The National Consensus Commission, BNP, and Bangladesh Jamaat-e-Islami have each proposed separate methods for appointing the chief adviser to caretaker government.

7h ago