জিনজিয়াংয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে চীন: অ্যামনেস্টি

চীনের জিনজিয়াংয়ের উইঘুর অধ্যুষিত অঞ্চল কাশগারের ওল্ড সিটির একটি সংস্কারকৃত অংশে নিরাপত্তা ক্যামেরা দেখা যায়। ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮। ছবি: রয়টার্স

জিনজিয়াংয়ের উইঘুর ও অন্যান্য সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর চীন মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে বলে মন্তব্য করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

আজ শুক্রবার বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে জিনজিয়াংয়ে জাতিসংঘের তদন্তের আহবান জানিয়েছে সংস্থাটি।

অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিনজিয়াংয়ে উইঘুর, কাজাখ ও অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর নজরদারি, তাদের গণহারে বন্দি ও তাদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে চীন।

সংস্থাটির মহাসচিব আগনেস কালামার্দ জিনজিয়াংয়ে এই পরিস্থিতি তৈরির জন্যে চীন সরকারকে দায়ী করেন।

তিনি বলেন, ‘বিপুল সংখ্যক মানুষকে নির্যাতন করা হচ্ছে, তাদের ক্যাম্পে আটকে রাখা হচ্ছে, লাখ লাখ মানুষ ভয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তাদের কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে— এসব ঘটনা মানবজাতির বিবেককে নাড়া দেওয়া উচিত।’

‘দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায়’ জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সমালোচনাও করেছে আগনেস কালামার্দ।

বিবিসিকে কালামার্দ বলেছেন, ‘আন্তনিও গুতেরেসে জিনজিয়াংয়ের এই পরিস্থিতির নিন্দা করেননি। তিনি একটি আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বানও জানাননি।’

‘জাতিসংঘ যে মূল্যবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে গুতেরেসের তা রক্ষা করা উচিত। এমন মানবতাবিরোধী অপরাধের সামনে কোনোভাবেই চুপ করে থাকা উচিত নয়,’ যোগ করেন অ্যামনেস্টির মহাসচিব।

অ্যামনেস্টির ১৬০-পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে ৫৫ জন সাবেক বন্দির সাক্ষাৎকার রয়েছে। সংস্থাটির মতে, চীন যে জিনজিয়াংয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে এর প্রমাণ রয়েছে।

এর আগে, গত এপ্রিলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’র প্রতিবেদনে জিনজিয়াংয়ে চীন সরকারের ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের’ কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।

তবে, চীন সবসময়ই এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

আরও পড়ুন:

Comments

The Daily Star  | English

Iran's top security body to decide on Hormuz closure

JD Vance says US at war with Iran's nuclear programme, not Iran

13h ago