মুক্তিযুদ্ধ

১০ জুন ১৯৭১: আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে গণহত্যা, নিপীড়নের সংবাদ

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ১০ জুন ঘটনাবহুল ও আলোচিত একটি দিন। এই দিনে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও সংবাদপত্রে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ঘটনা, আন্তর্জাতিক মহলের বাংলাদেশের স্বীকৃতির দাবি থেকে গণহত্যা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে নানা তৎপরতা উঠে আসে।

১০ জুন ‘সরকার সকল বাস্তুত্যাগী ও দেশত্যাগী পলাতক সাধারণ ও সেনাসদস্যদের প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করিয়াছেন’ মর্মে এক ঘোষণা জারি করে পাকিস্তানের সামরিক সরকার। এতে সেনা সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, ‘পলাতক ১৯ জন অফিসারসহ ২০০০ সেনা সদস্য ইতিমধ্যে আত্মসমর্পণ করিয়াছে এদের অর্ধেকই সাবেক ইপিআর বাহিনীর সদস্য’।

১০ জুন ‘প্রদেশের অবস্থা স্বাভাবিক’ দাবি করে সান্ধ্য আইন প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেয়া হয়।

১০ জুন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধান ও সামরিক আইন প্রশাসক জেনারেল নিয়াজী সদরঘাটে সেনাবাহিনীর ব্যবহারের জন্য আনিত নৌযানগুলি পরিদর্শন করেন।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের খবর 

১০ জুন কানাডার দৈনিক 'মন্ট্রিল স্ট্রিট' পত্রিকায় এক প্রতিবেদনে বলা হয়, 'ঢাকার ব্যাপক গণহত্যা পরিকল্পনায় স্বয়ং ইয়াহিয়া খানসহ পাক- সেনাবাহিনীর সব জেনারেল জড়িত ছিল। মূলত গৃহযুদ্ধ দমনের পরিকল্পনা, তত্ত্বাবধান ও পরিচালনায় এই জেনারেলরা সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে। এই হত্যাযজ্ঞ কেবল টিক্কা খানের নিজস্ব ও একক উদ্যোগ নয় – এটি আসলে খুব সতর্কতা ও সাবধানতার সঙ্গে সংঘটিত একটি মিলিটারি অভিযান। বাঙালী হত্যার সামরিক আদেশ সেনাবাহিনীর সকল ইউনিট কমান্ডারের কাছে যাতে প্রত্যক্ষভাবে এবং লিখিতভাবে পৌঁছে সেজন্য প্রেসিডেন্ট ২৫ মার্চ বিকেল দুটো পর্যন্ত নিজেই খোঁজখবর নিয়েছেন। সন্ধ্যা ৭টায় প্রেসিডেন্ট বিমানবন্দরের উদ্দেশে বাসভবন ত্যাগ করেন। রাত ১১টায় ট্যাঙ্ক, কামান, মর্টারগানসহ ভারী ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আক্রমণ শুরু হয়।'

১০ জুন হংকং এর ফার ইস্টার্ন ইকোনমিক রিভিউ পত্রিকায় এক সম্পাদকীয় নিবন্ধে বলা হয়, 'দৈনিক ডন এবং দৈনিক পাকিস্তান টাইমসসহ পশ্চিম পাকিস্তানের পত্রপত্রিকাও স্বীকার করেছিল যে- প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া, শেখ মুজিবুর রহমান ও জুলফিকার আলী ভুট্টো ঢাকায় আলোচনা চলাকালে সমঝোতায় এসেছিলেন। ইসলামাবাদ কর্তৃপক্ষ এ কথাও প্রচার করেছিলেন যে, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের চারটি যুক্তিসঙ্গত দাবি মেনে নিয়েছেন। দাবিগুলো মেনে নেয়ার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করার আগেই প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া গোপনে ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় বিমানযোগে করাচি ফিরে গেলেন এবং আওয়ামী লীগকে বেআইনি ঘোষণা করেন ও পূর্ব বাংলার নিরস্ত্র মানুষের ওপর সশস্ত্র সৈন্য লেলিয়ে দিয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করলেন। এর কোনো যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যাও প্রেসিডেন্ট দিতে পারলেন না। এতে পরিষ্কারভাবে বোঝা গেল যে, আলোচনার নামে সময়ক্ষেপণ করে ইয়াহিয়া খান পূর্ববাংলায় গণহত্যা চালানোর সামরিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করছিলেন।'

১০ জুন ডেইলি জাপান টাইমস এক সম্পাদকীয় নিবন্ধে লিখেছে, পূর্ববাংলায় পাক-সেনাবাহিনীর সশস্ত্র আক্রমণেই এই রক্তক্ষয়ী অভিযান চলছে।

১০ জুন জাপানের "আসাহি শিমবুন" পত্রিকা এক সম্পাদকীয়তে বলে, 'বাংলাদেশে নিহতের সঠিক সংখ্যা জানা না গেলেও সেখানে যে নির্বিচারে গণহত্যা চলছে, তা নজিরবিহীন। পূর্ববাংলায় যে নৃশংস হত্যাকান্ড চালাচ্ছে এবং জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে তাতে বাংলাদেশের নিরস্ত্র ও অসহায় মানুষের প্রতি বিশ্ববাসী সহানুভূতি দেখিয়েছেন। মুক্তিকামী জনতাকে এভাবে হত্যার ফলে পূর্ববাংলা ও পশ্চিম পাকিস্তানের সম্পর্ক চিরতরে তিক্ত হয়ে গেল। বাংলাদেশে ইয়াহিয়া খানের সেনাবাহিনীর কান্ডকারখানার দ্বারা এটাও প্রমাণিত হয়ে গেছে যে- পূর্ববাংলার মানুষ স্বাধীনতার জন্য অকাতরে প্রাণ দিতে পারে এবং তারা প্রাণ দিচ্ছেও।'

১০ জুন দৈনিক হিন্দুস্তান স্ট্যান্ডার্ড ’মুক্তিফৌজ ঘনীভূত হচ্ছে’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে বলে, 'ইউএনআইয়ের ভাষ্যমতে, মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানি সেনাদের ছোট ছোট দল এবং সেনা চৌকির ওপর গেরিলা হামলা জোরদার করেছে।'

১০ জুন তুরস্কের "দ্য ডেইলি জুনাইদিন" পত্রিকা মন্তব্য করে যে, একদিকে প্রায় এক লাখ সুসংগঠিত, সর্বাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পশ্চিম পাকিস্তানি সৈন্য, অপরদিকে সাত কোটি নিরস্ত্র বাঙালি পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সব বাঙালিকে কখনও কতল করতে পারবে না। বাঙালির মুক্তি অবধারিত।

১০ জুন মালয়েশিয়ার "স্ট্রেইটস ইকো" পত্রিকা এক সম্পাদকীয় নিবন্ধে "একটি বৈশ্বিক সমস্যা" শিরোনামে বলে, 'বিশ্ব অনেক অপেক্ষা করেছে। এটা সত্য যে সাহায্য দেওয়া হয়েছিল এবং শুরুতে এটি পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একটি নৈতিক অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে যদিও সেখানে মানুষকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হচ্ছিল। রক্তপাত এবং ধ্বংস এত পরিমাণে হয়েছে যে এটাকে পরিকল্পিত ধ্বংসলীলার সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। পাকিস্তানিদের কর্মকান্ডের প্রমাণ পরিলক্ষিত হচ্ছে ভারতে। অনেক আগেই শরণার্থী সংখ্যা ১০ মিলিয়নে পৌঁছেছে।'

১০ জুন পাকিস্তানের জনপ্রিয় দৈনিক ডন প্রকাশিত এক নিবন্ধে করাচির বিভিন্ন জলপথে ‘বাংলা দেশ’ ও ‘জয় বাংলা’ ওভারপ্রিন্টেড ১০০ রুপী ও ৫০০ রুপী নোট পাওয়ার কথা জানায়। ওই নিবন্ধে ‘বাংলা দেশ’ ওভারপ্রিন্টেড ১০০ রুপীর একটি নোটের ছবিও ছাপে ডন।

ভারতে এদিন

১০ জুন ‘ইয়ুথ ফর বাংলাদেশ’ পূর্ব বাংলার মানবিক দুর্যোগের বিষয়ে বিশ্ববাসীর মনোযোগ আকর্ষণের জন্য একটি প্রচারপত্র প্রকাশ করে বলে, “বর্ণনাতীত একটি মানবিক দুর্যোগ ধীরে ধীরে পশ্চিম বাংলার ওপর ডালপালা বিস্তার করছে। পশ্চিম বাংলা বাদে অবশিষ্ট ভারত হয়ত এই ব্যাপারে ইতোমধ্যে শুনেছে। কিন্তু অভূতপূর্ব এই সঙ্কট রাজ্য এবং সমগ্র দেশে দিনে দিনে আরও ঘনীভূত হচ্ছে এবং উপমহাদেশবাসী এখন পর্যন্ত এই ব্যাপারে আন্তরিকতা প্রদর্শন এবং সঙ্কট নিরসনে ব্যক্তিগত ও স্বতন্ত্র উদ্যোগ গ্রহণে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ‘ইয়াং ব্রিটিশ’ ডাক্তাররা অক্লান্তভাবে মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে ভারতীয় তরুণদের কোনো সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা এখনও কোনো সাড়া পাইনি। ভারতীয় তরুণ সমাজ সময়ের প্রয়োজনের সর্বদাই এগিয়ে আসে। এখনই সময় এই মহৎ উদ্যোগে শামিল হবার, চ্যালেঞ্জ নেবার। সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ভারতীয় যুবসমাজের কাছে আবেদন করছি, যেন তারা সময়ের প্রয়োজনে জেগে ওঠে। আমাদের তরুণ সমাজ শুধু এই ৫০ লাখ মানুষের নির্বিঘ্ন অবস্থানই নিশ্চিত করবে না, তারা যেন তাদের দেশে ফেরত যেতে পারে এবং নিরাপদে থাকতে পারে সেই লক্ষ্যেও কাজ করবে।'

ভারতের ত্রাণ ও পুনর্বাসন উপমন্ত্রী বালগোবিন্দ ভার্মা লোকসভায় তার বক্তব্যে বলেন, 'সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানিসহ সাতটি দেশ শরণার্থীদের ত্রাণকাজে সাহায্য দিতে চেয়েছে। এফএও, ইউনিসেফ ও ইউএনএইচআর- জাতিসংঘের এই তিন সংস্থা এবং নরওয়ের শরণার্থী পরিষদ, আন্তর্জাতিক রেডক্রস সমিতি ও ডেনমার্কের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই চার বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানও সাহায্য দেবে।

১০ জুন পশ্চিমবঙ্গ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত পাঁচ দিনে ৬৭ হাজার ৩০৯ জন কলেরায় আক্রান্ত হয়েছেন, যার মধ্যে মারা গেছেন ৮৮৩৪ জন।

১০ জুন ভারতের লোকসভা ও রাজ্যসভায় ১০ জুন বাংলাদেশের শরণার্থীদের অবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। এসময় লোকসভার কয়েকজন সদস্য শরণার্থীদের অসুবিধা নিয়ে সমালোচনা করে বলেন, ' কেন্দ্রীয় বাজেটে শরণার্থীদের জন্য মাত্র ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই টাকা পর্যাপ্ত নয়।'

এসময় ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ওয়াই বি চ্যবন তার বক্তব্যে বলেন, 'বাংলাদেশের জন্য ভারতও যে সাহায্য করতে পারে, এ অর্থ তারই প্রতীক। বিশ্বের রাষ্ট্রগুলোকেও এ দায়িত্বের ভাগ নিতে হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে শরণার্থীরা যাতে সম্মানের সঙ্গে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে, সে জন্য সবার চেষ্টা করা উচিত।'

১০ জুন পশ্চিমবঙ্গের ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স অ্যাসোসিয়েশন শরণার্থীদের সাহায্যার্থে বাংলাদেশ মুক্তিসংগ্রাম সহায়ক সমিতিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী অজয় মুখোপাধ্যায়ের মাধ্যমে ২ লাখ ৭৮ হাজার ৮৯৯ টাকার একটি চেক হস্তান্তর করে।

১০ জুন শরণার্থীদের চিকিৎসার্থে লন্ডন থেকে ওয়ার অন ওয়ান্টের পাঠানো ৪০ শয্যার ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালের সরঞ্জাম এদিন বিমানে করে কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। এই হাসপাতালে একজন ভারতীয়সহ চার জন চিকিৎসক ও ১১ জন নার্স চিকিৎসা সেবা দেবেন। একই দিন শরণার্থীদের জন্য আরও তিনটি বিমানে ত্রাণসামগ্রী এসে কলকাতায় পৌঁছায়।

দেশব্যাপী প্রতিরোধ যুদ্ধ 

১০ জুন সকালে ক্যাপ্টেন মাহফুজের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল হেঁয়াকো -রামগড় সড়কে রামগড়গামী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল ও দুজন মেজরসহ সৈন্য বোঝাই দুটি গাড়ির ওপর আক্রমণ চালায়। এতে হানাদার সেনারা গাড়ি থেকে নেমে পাল্টা গুলি শুরু করে। ক্যাপ্টেন মাহফুজ কিছু সময় যুদ্ধ করার পর তার বাহিনী নিয়ে নিরাপদে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে। অপরদিকে, হানাদার বাহিনীর একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল ও দুজন মেজরসহ ৫ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়। এসময় হানাদার সেনারা বেশ ক্ষতির শিকার হন। এসময় তারা আবার হেঁয়াকো ফিরে যান।

১০ জুন পাবনা জেলা স্কুলের হেড মাওলানা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মাওলানা কসিমুদ্দিন আহমেদ বাসে করে গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার উদ্দেশে রওনা হওয়ার পথে মোসলেম খাঁর তেমাথা মোড়ে মিলিটারিরা চেকপোস্টে তাকে বাস থেকে নামিয়ে নূরপুর সেনা ছাউনিতে নিয়ে যাওয়া হয়। অমানুষিক শারীরিক নির্যাতনের পর দুজন সঙ্গীসহ সাঁথিয়া থানার মাধপুরের ইছামতি পাড়ের এক নিভৃত বাঁশঝাড়ে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।

১০ জুন ফেনীর পরশুরামের বিলোনিয়াতে মুক্তিবাহিনীর মূল ঘাঁটিতে হানাদার বাহিনীর এক ব্যাটালিয়ন সৈন্য দুদফা আক্রমণ চালায়। বীর মুক্তিযোদ্ধারা এসময় হানাদার বাহিনীর আক্রমণ সাহসিকতার সাথে দুবারই প্রতিহত করেন। এই যুদ্ধে হানাদার বাহিনীর ৩০০-এর অধিক সৈন্য নিহত ও ব্যাপক ক্ষতি হয়। শোচনীয় পরাজয়ের পর অবশিষ্ট হানাদার সেনারা পিছু হটে আনন্দপুর ঘাঁটিতে ফিরে যায়।

১০ জুন ৪নং সেক্টরে ক্যাপ্টেন রব নেতৃত্বাধীন সাব-সেক্টরের প্রধান ঘাঁটি বড়পুঞ্জীতে স্থাপন করা হয়। এই সাব-সেক্টর লাতু, বিয়ানীবাজার, শারোপার, বড়গ্রাম, জকিগঞ্জ, আটগ্রাম, চিকনাগুল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত হয়েছিল।

১০ জুন মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল সাতক্ষীরায় হানাদার বাহিনীর পেয়ারা বাগান ক্যাম্পের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে হানাদার সেনারা পর্যদুস্ত হয়।

১০ জুন ক্যাপ্টেন হুদার নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী সাতক্ষীরা এলাকাবর্তী সীমান্ত অঞ্চলের হানাদার বাহিনীর বসন্তপুর ঘাঁটির উপর পরিকল্পনা মোতাবেক আক্রমণ চালায়। এ যুদ্ধে হানাদার বাহিনী সর্বশক্তি দিয়ে পাল্টা আক্রমণ চালালে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটে।

১০ জুন তালুয়াপাড়া ফেরীঘাটে পাকসেনারা একটি নৌকায় করে নদী পার হতে থাকলে মাঝপথে মুক্তিযোদ্ধারা অতর্কিতে আক্রমণ চালায়। এ অভিযানে ২০ হানাদার সেনা নিহত হয়।

তথ্যসূত্র- 

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র - সপ্তম, অষ্টম, নবম, দ্বাদশ, ত্রয়োদশ, চতুর্দশ খণ্ড। 

দৈনিক পাকিস্তান, ১১ জুন ১৯৭১ 

দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা, ১১ জুন ১৯৭১ 

দৈনিক অমৃতবাজার পত্রিকা, ১১ জুন ১৯৭১

আহমাদ ইশতিয়াক ahmadistiak1952@gmail.com

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka sends diplomatic note to Delhi to send back Hasina: foreign adviser

The Ministry of Foreign Affairs has sent a diplomatic note to the Indian government to send back ousted former prime minister Sheikh Hasina to Dhaka.

3h ago